১০ দিনের রিমান্ড শেষে রিজেন্টের সাহেদ সাতক্ষীরা কারাগারে
১০ দিনের রিমান্ড শেষে সাহেদ করিমকে সাতক্ষীরা আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে কড়া নিরাপত্তা প্রহরায় তাকে সাতক্ষীরার আমলী আদালত-৩ এ নেয়া হয়।
বিচারক রাজীব রায় তাকে সাতক্ষীরা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে রিমান্ডের চতুর্থ দিনে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে ২৯ জুলাই খুলনার র্যাব কার্যালয় থেকে তার গ্রেপ্তারস্থল সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী শাখরা-কোমরপুর এলাকায় নিয়ে যাওয়া যায়। বিকেলে তাকে লাবণ্যবতি নদীর ওপর নির্মিত বেইলি ব্রিজের ওপর মিনিট দশেক রাখা হয়। পরে তাকে আবারো খুলনায় র্যাব-৬ এর সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।
তবে তদন্তের স্বার্থে রিমান্ডের প্রাপ্ত তথ্য না জানানো হলেও দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, সাহেদ করিম মাঝে মাঝে খুব ক্ষ্যাপাটে আচরণ করছেন। আবার কখনো কখনো ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছেন। তবে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে সাতক্ষীরায় তার অবস্থান ও অস্ত্রসহ বিভিন্ন বিষয়ে তিনি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তিনি তথ্য দিয়েছেন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-৬ সাতক্ষীরা ক্যাম্পের এসআই রেজাউল ইসলাম জানান, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, তবে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ করা সমীচীন হবেনা।
দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর সীমান্তে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার হওয়া রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত রোববার ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন সাতক্ষীরার আমলী আদালত-৩ এর বিচারক (ভার্চুয়াল) রাজীব রায়। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা খুলনা র্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা ক্যাম্পের উপপরিদর্শক রেজাউল করিমের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন শুনানী শেষে এ আদেশ দেন। পরের দিন সোমবারই তাকে ঢাকা থেকে খুলনা র্যাব কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।
এর আগে ১৫ জুলাই বুধবার ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর সীমান্তের লাবন্যবতী নদীর উপর নির্মিত বেইলী ব্রীজ এর নীচ থেকে সাহেদকে বোরখা পরিহিত অবস্থায় গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এরপর তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। ওই দিন রাতে র্যাব-৬ এর সিপিসি-১ এর ডিএডি নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৯৭৮ সালের আর্মস অ্যাক্টের ১৯-এ উপধারা এবং ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ এর বি/এ ধারায় দেবহাটা থানায় একটি মামলা(৫নং) করেন। মামলায় সাহেদ করিমসহ তিনজনকে আসামী করা হয়।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)