শেখ হাসিনাকে ফেরত না দেয়া হলে সেটা ভারতের প্রত্যর্পণ চুক্তির লঙ্ঘন : আইন উপদেষ্টা
গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত ফেরত না দিলে সেটি প্রত্যর্পণ চুক্তির লঙ্ঘন হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ আইনসহ সমসাময়িক বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে অগ্রগতি কতদূর- জানতে চাইলে আইন উপদেষ্টা বলেন, আমরা প্রত্যর্পণের জন্য চিঠি লিখেছি। এরপর ভারত যদি শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ না করে তবে সেটি বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে প্রত্যর্পণ চুক্তি, তার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হবে। এ ব্যাপারে আমরা বিশ্বসমাজে কী পদক্ষেপ নেবো, সেটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঠিক করা হবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। আমাদের যা যা করণীয় আমরা করে যাচ্ছি। আরও কিছু করণীয় থাকলে ক্ষেত্রবিশেষে চিন্তা করে আমরা করবো।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। এরপর তার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের হয়। এরই মধ্যে তাকে দেশে ফিরিয়ে বিচারের মুখোমুখি করতে তৎপরতা চালাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।
গত ২৩ ডিসেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার বিষয়ে দিল্লিকে চিঠি দিয়েছে ঢাকা। ওইদিনই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ঢাকার পাঠানো কূটনৈতিক চিঠি পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে তাকে ফেরত দেওয়ার বিষয়ে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাইকমিশনার মহেশ সাচদেব বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সরকারের প্রত্যর্পণ অনুরোধের বিরুদ্ধে আদালতের আশ্রয় নিতে পারেন।
তিনি বলেন, ভারতের প্রত্যর্পণ অনুরোধ যেমনভাবে বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশ বিভিন্ন শর্তে প্রত্যাখ্যান করেছিল, হাসিনাও তেমনই বলতে পারেন- তিনি তার দেশের সরকারকে বিশ্বাস করেন না এবং তার প্রতি অবিচার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)