ন্যাজারীন মিশনের জন মন্ডলের খপ্পরে পড়ে তালার একটি অসহায় পরিবার বসত ভিটা হারাতে বসছে!


ন্যাজারীন মিশনের প্রলোভনের খপ্পরে পড়ে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কানাইদিয়া গ্রামের ঋষি পাড়ার মৃতঃ শিবেন্দ্র নাথ দাসের পুত্র সাধন দাস ভিটা বাড়ি হারানোর ভয়ে আতঙ্কিত।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালের দিকে খ্রীষ্ট্রীয় ধর্ম প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে তালা উপজেলার কানাইদিয়া গ্রামের দিন মজুর সাধন দাশের বাড়িতে আশ্রয় নেয় জনৈক রেভাঃ সুকমল বিশ্বাস। এক পর্যায়ে মিশনারির কার্যক্রম পরিচালার জন্য জমি ক্রয় করতে ব্যর্থ হয়ে সাধন দাসকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখায়ে, পরবর্তীতে টাকা দিলে বসত ভিটা ফেরত দেয়ার চুক্তিপত্রের ভিত্তিতে তার বসত ভিটার ৯ শতক জমি ন্যাজারীন মিশনের পক্ষে সুকমল বিশ্বাসের নামে ২৯/১২/২০০৩ সালে রেজিষ্ট্রী করে নেয়।তবে চুক্তি থাকে যে তাকে ভিটা বাড়ি হতে উচ্ছেদ করা হবে না এবং টাকা দিলে তার জমি ফেরৎ দেওয়া সহ পরিবারের সদস্যদের চাকুরি দিবে।
দীর্ঘ সতের বছর পর চার্চ অব দ্যা ন্যাজারীন মিশন ইন্টাঃ এর খুলনার ডিএস পরিচয় দানকারি জনৈক রেভাঃ জন মন্ডল ৮/৮/২০১৯ খ্রীষ্টাব্দে সাধন দাসের বাড়িতে এসে তার তৈরিকৃত ঘর ভাড়া নেয়ার নামে সাদা স্ট্যামে স্বাক্ষর নিয়ে প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে বসত ঘর ও রান্না ঘর তাদের কাছে বিক্রী করা হয়েছে মর্মে মনোক্তিতে স্ট্যাম্পে লিখে নেয় এবং জমিতে থাকা গাছ গাছলা কর্তন পূর্বক ভিটা বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার হুমকি প্রদান করছে বলে ভুক্তভোগী পরিবারটি জানান।
সাধন দাস জানান, সুকমল বিশ্বাসের সাথে চুক্তির ভিত্তিতে আমার পরিবার ধর্ম চ্যুত হয়ে খ্রীষ্টান ধর্ম গ্রহন করি কিন্তু সুকমল বিশ্বাস দেশে না থাকার সুযোগে জন মন্ডল চার্চ অব দ্যা মিশনারি ইন্টারন্যাশ নাল এর খুলনা বিভাগীয় ডিএস পরিচয়ে ৮/৮/২০১৯ তারিখে আমার বসত ঘরে স্কুলের কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে ভাড়ার চুক্তির নামে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে রান্না ঘর ও বসত ঘর তার কাছে বিক্রী করা হয়েছে এমন কি ঘরবাড়ি ভেঙে নিয়ে চলে যাবো মর্মে মনগড়া অঙ্গীকার পত্র লিখে নিয়ে আমাকে ভিটাবাড়ি হতে উচ্ছেদের পায়তারা করছে বলে সাধন দাস অভিযোগ করেন।
এখন জন মন্ডল মোবাইল ফোন রিসিভ না করে এলাকার ফেসিলেটরদের কে দিয়ে বসত ভিটার গাছ গাছালি কাটার জন্য হুমকি দিচ্ছে, নিজেরা কেটে না নিলে তারা জোর পূর্বক কেটে দিবে বলে জনৈক উত্তম দাশ ২৪ ঘন্টা সময় বেঁধে দিয়েছে।
সাধনের স্ত্রী জানান, আমাদের পাড়ায় বসবাসকারি উত্তম দাসের আত্মীয়দের কুপরামর্শে এলাকার দায়িত্ব প্রাপ্ত ফেসিলেটর তালার ঘোনা গ্রামের উত্তম দাশ ভিটাবাড়ি হতে উচ্ছেদের পায়তারা করছে।
এলাকার কতিপয় ব্যক্তি জানান, অসহায় ভূমিহীন সাধন দাসের বসত ভিটা ছাড়া আর কোন জমি নাই। কিন্তু স্কুলের নামে একটি ধর্মীয় সংগঠনের জন্য বসত ভিটা লিখে নেওয়ার মত ন্যাক্কার জনক কাজ আর কি হতে পারে।
এদিকে সুচতুর রেভাঃ জন মন্ডল যখন দেখছে তাদের ঘর বাড়ি ভেঙে উচ্ছেদ করা সম্ভব না তখন অসহায় সাধন দাসের সরলতার সুযোগে ৮/৮/২০১৯ তারিখ স্কুল করার জন্য ঘর ভাড়ার নামে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে দু,টি ঘর বিক্রী সহ ঘর ভেঙে নিয়ে যাওয়া হবে মর্মে মনোক্তিতে মনগড়া প্রাপ্তি স্বীকার পত্র লিখে নিয়েছে বলে ভুক্তভোগী পরিবারটি জানান।
সাধন দাশ আক্ষেপ করে বলেন, ধর্মের নামে প্রতারনা ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ডিএস জন মন্ডল ও তার অধীনস্থ উত্তম দাস তাকে বসত ভিটা হতে তাড়ানোর পায়তারায় লিপ্ত রয়েছে।প্রিন্ট রেকর্ড অনুযায়ী দেখা যায় কানাইদিয়া মৌজার হাল ১০ ১৯ দাগে সাধনের পিতা মৃত শিবেন্দ্র নাথ দাসের বিবাদমান জমির মোট ২৫ শতক জমির মধ্যে একই এলাকার অসীম কুমার দত্ত ও কোমল দত্ত সহোদর ভ্রাতার নামে ১০ শতক রেকর্ড রয়েছে, আর ৬ শতক জমি অত্র এলাকার রশীদ গাজীর নামে দলিল রয়েছে মোট ১৬ শতক জমি শিবেন্দ্র নাথ ঋষি বিক্রী করে যান। বাকি ৯ শতক জমি ন্যাজারিন মিশনের পক্ষে রেভাঃসুকমল বিশ্বাসের নামে চুক্তির ভিত্তিতে সাধন দাশ ২৯/১২/২০০৩ সালে বসতভিটা রেজিষ্ট্রী করে দেয়।
এ বিষয়ে মিশনের দায়িত্বে থাকা উত্তম দাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা ডিএস বাবু বলতে পারবেন।
চার্চ দ্যা ন্যাজারীন মিশন ইন্টারন্যাশনালের খুলনার ডি,এস রেভাঃ জন মন্ডলের বক্তব্য নেওয়ার জন্য মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে সংযোগ পাওয়া সম্ভব হয় নি।
অসহায় সাধন দাস প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
