তালায় কথিত হোমিও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের
তালা উপজেলার শাহাজাতপুর পল্লীতে নেশা জাতীয় হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সেবন করে পলাশ খাঁন পল্টু (৪২) নামের এক যুবকের দুই চোখ অন্ধ হয়ে যায়।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৩ জুন) পলাশ খাঁন পল্টুর মা হালিমা বেগম বাদী হয়ে তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও তালা থানায় এই গ্রামের দেবেন্দ্র দাসের ছেলে সুনিল দাশের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
গত ২৪ মে (সোমবার) রাত ১০টায় হঠাৎ অসুস্থবোধ করে শাহাজাতপুর গ্রামের পলাশ খাঁন পল্টু। এ সময় চোখে দেখেতে পাচ্ছিল না বলে তার স্ত্রীকে জানায়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে তালা হাসপাতালে এবং পরে সেখান থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসারা বলেছেন, তার চোখ দুটি অন্ধ হয়ে গেছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, পলাশ খাঁন পল্টু দীর্ঘদিন যাবৎ অসুস্থ থাকার ফলে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক সুনিল দাশের কাছে যায় চিকিৎসা নেওয়ার জন্য। এ সময় কথিত ডাক্তার সুনিল দাশ তাকে সুস্থ করার আশ্বাস দিয়ে ঔষধ দিতে থাকে। এরপর রোগী পল্টুর ঠিকমতো ঘুম হতো না। তখন ডাক্তার এ কথা শুনে অ্যালকো জাতীয় দুটি ফাইল প্রতিদিন তার বাড়িতে বসে খেয়ে যেতে বলতো। এই ঔষধ খাওয়ার পরেই তিনি অল্প কিছুদিনের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এদিকে তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তারিফ-উল-হাসান অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং প্রাথমিকভাবে তার চিকিৎসার জন্য দুই হাজার টাকা প্রদান করেন।
উলেখ্য, এর আগে একই ঔষধ পান করে মারা যান দক্ষিণ শাহাজাতপুর গ্রামের হরিপদ বাছাড়ের ছেলে কাপড় ব্যবসায়ী সনৎ কুমার বাছাড় (৩৮)।
এলাকাবাসী জানায়, শাহাজাতপুর বাজারের ওষুধের দোকানদার সুনীল দাশসহ কয়েকজন দীর্ঘদিন নেশা জাতীয় হোমিওপ্যাথিক ওষুধ বিক্রি করে আসছে। দোকানে দোকানে ওই ওষুধ পৌঁছে দেয় একটি চক্র। আর উঠতি বয়সী যুবকরা এটি হরহামেশে খাচ্ছে।
ডাক্তার সুনিল দাশ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, আমি পলাশ খাঁন পল্টু কাছে কোন ঔষধ বিক্রয় করি নাই।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)