সোমবার, অক্টোবর ২০, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

নেই সেই কাড়াকাড়ি, পিপিই পরছেন না চিকিৎসকরাও

দেশে যখন মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হয় তখন পার্সোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছিল৷ এটা নিয়ে দুর্নীতিও হয়৷ আর চিকিৎসকেরা বলেছিলেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত সবারই পিপিই দরকার৷ এমনকি এই পিপিইর অভাবে চিকিৎসকরা স্বাস্থ্যসেবা থেকে বিরত থাকার কথাও বলেছিলেন৷

তাদের কথা ছিল কোভিড এবং নন-কোভিড যে ধরনের চিকিৎসাই হোক না কেন স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিতদের পিপিই আবশ্যক৷ তাদের যুক্তি ছিল পরীক্ষার আগে যেহেতু বোঝার উপায় নেই যে কে কোভিড আর কে নন-কোভিড রোগী তাই চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত সবার পিপিই দরকার৷ শুধু তাই নয়, যারা সাধারণ মানুষকে সরাসরি বিভিন্ন ধরনের সেবা দেন তাদেরও পিপিই দরকার৷ এন-৯৫ মাস্কসহ এক সেট পিপিইর দাম তখন ছিল ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা৷

কিন্তু এখন পরিস্থিতি পাল্টে গেছে৷ সাধারণ স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক নার্সরা তো পিপিই ব্যবহার করছেনই না৷ এমনকি কোভিড চিকিৎসায় পিপিই ব্যবহারে অনীহা দেখা যাচ্ছে চিকিৎসক-নার্সদের মধ্যে৷ আর কোভিড চিকিৎসায় নিয়োজিত অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা বলতে গেলে পিপিই ব্যবহার ছেড়েই দিয়েছেন৷ এ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরেরও তেমন কোনো মাথাব্যথা নেই৷

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কোনো জেনারেল ওয়ার্ডের চিকিৎসক নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মী কেউই পিপিই পরিধান করছেন না৷ কেবল পিপিই নয় সামাজিক দূরত্ব মানা নিয়েও প্রশ্ন করা যায়৷ তবে তারা মাস্ক পরছেন৷ ওয়ার্ডগুলোতে রোগীর দর্শনার্থীদের অনেককেই দেখা যায় মাস্ক ছাড়া৷

ঢাকা মেডিকেলের নতুন ভবনটি কোভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত৷ সেখানে ওয়ার্ডগুলোর সামনে প্রচুর দর্শনার্থীর ভিড়৷ একটি ওয়ার্ডে ঢুকে দেখা যায় সেখানে নার্সরা পিপিই ব্যবহার করলেও চিকিৎসক পিপিই পরিধান করেননি৷ তবে তিনি মাস্ক, গ্লোভস ব্যবহার করেছেন৷

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখন শুধুমাত্র কোভিড হাসপাতালও ও কোভিড ওয়ার্ড ছাড়া আর কোথাও পিপিই ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা নাই৷ কিন্তু কোভিড হাসপাতালেও এই বাধ্যবাধকতার ব্যাপারে অনেকেই উদাসীন৷

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, ‘করোনার শুরুতে রোগী চিকিৎসক সবার মধ্যেই একটা আতঙ্ক ছিল৷ কিন্তু এখন ভয় কেটে গেছে৷ আমরা সাধারণ ওয়ার্ডে চিকিৎসকদের এখনো মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক রেখেছি৷ আর কোভিড ওয়ার্ডের জন্য পিপিই বাধ্যতামূলক৷ তবে কোভিড ওয়ার্ডের কেউ যদি পিপিই না পরেন তাহলে ঠিক করছেন না৷’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও মনে করে এখন আর সাধারণ রোগীর চিকিৎসায় নিয়োজিতদের পিপিই দরকার নাই৷ তাই তারা এখন আর সবাইকে এই পিপিই সরবরাহ করছে না৷ শুধু সরকারি কোভিড হাসপাতালগুলোকেই পিপিই দিচ্ছে৷

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘আমরা কেন, কেউই তো কোভিডের শুরুতে অনেক কিছু জানত না৷ মানুষ না জেনে তখন বস্তা বস্তা ক্লোরোফেন খেয়ে শেষ করেছে৷ অক্সিজেন লাগার কথাও জানত না৷ এখন আমরা অনেক কিছু জানছি৷ তাই এখন শুধু কোভিড চিকিৎসায় নিয়োজিতরাই পিপিই ব্যবহার করছেন৷ বাকিদের দরকার নাই৷’

অবশ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের এই কথার সঙ্গে কোনো কোনো চিকিৎসক দ্বিমত করেন৷ তারা বলেন, এখন কোভিড ও নন-কোভিড রোগী মিশে গেছে৷ তাই চিকিৎসা সেবা যে ধরনেরই হোক না কেন, যারাই দেবেন তাদেরই পিপিই ব্যবহার করা উচিত৷ চিকিৎসকেরা তো এখনো আক্রান্ত হচ্ছেন৷

চিকিৎসক ফাউন্ডেশনের প্রধান সমন্বয়কারী ডা. নিরুপম দাস বলেন, ‘এখন কোভিডের আতঙ্ক অনেকটাই কেটে যাওয়ায় সাধারণ রোগীর চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসক নার্সরা পিপিই পরছেন না৷ কিন্তু পরতে হবে৷ নিরাপত্তার জন্যই পরতে হবে৷ কারণ এখন কোভিড ও নন-কোভিড রোগী মিশে গেছে৷ তাই সতর্কতা আরও বেশি প্রয়োজন৷ তবে কেউ না পরলে কী করার আছে?’

তিনি জানান, কোভিড হাসপাতালেও এখন স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিতদের কেউ কেউ সব ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করেন না৷ গাউন ব্যবহারে অনীহা আছে৷
দেশে করোনা সংক্রমণ আবার বাড়ছে৷ এই শীতে করোনার দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণের আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ আর এই কারণে ঘরের বাইরে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে৷ বুধবার থেকে ঢাকাসহ সারাতেদশে মোবাইল কোর্ট কাজ শুরু করেছে৷ যারা মাস্ক ব্যবহার করছেন না তাদের জরিমানা করা হচ্ছে৷ একই সঙ্গে তারা মাস্ক বিতরণও করছেন৷ সূত্র : ডয়চে ভেলে

একই রকম সংবাদ সমূহ

আন্দোলনরত শিক্ষকরা এখন শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাবেন, আশা শিক্ষা উপদেষ্টার

বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন ২০০০ টাকা) ঘোষণার পরবিস্তারিত পড়ুন

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনীতিবিদেরা

জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসবিস্তারিত পড়ুন

জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান

বিকাল ৪:৩৭ মিনিটে জাতীয় সংগীতে শুরু হয় জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান।বিস্তারিত পড়ুন

  • সন্ধ্যায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার জরুরি বৈঠক
  • গুলশান এলাকার ভোটার হলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • ছেলে-মেয়ে সবাই দেশে, একা গিয়ে কী করব: সেফ এক্সিট প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • আমরা স্বাভাবিক এক্সিট চাই: ধর্ম উপদেষ্টা
  • সাধারণ কর্মী নিয়োগে প্রথমবার বাংলাদেশ-সৌদি আরব চুক্তি স্বাক্ষর
  • সেপ্টেম্বরে প্রবাসীরা পাঠালেন ৩৩ হাজার কোটি টাকা
  • জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য নভেম্বরেই গণভোট চায় জামায়াত
  • এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া নিয়ে সুখবর দিল অর্থ মন্ত্রণালয়
  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে স্ন্যাপচ্যাটের সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তার সাক্ষাৎ
  • সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে প্রধান শিক্ষকদের ১ দিনের প্রশিক্ষণ
  • হজ প্যাকেজ ঘোষণা: সর্বনিম্ন ৪ লাখ ৬৭ হাজার টাকা
  • ২৭ দিনে প্রবাসী আয় এল সাড়ে ২৮ হাজার কোটি টাকা