আশাশুনির শ্রীউলায় ঘের ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার
সাতক্ষীরার আশাশুনির শ্রীউলা ফুটবল মাঠের পাশে জেলা পরিষদের পুকুরের উত্তর পাশে গাছে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে পথচারীরা আব্দুস সালাম (৬০) নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ গাছের গড়ির সাথে রশি দিয়ে ঝুলানো মৃতদেহটি দেখতে পায়।
খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন।
এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা- এনিয়ে নানান গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, শ্রীউলা গ্রামের মৃত ছোরমান সরদারের ছেলে আব্দুস ছালাম ৩০/৪০ বছর যাবৎ বাড়ি থেকে পাশ্ববর্তী কালিগঞ্জ উপজেলার বারদহ (ইউসুফপুর) গ্রামে বসবাস করে আসছেন।
সালাম সরদারের ভাই বাবু সরদার জানান, তার ভাই ৩০ বছর আগে বাড়ি থেকে ১ কিলোমিটার দূরে কালিগঞ্জ উপজেলার বারদহ (ইউসুফপুর) গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছে। সেখানে তারা একটি মুদি দোকান পরিচালনা করেন। পাশাপাশি ঘের ব্যবসা করেন। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি খবর পান, শ্রীউলায় জেলা পরিষদের পুকুরের পাশে শিশু গাছের ডালে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। খবর পাওয়ার পরপরই তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন ভাইয়ের পা মাটিতে লাগানো, গাছে উঠতে গেলে লুঙ্গি কাছা দিতে হয় কিন্তু কাছা দেওয়া ছিলনা এবং গাছের কাছাকাছি তার মরদেহটি ছিল।
তিনিসহ সেখানে আগত অনেকেই বলেন, গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলে পা মাটিতে থাকার কথা না। আবার জিহবা মুখের মধ্যে স্বাভাবিক ভাবে থাকার কথা না।
তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি ও অনেকে ধারণা করছেন।
তাছাড়া মৃত ছালাম স্থানীয় নাজমুল হুদা খোকার কাছে বড় অংকের পাওনা টাকা আদায়ের জন্য মাঝে মধ্যে তার বাড়িতে যেতেন এবং ৩/৪ দিন পূর্বে তিনি টাকা নিতে আসলে সামান্য কিছু টাকা দেওয়ায় না নিয়ে মনকষ্টে ফিরে যান বলে অনেকে জানান।
তবে ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে নাজমুল হুদার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
থানার এসআই মুহিত ঘটনাস্থানে গিয়ে সুরোতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা সেটি ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে জানা যাবে।
এ ব্যাপারে অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)