হেযবুত তওহীদের দুই সদস্যকে হত্যার প্রতিবাদে ও আসামিদের বিচারদাবিতে সংবাদ সম্মেলন
২০১৬ সালের ১৪ মার্চ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে গুজব ছড়িয়ে হেযবুত তওহীদের দুই সদস্যকে হাত পায়ের রগ কেটে, চোখ উপড়ে, জবাই করে ও পুড়ুয়ি হত্যার প্রতিবাদে এবং অতি দ্রুত আসামিদের বিচার কার্যক্রম শুরু করার দাবিতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সংবাদ সম্মেলন
অনুষ্ঠিত হয়েছে। হেযবুত তওহীদের সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি এস এম মুর আলম সংবাদ সম্মেলনে উক্ত লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এসময় উপস্থিত
ছিলেন-হেযবুত তওহীদের সাতক্ষীরা জেলা সাধারন সম্পাদক কামরুজ্জামান শামিম, কালিগঞ্জ উপজেলা সভাপতি মোঃ আশরাফুল ইসলাম, পাটকেলঘাটা উপজেলার সভাপতি মোঃ আজাহারুল ইসলাম বহু, কলারোয়ার সভাপতি মোঃ সেলিম খান, জোলা নারী
সম্পাদিকা মোছাঃ সুরাইয়া পারভীন রিমা।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরও যারা উপস্থিত ছিলেন নাইম আল ইমরান, শেখ মনিরুল ইসলাম, মহিবুল্লাহ, আরমান আলী, জুবাইয়ের হোসেন, আনিকা বুশরা প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ। বক্তা বলেন, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে ধর্মব্যবসায়ী উগ্রবাদিদের হত্যাযজ্ঞের ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও এর বিচার শুরু হয়নি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এমন নির্মম পৈশাচিক হত্যাকান্ডের বিচার এভাবে ঝুলে থাকতে পারে না। বিচারের দীর্ঘসূত্রিতার ফলে আসামিরা এখন বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই অপপ্রচারকারী ও হামলার চক্রান্তকারী কুচক্রী মহলকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখী করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে উঠেছে।
এদের বিরুদ্ধে এখনই আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে, এরা যে কোনো ধরনের তান্ডব সৃষ্টি করতে পারে। সেক্ষেত্রে কেবল হেযবুত তওহীদই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, সেই সাথে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সমাজ, ক্ষতিগ্রস্তহবে দেশ।
এসময় ধর্মব্যবসায়ী উগ্রবাদীদের দ্বারা যেন আর একটা প্রাণও না করে এবং দ্রুততার সাথে ইব্রাহিম রুবেল ও সোলায়মান খোকনের হত্যাকারীদের বিচারকার্য
শুরুকরার জোর দাবি জানান তারা। এসময় বক্তা সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে বলেন, হেযবুত তওহীদের নেতাকর্মীদের উপর দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ পর্যন্ত
সাড়ে চার শতাধিকবার হামলা করা হয়েছে। শুধু গত ছয়মাসেই অন্তর ৫০টি হামলার শিকার হয় দলটির নেতাকর্মীরা।
এসব হামলায় নেতৃত্বদানকারী সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদেরকে গ্রেফতার করতে হবে। হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ওয়াজ-মাহফিলে মসজিসে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা অপপ্রচার ও ওজব ঘটনা করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার
উস্কানি দেওয়া হচ্ছে। এসব উদ্ধানিদাতাদের বিরুদ্ধে দ্রæত আইনী পদক্ষেপ নিতে হবে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেযবুত তওহীদের এমাম ও সদস্যদের ক্রমাগত হামলা-জবাই করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এসব অপরাধীদের গ্রেফতার করে ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলায় বিচার ও দলের নেতাকর্মীদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে
দায়েরকৃত মিথ্যা মামলাগুলো অবিলম্বে প্রত্যাহার ও নেতাকর্মীদের অহেতুক হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
সারাদেশে ধর্মব্যবসা, সম্প্রদায়িকা, উগ্রবাদ ও
গুজব-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে হেযবুত তওহীদের সভা-সমাবেশ নির্বিঘ্ন করতে স্থানীয় প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করতে হবে। দেশ ও জাতির কল্যাণার্থে নিজস্ব অর্থায়নে সাম্প্রাদায়িকতা, উগ্রবাদ,
ধর্মীয় উম্মাননা, গুজবসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ইসলামের সুমহান আদর্শ তুলে ধরছে হেযবুত তওহীদ। জাতীয় স্বার্থে আদর্শটি কার্যকর করার জন্য বিবেচনা করা। মানববন্ধন শেষে খোকন ও রুবেলের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে এবং উন্নতা, ধর্মব্যবসা, ধর্মান্ধতা ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)