কেশবপুর ভূমি দপ্তরের আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
যশোরের কেশবপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) দপ্তরের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি অবসরপ্রাপ্ত কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বিশ্বাস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
এ বিষয়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এক শুনানির দিন ধার্য হলেও তা হয়নি।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাজনগর বাকাবর্শী গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত কৃষি স¤প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বিশ্বাস ১৯৮৯ সালের ২৫ মে ও ২৬ আগস্ট ১৫৫২ দাগে এবং ২৪৮৫ কবলা দলিলে ১১ দশমিক ৫০ শতক জমি কেনেন। জরিপের সময় ভুলবশত ১/১ খতিয়ানে অন্তভুক্ত হয়। জমি নিজ নামে নাম জারি করার জন্য সেই সময় কর্মরত ইউনিয়ন সহকারী ভ‚মি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামের কাছে তার জমির দলিল দুটি প্রদান করেন। তিনি ২০১৬ সালের ২৮ জানুয়ারি তার নাম জারির একটি পর্চা দেন। পরবর্তীতে ভ‚মি উন্নয়ন কর দিতে গেলে তার নামে কোন হোল্ডিং খোলা না থাকায় একটি মিস কেস করেন। পরবর্তীতে কেশবপুর উপজেলা ভ‚মি অফিস তাকে নোটিশ প্রদান করে ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি শুনানীর দিন ধার্য করে। শুনানীর দিন উপস্থিত হলে অফিস বন্ধ থাকায় করোনা পরবর্তী অফিস চলাকালীন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ওই কেসের তদন্ত প্রতিবেদন চেয়ে পাঁজিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসকে নোটিশ করেন।
২০২০ সালের ৮ জুলাই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিলে প্রতিবেদনের আলোকে তাকে ২য় নোটিশ প্রদান করলে তিনি (বাদী) যথাসময়ে হাজিরা দেন এবং বিবাদী ফুলমতি বেগম আদালতে হাজির হননি। তার ছেলে বিএম মাসুদুর রহমান ভূমি অফিসের সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক আবুল হোসেন সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বিবাদীর নির্দিষ্ট ঠিকানা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ও অফিসে তাদের কোন ফাইল পাওয়া যাচ্ছে না। বিবাদীকে খুঁজে পেতে এবং অফিসে ফাইল খুঁজতে তার ছেলের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা নেন। পরে আবার ২য় শুনানীর দিন ধার্য করলে যথাসময় শুনানীতে হাজিরা দিয়ে আবুল হোসেনের সাথে সাক্ষাত করলে তিনি মিথ্যার আশ্রয় নেয় এবং তার ছেলেকে বোকা বানিয়ে ফাইল খুঁজে বের করতে এবং বিবাদীর বাড়ি খুঁজে বের করতে আরও ১ হাজার টাকা নেন। পরবর্তীতে আবুল হোসেনের পরামর্শে ও কথিত সহযোগী আয়শা বেগমের সহযোগিতায় এভাবে পর্যায়ক্রমে ৮টি শুনানি পিছিয়ে যায়।পরে সার্ভেয়ার মিরাজকে ফাইল খোঁজার ও দুইপক্ষের মূল দলিল-পর্চা দেখে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে ৯ম শুনানীর দিন ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর ধার্য করা হয়।
৯ম শুনানির দিন সার্ভেয়ার মিরাজ ফাইল এবং তদন্ত প্রতিবেদন সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে পেশ করেন।
বিবাদী পক্ষের হয়ে অন্যপথ অবলম্বন করে আবুল হোসেন সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) বলেন, ওই জমির এলএসটি মামলা আছে। এলএসটির মামলার অবস্থান সম্পর্কে জানার জন্য সময়ের প্রয়োজন।
তিনি (বাদী) এ বিষয়ের সাথে কোন সম্পর্ক নেই বললেও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবুল হোসেনের পরামর্শে নতুন শুনানির দিন ধার্য করেন।
বারবার শুনানী পিছিয়ে তাকে হয়রানি করানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ অবস্থায় অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক আবুল হোসেনের পরামর্শে হয়রানি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে তিনি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরর দাবি করেছেন।
এদিকে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক আবুল হোসেন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)