কলারোয়ায় ফরিদপুরে জাতের ভাতি পেঁয়াজ চারার হাট জমে উঠছে।
মোস্তফা হোসেন বাবলু,কলারোয়া : সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ফরিদপুরে জাতের ভাতি পেঁয়াজ চারার হাট জমে উঠছে। ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেশি হাওয়ায় উপজেলার কৃষকরা সম্প্রতি পেয়াজ চাষ ঝুঁকে পড়েছেন । পেঁয়াজের ভাল দাম থাকায় কৃষকরা আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। পেঁয়াজ চাষ বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাতি পেঁয়াজের চারার হাটও জমে উঠেছে। বেচাকেনা ভাল হওয়ায় মহাখুশি ব্যবসায়ীরা। চলতি মৌসুমে উপজেলা ভাতি পেঁয়াজ চাষ লক্ষমাত্রা অতিক্রম করেছে বলে জানায় কৃষি অফিস।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৫০০ হেক্টর জমিতে ভাতি পেঁয়াজ চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ইতোমধ্যে অতিক্রম করে ৫৫০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। পেঁয়াজ চাষ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারের একমাত্র চারা বিক্রির হাট যশোর সাতক্ষীরার মহাসড়কের থানা গেট রোডের থানার পাশে এখন জমজমাট। ভোর হতে বিক্রেতারা চারা নিয়ে হাজির হচ্ছেন বাজারে। খুব সকাল থেকেই চলছে বেচাকেনা। পেঁয়াজের চারার চাহিদা ভাল ও বিক্রি সন্তোষজনক হওয়ায় খুশি ব্যবসায়ীরা।
সোমবার দুপুরে পৌর সদরের থানা মোড় হাটের সড়কে চারা বিক্রির হাটে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতা -বিক্রেতার সরব উপস্থিতিতে জমে উঠেছে হাট। হাঁড় কাপানো শীতকে উপেক্ষা করে তারা ছুটে এসেছেন হাটে। চাহিদা মত চারা কিনে নিয়ে ফিরছেন আপন ঠিকানায়।
উপজেলার জুগিখালি গ্রামের কৃষক হানেফ আলীর বলেন, এক বিঘা জমিতে ভাতি পেঁয়াজ চাষ করবো। কলারোয়া পেয়াজ হাটে সুলভ দামে চারা পাওয়া যায়। তাই খুব সকালে হাটে ছুটে এসেছি। উপজেলার দমমোদাট এলাকার কৃষক আমির আলী বলেন, দেশে পেঁয়াজের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। বাজার দরও ভাল। তাই এ বছর আমি দেড় বিঘা জমিতে ভাতি পেঁয়াজ চাষে মনস্থির করেছি। ইতোমধ্যে জমি প্রস্তুত সম্পন্ন হয়েছে। আজ চারা কিনতে পারলে আগামীকাল তা রোপণ করব। তবে অন্য বছরগুলোর তুলনায় এ বছর চারার দাম বেশি।
ভাতি পেঁয়াজের চারা বিক্রেতা দমদমার সিদ্দিক ,কদমতলা গ্রামের জায়েদ আলী,দামোদারকাঠীর হামজার আলী, তরিকুল ইসলাম, চ আবুল কাশেম বলেন, ভাতি পেঁয়াজের চারা উৎপাদনে কলারোয়ায় অঞ্চলের মাটি খুবই উপযোগী। এখানে যেসব ব্যবসায়ী চারার ব্যবসা করছেন তারা অধিকাংশ নিজের জমিতে চারা উৎপাদন করেছেন। এবার চারার চাহিদা বেশি থাকায় অনেকে পাশের যশোর, কেশাবপুর , মনিরামপুর উপজেলা হতে চারা সংগ্রহ করে হাটে নিয়ে আসেন। বিক্রেতারা বলেন, এক বিঘা জমিতে চারা তৈরি করতে গিয়ে কৃষককে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ব্যয় করতে হয়। ভাল হলে বিঘায় ৫০ থেকে ৮০ মণ চারা উৎপাদন হয়। প্রকার ভেদে এক কেজি চারা ৫০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমান বাজার দর ভাল থাকায় এ বছর চারা ব্যবসায়ীরা বেশ লাভবান হবেন।
পেঁয়াজ চাষি হানেফ আলী বলেন, রোপণের ওপর নির্ভর করে বিঘা প্রতি কত মণ চারা লাগবে। যদি কেউ হাতের ব্যবধানে ৪/৫টি চারা রোপণ করেন তবে ওই কৃষকের প্রায় ৬ মণ চারা লাগে। ভাল ফলন হলে বিঘা প্রতি ৯০ থেকে ১০০ মণ পেঁয়াজ উৎপাদন হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শুভ্রাংশ
দাস বলেন, পেঁয়াজের বাজার দর ভাল হওয়ায় কৃষক পেঁয়াজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। ইতোমধ্যে উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। ফরিদপুরী লাল তীর, দেশি তাহেরপুরী ও লাল তীর কিং এই তিন জাতের পেঁয়াজ চাষ বেশি হচ্ছে। কৃষক যাতে পেঁয়াজ চাষে কোন প্রকার সমস্যায় না পড়েন সে লক্ষ্যে কৃষি অফিস সর্বদা নজর রাখছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)