মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

হারিয়ে যাছে নড়াইলের ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প

কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাছে নড়াইলের ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প। বহুমুখী সমস্যা আর পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে সংকটের মুখে পড়েছে শিল্পটি। তারপরও পূর্ব পুরুষদের ঐতিহ্য এখনো ধরে রেখেছে অনেকেই। জেলার পালপাড়া যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকা একটি স্বর্ণালি ছবি। জেলার সহ বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য কুটিরে নয়নাভিরাম মৃৎশিল্পীদের বাসস্থান, যা সহজেই যে কারও মনকে পুলকিত করে। এক সময় এ গ্রামগুলো মৃৎশিল্পের জন্য বিখ্যাত ছিল।

বিজ্ঞানের জয়যাত্রা, প্রযুক্তির উন্নয়ন ও নতুন নতুন শিল্প সামগ্রীর প্রসারের কারণে এবং প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা ও অনুকূল বাজারের অভাবে এ শিল্প আজ বিলুপ্তির পথে। জেলার বিভিন্ন গ্রামে বসবাসকারী মৃৎশিল্পীদের অধিকাংশই পাল সপ্রদায়ের। প্রাচীনকাল থেকে ধর্মীয় এবং অর্থসামাজিক কারণে মৃৎশিল্পে শ্রেণিভুক্ত সমাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। পরবর্তী সময়ে অন্য স¤প্রদায়ের লোকেরা মৃৎশিল্পকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করে। বর্তমান বাজারে এখন আর আগের মতো মাটির জিনিসপত্রের চাহিদা না থাকায় এর স্থান দখল করে নিয়েছে দস্তা, অ্যালুমিনিয়াম ও প্লাস্টিকের তৈজসপত্র। ফলে বিক্রেতারা মাটির জিনিসপত্র আগের মতো আগ্রহের সঙ্গে নিচ্ছে না। তাদের চাহিদা নির্ভর করে ক্রেতাদের ওপর। সে কারণে অনেক পুরনো শিল্পীরাও পেশা বদল করতে বাধ্য হচ্ছেন।

যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মাটির জিনিসপত্র তার পুরনো ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলছে। ফলে এ পেশায় যারা জড়িত এবং যাদের জীবিকার একমাত্র অবলম্বন মৃৎশিল্প তাদের জীবনযাপন একেবারেই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। দুঃখ-কষ্টের মাঝে দিন কাটলেও আত্রাইয়ের মৃৎশিল্পীরা এখনো স্বপ্ন দেখেন। কোনো একদিন আবারও কদর বাড়বে মাটির পণ্যের। সেদিন হয়তো আবারও তাদের পরিবারে ফিরে আসবে সুখ-শান্তি। আর সেই সুদিনের অপেক্ষায় আজও দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তারা।

জেলার রায়পুর গ্রামের বিপ্লব কুমার পাল বলেন, বাপ-দাদার কাছে শেখা আমাদের এই জাত ব্যবসা আজও আমরা ধরে রেখেছি। নড়াইল সহ আশপাশের এলাকায় এক সময় মাটির তৈরি জিনিসের ব্যাপক চাহিদা ছিল কিন্তু বর্তমানে বহুমুখী সমস্যা আর পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে আজ সংকটের মুখে পড়েছে শিল্পটি।

আধুনিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিল্পীদের প্রশিক্ষিত করে তুলতে পারলে মৃৎশিল্পের বিদেশে বাজার তৈরি করা সম্ভব। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৃৎশিল্পের প্রসারের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা দরকার।

একই রকম সংবাদ সমূহ

ডাঃ মাহমুদুল হাসান (পলাশ) ব্যাংককে স্পাইন রিজিওনাল কনফারেন্সে বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন

শেখ মাহমুদুল হাসান, কলারোয়া (সাতক্ষীরা): আন্তর্জাতিক মঞ্চে পদচারণা খুলনা মেডিকেল কলেজের সহকারীবিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়ার আসাননগর মানব কল্যাণের” উদ্যোগে হতদরিদ্র পরিবারকে ইট প্রদান

হাবিবুল্লাহ বাহার, কলরোয়া: সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা জয়নগর ইউনিয়নের ধানদিয়া গ্রামের নওশের আলীরবিস্তারিত পড়ুন

পদ্মা সেতুতে গাড়ি থামানো ছাড়াই স্বয়ংক্রিয় টোল আদায়

পদ্মা সেতুতে লাইভ পাইলটিং আকারে চালু হয়েছে আধুনিক ননস্টপ ইলেকট্রনিক টোল কালেকশনবিস্তারিত পড়ুন

  • ৭ পুলিশ কর্মকর্তার পদক প্রত্যাহার
  • নতুন বেতন কাঠামোতে যেসব বিষয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে
  • শেখ হাসিনা বিরোধীপক্ষকে হিটলারের মতো দমন করতেন- মাহমুদুর রহমানের
  • ১২ জেলায় বন্যার সতর্কবার্তা
  • ১৩ দিনে ১৬ হাজার কোটি টাকা রেমিট্যান্স এলো
  • জামায়াতের পর এবার খেলাফত মজলিসের কর্মসূচি ঘোষণা
  • পিআর ইস্যুতে জামায়াতের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি, কর্মসূচি ঘোষণা
  • কোনো চাপে নয়, ভারতের অনুরোধে ইলিশ পাঠানো হয়েছে: উপদেষ্টা
  • ধানের পর কলারোয়ায় এবার পাট দিয়ে তৈরি হলো দুর্গা প্রতিমা
  • সাতক্ষীরা আদালতে কারা মহাপরিদর্শকের বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকার মানহানি মামলা
  • ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন হবে ‘মহোৎসবের নির্বাচন’: প্রধান উপদেষ্টা
  • ১২ অক্টোবর থেকে দেশব্যাপী টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন