দেবহাটায় জীবন সংগ্রামে সফল হওয়া ৫ নারীর আত্মকথা
একজন সংগ্রামী অপ্রতিরোধ্য নারীর প্রতীকী নাম জয়িতা। নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের মূর্ত প্রতিক জয়িতা। কেবল নিজের অদম্য ইচ্ছাকে সম্বল করে চরম প্রতিকূলতাকে জয় করে জয়িতারা। তৃণমূল থেকে সবার অলক্ষে সমাজে নিজের জন্য জায়গা করে নিয়েছেন তারা। সরকারের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এই জয়িতাদের খুঁজে বের করার উদ্যোগ নিয়েছে। উদ্যোগটির নাম ‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’। প্রতিবছর এসব নারীদের আতœতৃপ্তি ও অনুস্মরণীয় করতে তাদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। তাদের প্রত্যেকের জীবনে রয়েছে আলাদা আলাদা জীবন কাহিনী। সেই সংগ্রামের কাহিনী ধারাবাহিক ভাবে তুলে ধরা হলো:
অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী আমি আয়েশা সিদ্দিকা। তিনি দক্ষিণ পারুলিয়া গ্রামের জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী। অভাবের তাড়নায় অল্প বয়সে বিয়ে হয় তার। বিয়ে হওয়ার পরে স্বামীর সংসারে সুখের স্বাপ্ন দেখেছিলেন আয়েশা। কিন্তু স্বামীর ভাংড়ি (পুরাতন জিনিসপত্র) কেনার ব্যবসা দিয়ে সংসার চালাতে কষ্টকর হয়ে উঠে। এতে তার স্বপ্ন ভঙ্গ হতে শুরু করে। সংসার পরিচালনা করতে বাধ্য হয়ে বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা বড় করার চেষ্টা করেন। কিন্তু হঠাৎ কালবৈশাখির ঝড়ের মত দমকা হাওয়ায় পুরো সংসার ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। কারন তার স্বামী সড়ক দূর্ঘটনায় কবলিত হয়ে ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। এমন সময় একঝলক আলোর রশ্নি দেখায় ‘উত্তরণ’ এ কারিগরি ট্রেড স্কুল। সেখানে দর্জির কাজের উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে টিকে থাকার সংগ্রামে নামে আয়শ সিদ্দিকা। এরপর প্রশিক্ষণ নিয়ে বাড়িতে দর্জির কাজ শুরু করে সে। একই সাথে বিভিন্ন জায়গায় অন্যদেরকে দর্জির প্রশিক্ষণ প্রদান শুরু করেন তিনি। পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্টান থেকে ঋণ গ্রহণ করে মুরগী পালন ও ছাগল পালন শুরু করে সে। একপর্যায়ে বেসরকারি সংস্থা উত্তরণের সফল প্রকল্পের কমিউনিটি নিউট্রিশন ভলেন্টিয়ার হিসেবে কাজ শুরু করে আয়শা। পুঁজি বাড়ার সাথে সাথে সে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসাবে সামাজিক পন্য বিক্রেতা ব্যবসায়ী হিসাবে ব্যবসা শুরু করে। ব্যবসায়িক অনুদান হিসেবে বেসরকারি সংস্থা উত্তরণের সফল প্রকল্প থেকে ৭৫ হাজার টাকার সামাজিক পন্য বিক্রির উপকরণ পেয়ে এবং নিজস্ব অর্জিত পুঁজি যোগ করে পুরোপুরি ব্যবসা শুরু করে বাড়িতে বাড়িদে সামাজিক পন্য সরবরাহ করে লাভবান হচ্ছেন তিনি। এছাড়া দুটি মহিলা মাদ্রাসার সাথে সামাজিক পন্য বিক্রির জন্য চুক্তিবদ্ধ হওয়ায় কিশোরী মেয়ে ও মহিলারা তার কাছ থেকে পন্য ক্রয় করে। বর্তমানে সে বাজারে বিভিন্ন দোকানে সামাজিক পন্য পাইকারি দামেও বিক্রয় করেন। বর্তমানে তার ব্যবসায়িক মূলধন দেড় লাখ টাকার বেশি। এছাড়া ব্যবসায়িক আসবাবপত্র রয়েয়েছে প্রায় এক লক্ষ টাকা এবং বর্তমান সে সাত চল্লিশ লক্ষ টাকার ১৭.৫ শতক জমির মালিক। তার মাসিক আয় পায় ২০ হাজার টাকা।
শিক্ষা ও চাকুরির ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী মনোয়ারা খাতুন। সে মাঝ সখিপুর গ্রামের খিদির আলীর মেয়ে। তার পিতা একজন ভ্যান চালক। খিদির আলীর ১০ সন্তানের মধ্যে কেবল মোনোয়ারা শারীরিক প্রতিবন্ধী। বাকি ৯ জন পুরোপুরি সুস্থ। মোনোয়ারর জন্ম থেকে একটি পা নেই। কিন্তু সে যে আর দশজনের থেকে পিছিয়ে সেটি দেখে বোঝার উপায় নেই। কিন্তু তার এই পরিবেশে আসতে দীর্ঘ সময় লেগেছে তার। মোনায়ার খাতুন জানান, তার পিতা ভ্যান চালিয়ে ১০ জন ছেলে-মেয়ের সংসার চালানো খুব কষ্ট হয়ে পড়ত। আর এতে আমাদের পরিবারে নান সমস্যা লেগেই ছিল। এমনকি আমার পিতা এক দিন বলেই ফেলেন যে, সুস্থ ছেলেমেয়েরা চাকরী পাই না, সেখানে অসুস্থ মেয়েকে লেখা-পড়া শিখিয়ে কি লাভ। এই কথা আমার মা শুনতে পায়। তখন আমার মা বলে ১০ টা ছেলে-মেয়ের মধ্যে একটা মাত্র অসুস্থ তাকে যদি লেখা-পড়া না শিখিয়ে বাড়ীতে ফেলে রাখি তাহলে সে সারা জীবন অবহেলায় থেকে যাবে। আমার ইচ্ছা ও মায়ের একান্ত প্রচেষ্টায় অনেক কষ্ট করে এস,এস,সি পাস করি। এরপর আমি উদ্যোগ নিলাম চাকরি করে পরিবার ও সমাজকে দেখিয়ে দেব যে একটা পা না থেকেও মানুষ কিছু করতে পারে। তাই আমি নিজেকে সফল করতে চাকুরী খুঁজতে শুরু করি। আমি শারীরিক প্রতিবন্ধী হলেও নিজেকে কখনো ছোট করে ভাবতাম না। এক পর্যায়ে আমি অনেক খোঁজাখুজির পর প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা ডিআরআরএ এর চাকরি পাই। পরবর্তীতে ঐ সংস্থায় স্পেশাল স্কুল শিক্ষক পদে চাকরি শুরু করি। সেখানে চাকরির পাশাপাশি পড়া-লেখা চালিয়ে যেতে থাকি। এভাবে আমি বি.এ পাশ করেছি। বর্তমানে আমি নারী কন্ঠ উন্নয়ন সংস্থা নামের একটি একটি সংস্থা পরিচালনা করি। আমি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক (ই.ডি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। সেই সাথে ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর স্কুলে ক্লাস করায়, দর্জির কাজ করি। এভাবে আমার আর্থিক অবস্থারও পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছি। এখন আর কেউ আমাকে ছোট করে দেখে না। আমি সবার কাছে খুবই সম্মান পাই।
নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছেন গৌরী রানী। একজন সাহসী নারীর প্রতিক গৌরী রানী। সে আশাশুনি উপজেলার নাকনা গ্রামের মৃত ভূধর চন্দ্র মন্ডল ও দৈমন্তি মন্ডল এর কন্যা। চার ভাই দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট সে। অভাবের কারণে এবং সব ভাই-বোনের লেখাপড়ার খরচ চালাতে না পেরে তাকে পার্শ^বর্তী দেশ ভারতে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে যেয়ে সে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে অনেক কষ্টে পড়া লেখা চালিয়ে মাধ্যমিক পাশ করেন। কিন্তু কাগজপত্রের জটিলতার কারণে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হতে না পেরে দেশে ফিরে এসে জীবিকা নির্বাহের জন্য দর্জি বিজ্ঞানের উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে এলাকায় নারীদের স্বাবলম্বী করার উদ্দেশ্যে কাজ শুরু করেন। এরপর তাজমহল কোম্পানী নামক সংস্থার সাথে পরিচিত হয়ে বিভিন্ন স্থানে প্রশিক্ষক হিসাবে কাজ করেন তিনি। ২০০৮ সালে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলায় কাজ শুরুর সুবাদে বিশ^জিৎ কুমারের নামের একজনের সাথে পরিচয় হয় তার। পরিচয়ের এক মাস পর কোর্টে রেজিস্ট্রি করে বিবাহ হয় তাদের। গৌরী জানান, তার গোত্র নমঃশুদ্র আর বিশ^জিতের গোত্র ক্ষত্রিয়, আমার চেয়ে বিশ^জিৎ একটু উঁচু বংশের। দু’জনের মতামতের ভিত্তিতে বিবাহ করায় আমার বাবা-মা বিবাহ মেনে নিলেও বিশ^জিতের পরিবার আমাদের বিবাহ মেনে নেয়নি। পরবর্তীতে কয়েক মাস পরে বিশ^জিতের পরিবার আমাকে পুত্রবধু হিসেবে মেনে নেয়। তখন সখিপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সখিপুর গ্রামে আমার শ^শুর বাড়ীতে স্থায়ী হই। শ^শুর বাড়ীতে আসার পর পূর্ণ উদ্যমে কাজ শুরু করি। আমি প্রথমে সখিপুর ইউনিয়নে মহিলাদের বাড়ীতে বাড়ীতে যেয়ে কাজ শেখাতে থাকি। এক পর্যায়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায় দর্জি প্রশিক্ষণ দিতে থাকি। তিনি আরো জানান, আমার যখন বিবাহ হয় তখন আমার স্বামীর সখিপুর মোড়ে একটা সিডি ক্যাসেট প্লেয়ারের দোকান ছিল। ব্যবসার অবস্থা তেমন ভাল না হওয়ায় আমার কষ্টার্জিত ৩৫ হাজার টাকায় এ্যাডভান্স নিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ করে দিই। পাশাপাশি আরও কিছু টাকা খরচ করে মালামাল-যন্ত্রপাতি কিনে দেই। কিছুদিন যেতেই খারাপ পরিবেশে জড়িয়ে পড়ে। সে ঘর-সংসার, স্ত্রী-সন্তানের প্রতি উদাসীন ছিল, অনেক রাতে বাড়ী ফিরতো। এমনকি আমাদের একমাত্র কন্যা সন্তান (থাইরয়েড ও লিভারের সমস্যা) থাকলেও তাকে ঠিক মত ডাক্তার দেখানো ও ঔষধ কিনে দিত না। বাড়ীতে ঠিকমত বাজারও করতো না। সবকিছু আমাকে বহন করতে হতো। এসবের নিয়ে পরিবারে বেশ সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছি। এতে সে আমাকে আমার স্বামী শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুর করে। এছাড়া শ^শুর-শাশুড়ি ও ভাসুররা পর্যন্ত আমাকে মানসিক নির্যাতন করতো। নির্যাতনের এক পর্যায়ে আত্মহত্যা করার পরিকল্পনা করি। কিন্তু আমি আমার একমাত্র সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আত্মহত্যার পথ থেকে ফিরে আসি। এত কিছুর পরেও আমি মনোবল হারায়নি। দৃঢ় মনোবল নিয়ে আমি কাজ চালিয়ে যেতে থাকি। আমাদের বিবাহের পর প্রথম ২ বছর শ^শুরবাড়িতে শ্বশুরের তৈরী করা ঘরে কেটেছে। এরপর শ^শুর শাশুড়ি ও ভাসুররা অশান্তি করলে আমি শ^শুরের ঘরের সাথে এক চালা ঘর করে ৫ বছর কাটিয়েছি। সেখানেও জায়গা হয়নি আমাদের। পরবর্তীতে অন্যত্র অল্প জায়গা নিয়ে আমি আমার কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে ২ রুম বিশিষ্ট ছাদের ঘর করেছি। শ^শুরবাড়ির লোকজনের উপেক্ষা, স্বামীর নির্যাতন, অসহযোগিতা এতকিছুর পরেও আমি থেমে থাকিনি। নিজের কাজের প্রতি নিষ্ঠা, পরিশ্রম, সততা ও একাগ্রতা আমাকে সাফল্যে পৌঁছাতে সহায়ক হয়েছে। সত্যিকার অর্থে নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করার যে অদম্য চেষ্টা সেটা অর্জন করেছি।
সমাজ উন্নয়নে অসামান্য আবদান রেখেছেন সুফিয়া পারভীন। তিনি টাউনশ্রীপুর গ্রামের মৃত রিয়াজউদ্দীনের স্ত্রী। গ্রামের একজন অতি সাধারণ পরিবারের সন্তান সে। সুফিয়া পারভীন জানান, পিতা একজন দরিদ্র কৃষক। ১৯৮০ সালে বিয়ে হবার পর থেকে সমাজের বিভিন্ন প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে আমাকে জীবন নির্বাহ করতে হয়। এর মধ্যে বিগত ২০০০ সালে আমার স্বামী মারা যায়। দারিদ্রের কারণে মেয়েটাকে লেখাপড়া শেখাতে না পারলেও ছেলেটির মেধাকে নষ্ট হতে না দেবার প্রতিজ্ঞায় নামি। ছেলেটি সাতক্ষীরা সরকারী কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স পাশ করে এম.এস.এস পড়ছে। দারিদ্র এবং হতাশার অন্ধকার থেকে বের হয়ে বেসরকারী সংস্থা ব্র্যাকের সহযোগিতায় টাউনশ্রীপুর পল্লী সমাজের সদস্য হিসেবে কাজ করতে শুরু করি। একপর্যায়ে সমাজের নানাবিধ কুসংস্কার ও বাঁধা বিপত্তি দূরীকরণের জন্য গ্রামের দুস্থ নারীদের সংগঠিত করে টাউনশ্রীপুর বহুমূখী পল্লী সমাজ ফাউন্ডেশন নামক একটি মহিলা সমিতি প্রতিষ্ঠা করি। সংগঠনটি ২০১২ সালে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত হয়। সমিতির বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৯০ জন। আমরা উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সহযোতিায় ১৫ টি বাল্যবিবাহ রোধ করে তাদেরকে ওয়ার্ল্ড ভিশন, ইউনিয়ন পরিষদ এবং উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় স্কুলে ফিরিয়েছি। রক্তের গ্রæপ সনাক্তকরণ এবং মুমূর্ষ রোগীদের জন্য রক্তদান কর্মসূচি চলমান রয়েছে। চোরাচালান, মাদক ও মানব পাচার প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক কাজ করছি। করোনা ভাইরাস এর প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে নিজ উদ্যোগে এলাকার মানুষের মাঝে বিভিন্ন পর্যায়ে মাক্স, স্যানিটাইজার, সাবান ইত্যাদি বিতরন করেছি। গর্ভবতী মহিলা ও কিশোরী স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রেও কাজ করে যাচ্ছি। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময়ও ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। বর্তমান সুফিয়া পারভীন এলাকার আদর্শ নাম সমাজ সংস্কারক এবং সচেতনতা বৃদ্ধিতে এক সংগ্রামী সত্তা।
সফল জননী সালমা খাতুন। তিনি খেজুরবাড়ীয়া গ্রামের আলহাজ¦ হারুনুর রশিদের স্ত্রী। তার স্বামী সামান্য বেতনে একটি বেসরকারি হাইস্কুলে চাকরি করতেন। সংসার জীবনে তাদের ২ টি ছেলে ও ২ টি কন্যা সন্তান আসে তাদের পরিবারে। তার স্বামীর পক্ষে সংসার চালানো ও ৪ টি সন্তানের পড়ালেখা শেখানো কষ্টকর হয়ে পড়ে। কিন্তু তিনি সন্তানদের লেখাপড়া চালানোর জন্য বাড়িতে বাড়তি কাজ শুরু করেন। লেখাপড়ার খরচ যোগানোর জন্য বাড়ীতে হাঁস মুরগী ও গাভী পালন কওে বাড়িতে ডিম ও মাংশের চাহিদার পাশাপাশি বিক্রি করা অর্থে ছেলেমেয়েদের বই, খাতা , কলম ও পড়া লেখার খরচ থাকেন তিনি। ছেলে মেয়েরা স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সাফল্যের সাথে পড়াশুনা করে। বড়মেয়ে মহাব্বাতুন নেছা খেজুরবাড়ীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক হিসাবে কর্মরত আছেন। বড় ছেলে ডাঃ মোশারাফ হোসেন, যশোর সদর হাসপাতালে সিনিয়র অর্থপেডিকস্ সার্জন হিসেবে কর্মরত আছেন। মেয়ে আমিনা রশিদ সৗদি আরবের জীজান বিশ^বিদ্যালয়ে প্রভাষক পদে কর্মরত এবং ছোট ছেলে আব্দুস সালাম পারুলিয়া এস.এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের সহকারি শিক্ষক হিসাবে কর্মরত আছেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)