কলারোয়ার মনসাদাহ বাওড় ইজারার আশায় স্থানীয় দরবাসা মৎস্যজীবী সমিতি


কলারোয়ার কেরালকাতা ইউনিয়নের দরবাসায় অবস্থিত ১৫ একরের অধিক জলাকারের মনসাদাহ সরকারি জলমহলটি (বাওড়) ইজারা পাওয়ায় আশায় জেলা সমবায় অফিসের মাধ্যমে নতুন ভাবে নিবন্ধিত হয়েছে স্থানীয় জলমহল তথা বাওড় সংলগ্ন গ্রামের জেলে সম্প্রদায়ের হতদরিদ্র জেলেরা।
এর আগে স্থানীয় জেলে সম্প্রদায়ের মৎস্যজীবী সমিতি ছিলো না, ছিলো না নিবন্ধনও। যে কারণে পর পর দুই মেয়াদে এই জলমহলটি কলারোয়া উপজেলা মৎস্যজীবী সমিতির নামে ইজারা নেন কলারোয়া পৌর সদরের মুরারীকাটি গ্রামের প্রবীন জেলে বিমল পোদ্দার।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রতি ৩ বছর পূর্তিতে নতুন ভাবে দরপত্রের মাধ্যমে প্রকৃত মৎসজীবী সমিতির কাছে বাংলা সনের প্রথম দিন অর্থাৎ ১লা বৈশাখ ইজারা দেওয়ার বিধান থাকলেও বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের কারণে তা আটকে আছে দীর্ঘ প্রায় ৮ মাস যাবত। এতে করে সরকার ইজারার টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এদিকে জলমহল ইজারা নীতিমালায় জলমহলের নিকটবর্তী বা তীরবর্তী নিবন্ধিত প্রকৃত মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি প্রয়োজনীয় যোগ্যতা সাপেক্ষে অগ্রাধিকার পাবে এমন শর্ত উল্লেখ থাকলেও নিকটবর্তী কোন মৎস্যজীবী সমিতি না থাকায় কলারোয়া উপজেলা মৎস্যজীবী সমিতি (যার নিবন্ধন নং-১০০/সাত, তারিখ ১৫ জুন ২০০৯) সকল শর্ত মেনে দীর্ঘ কয়েক বছর দরপত্রের মাধ্যমে মাছ চাষ করে আসছে।
জানা গেছে, অতিসম্প্রতি জলমহল অবস্থিত দরবাসা গ্রামের প্রকৃত মৎস্যজীবীদের সমন্বয়ে দরবাসা মৎস্যজীবী সমিতি নামে একটি মৎস্যজীবী সমিতি নিবন্ধিত হয়েছে। যার নিবন্ধন নং-৯১/সাত, তারিখ: ২ ডিসেম্বর ২০১৯ সাল। এই সমিতির পক্ষে এ বছরের নতুন দরপত্রে তারাও সিডিউল কিনে তা কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে জমা দেয়ার নির্ধারিত তারিখ (১১ মার্চ, ২০২০) জমা দিয়েছেন।
মনসাদাহ জলমহল ইজারার বিষয়ে কলারোয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আক্তার হোসেন জানান, ‘বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের ভয়াল আগ্রাসনের কারণে যথাসময়ে দরপত্র গ্রহনের পরও জলমহালটি এখনও কোন মৎস্যজীবী সমিতিকে বরাদ্দ দেয়া হয়নি। তবে খুব শীঘ্রই উপজেলা জলমহাল পরিচালনা কমিটির সভায় এর সিদ্ধান্ত হবে বলে আশা করছি।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন নিবন্ধিত স্থানীয় দরবাসা মৎস্যজীবী সমিতির পক্ষ থেকে জলমহলের তথা বাওড়ের পশ্চিম তীরে একটি অফিস পরিচালনা করে আসছে সমিতির নিবন্ধন পাওয়ার পর থেকেই। ওদিকে মাস খানিক পূর্বে দুই মেয়াদ (৬ বছর) মনসাদাহ জলমহল ইজারা পাওয়া কলারোয়া উপজেলা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি অনুরূপ আরেকটি অফিস ঘর পরিচালনা করছেন।
এ ব্যাপারে জলমহাল সংশ্লিষ্ট কেরালকাতা ইউনিয়ন পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান স.ম মোরশেদ আলী (ভিপি মোরশেদ) বলেন, ‘কলারোয়া উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নে মধ্যে কোন হাট, বাজার, সীমান্ত ঘাট, পশুর হাট নাই। ফলে এই ইউনিয়নের অনেক অসহায় হতদরিদ্র মানুষ ক্ষুধার সাথে সংগ্রাম করে বেঁচে আছেন। নিন্মআয়ের জেলে সম্প্রদায়ের অনেক মানুষ থাকলেও তাদের বৈধ কোন কাগজ পত্র (নিবন্ধিত সমিতি) না থাকার ফলে তাদের গ্রামের এই একমাত্র জলমহাল বা বাওড়টি পরিচালনা অন্যত্র চলে যায়। এখন দরবাসা গ্রামের অসহায় জেলে সম্প্রদায়ের মানুষেরা এটার সুযোগ সুবিধা ভোগ করার বৈধ দাবিদার বলে আমি মনে করি।’
তিনি আরো বলেন, ‘সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, কলারোয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে সবিনয় অনুরোধ রাখবো সরকারি সকল বিধিমালা অনুসরণ করেই যেন এই জলমহালটি দরবাসা গ্রামের স্থানীয় জেলে সম্প্রদায়ের নতুন নিবন্ধিত সমিতির বরাবর বরাদ্দ দেয়া হয়।’
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)

একই রকম সংবাদ সমূহ

মেডিকেলে চান্স পাওয়া কলারোয়ার সেই মেধাবী শিক্ষার্থীর পাশে দুদকের ড. খাঁন সেলিম
নিজস্ব প্রতিনিধি: সদ্য মেডিকেলে চান্স পাওয়া কলারোয়ার দারিদ্র শিক্ষার্থী নাদিরা খাতুনকে আর্থিকবিস্তারিত পড়ুন

‘সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলুন’: সাংবাদিকদের প্রতি ইজ্জত উল্লাহ
কলারোয়া প্রতিনিধি: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও আগামি নির্বাচনেবিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়ায় মারকাযুল ইলমী ওয়াদ-দাওয়াহ্ মাদ্রাসার অভিভাবক ও সুধী সমাবেশ
শেখ শাহাজাহান আলী শাহীন: কলারোয়ার মির্জাপুরের মারকাযুল ইলমী ওয়াদ- দাওয়াহ্ মাদ্রাসার অভিভাবকবিস্তারিত পড়ুন