ছেলে মারা গেছে, পেলের মা এখনও জানেন না !
ফুটবলের কিংবদন্তি ব্রাজিলিয়ান লিজেন্ড পেলে আর নেই। বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন ৮২ বছর বয়সী ফুটবলের রাজা। তিন দিন পার হলেও এখনো ছেলের মৃত্যুর খবর জানেন না পেলের মা সেলেস্তে আরান্তেস।
মাতৃভক্ত ছিলেন পেলে। তার ফুটবলার হওয়ার বড় উৎসাহ ছিলেন মা। বাল্যকালে বাবার কাছ থেকে ফুটবল দীক্ষা নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মা ছিল তার সুখ-দুঃখের আশ্রয়স্থল। শুধু মায়ের কথা চিন্তা করে ব্রাজিল ছেড়ে ইউরোপের কোনো ক্লাবে পাড়ি জমাননি পেলে। সেই ছেলে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন তিন দিন হলো, অথচ মা এখনও জানেন না সে খবর!
পেলের মায়ের বয়স হয়েছে ১০০ বছর। শয্যাশায়ী হয়ে বেঁচে আছেন। বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন। কিন্তু ছেলের মৃত্যুর ব্যাপারে কিছুই জানেন না তিনি। তাকে শোনানো হয়নি সে বেদনার খবর। এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলেছেন, পেলের ৭৮ বছর বয়সী বোন মারিয়া লুসিয়া দো নাসিমেন্তো।
পেলের বোন মারিয়া বলেন, ‘আমরা কথা বলেছিলাম কিন্তু তিনি মৃত্যুর ব্যাপারে কিছু জানেন না। তার একটি নিজস্ব জগত আছে, সেখানে তিনি ভালোই আছেন। মাঝেমধ্যে আমি তাকে বলেছি, সেলেস্তিকা দিকোকে (পেলে) দেখতে এমন লাগে এখন। কিন্তু মৃত্যুর ব্যাপারে অবগত নন তিনি।’
মারিয়া আরও বলেন, ‘খুব কঠিনভাবে কাটছে সময়। আমরা কেউই চিরস্থায়ী নই। তবে তার চলে যাওয়ার খবর আমাদের হৃদয়কে খুব শক্ত করে তুলেছে। এটা মেনে নেয়া খুবই কঠিন। কিন্তু মৃত্যুতো ঈশ্বরের হাতে। আমরা তার সঙ্গে ছিলাম। জানতাম সে চলে যাচ্ছে। সে বলেছিল, ঈশ্বর তাকে ডাকছে।’
এদিকে পেলেকে সমাহিত করা হবে সান্তোস ফুটবল ক্লাবের স্টেডিয়াম ভিলায়। ক্লাবের পক্ষে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সর্বসাধারণের শ্রদ্ধার জন্য ফুটবলের রাজার মরদেহ ২৪ ঘণ্টা রাখা হবে স্টেডিয়ামের মাঝমাঠে। পরদিন তার মরদেহ নিয়ে ‘শেষযাত্রা’ হবে সান্তোসের রাস্তায়। কফিন বহন করে নিয়ে যাওয়া হবে কেলেস্তের সড়কে, যেখানে পেলের মা থাকেন।
সোমবার (২ জানুয়ারি) পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে পেলের কফিনবন্দি দেহ নিয়ে যাওয়া হবে সান্তোসের মেমোরিয়াল নেক্রোপোল ইকুমেনিকাতে। অনুরাগীরা সেখানেই শেষবারের মতো শ্রদ্ধা ও বিদায় জানাতে পারবেন এই কিংবদন্তিকে। এরপর পেলেকে মেমোরিয়া নেকরোপোল একিউমেনিকা নামের সমাধিস্থলে পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে সমাহিত করা হবে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)