বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২৮, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

কলারোয়ায় এ বছর পানি ফলের ফলন দেরিতে হলেও চাষির মুখে হাসি

কলারোয়া উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে পানিফল। চলতি মৌসুমে উপজেলার ৩৭ হেক্টর জমিতে পানি ফলের চাষ হয়েছে। আর এর বাম্পার ফলন হওয়ায় হাসি ফুটেছে চাষীদের মুখে। স্থানীয়দের কাছে এই ফল ‘পানি সিংড়া’ নামে পরিচিত। পানি ফল বেশ পুষ্টিকর ও সুস্বাদু।

কলারোয়া পৌর সদরের গোপিনাথপুর গ্রামের পানিফল চাষী আব্দুল আজিজ গাজী জানান, ২০০৮ সালে আজিবার নামে এক কৃষক পার্শ্ববর্তী উপজেলা কালিগঞ্জ থেকে বীজ এনে এই ফলের চাষ শুরু করেন। সেই থেকে বছর ১৩ ধরে কলারোয়ার পতিত ও জলাবদ্ধ জমিতে বাণিজ্যিকভাবে পানি ফল চাষ শুরু হয়েছে। কম খরচে অধিক লাভ ও পতিত জমি ব্যবহারের সুযোগ থাকায় কলারোয়া উপজেলায় ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এর চাষাবাদ।

স্থানীয়রা জানান, প্রথমে পানিফলের আবাদ শুরু হয় গোপিনাথপুর গ্রামের আকবর সরদারের জমিতে। এখন তা ছড়িয়ে পড়েছে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন, এমনকি বিভিন্ন গ্রামে। বর্তমানে উপজেলার গোপিনাথপুর, তেলকাড়া, গোয়ালচাতর, কুশোডাঙ্গা, মুরারিকাটি,শুভঙ্করকাটি ও কেড়াগাছি এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে পানিফল। বাংলা ভাদ্র থেকে আশ্বিন মাস পর্যন্ত চাষীরা পানিফলের আবাদ করেন। আর বেচাকেনা চলে বাংলা কার্তিক, অগ্রহায়ণ থেকে পৌষ মাস পর্যন্ত। যশোর সাতক্ষীরা মহাসড়কের কলারোয়া পৌরসদরের গোপিনাথপুর এলাকায় রাস্তার দু’ধারে দেখা মেলে পানি ফলের ক্ষেত। আর মহাসড়কের ধারেই পানিফল বেচতে বসে যান চাষীরা। পাওয়া যায় কলারোয়ার বাজার, বিভিন্ন মোড় ও ফুটপাতেও। বর্তমানে উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য জেলায়ও যাচ্ছে কলারোয়ায় উৎপাদিত পানিফল।

লতার মত গাছটির শেকড় নিচে থাকলেও পানির ওপরে ভেসে থাকে পাতাগুলো। অনেকটা কচুরিপানার মতো। আর ফলগুলোতে দুটি ও তিনটি শিং-এর মত কাঁটা থাকে, তাই স্থানীয়দের কাছে এটি পানিসিংড়া নামে পরিচিত। ফলগুলো দেখতে সবুজ ও লাল হয়। খোসা ছাড়ালে বেরিয়ে আসে সাদা মিষ্টি সুস্বাদু আশ।

পৌর সদরের আব্বাস ও লাভলু, তাহিদুর রহমান, ওসমান গনিসহ কয়েকজন চাষী জানান, জলাবদ্ধ জমিতে পানিফলের চাষাবাদ করা হয়। প্রতি বিঘা জমিতে পানিফল আবাদে ১২-১৫ হাজার টাকা খরচ হয়, আর ফল বিক্রি হয় প্রায় ৩৫-৪০ হাজার টাকার। এর চাষাবাদ বেশ লাভজনক।

তারা জানান, প্রতি কেজি পানিফল ২০-২৫ টাকা দরে পাইকারী বিক্রি হয়। আর খুচরা বিক্রয় হয় ৪০ টাকা দরে। দেশের অন্যান্য জেলায় পানিফলের চাষাবাদ হয় না। তাই মানুষ কম চেনে। কিন্তু স¤প্রতি সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলা থেকে এই ফল যশোর, ঢাকা, মানিকগঞ্জ, চট্টগ্রাম, খুলনা, বগুড়া, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে।এ ব্যাপারে কলারোয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম বলেন,মৌসুমী ফল হলেও পানিফলের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এতে অনেক পতিত জমির ব্যবহার যেমন নিশ্চিত হচ্ছে, তেমনি কর্মসংস্থানও হচ্ছে বাণিজ্যিকভাবে পানিফল চাষে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

কলারোয়ায় তথ্য অধিকার, আইন শৃঙ্খলাসহ কয়েকটি মাসিক সভা

কলারোয়া উপজেলা তথ্য অধিকার বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ, মাসিক আইন শৃঙ্খলাসহ উপজেলা প্রশাসনেরবিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়ায় গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা কমিটির ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভা

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কলারোয়ায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা কমিটিরবিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়ায় মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন

কলারোয়া প্রতিনিধি: কলারোয়ায় মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণেরবিস্তারিত পড়ুন

  • কলারোয়ার ধানদিয়া চৌরাস্তায় মাদক বিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত
  • পেশাদারিত্বের সাথে মানবসেবা করতে চাই: সাতক্ষীরার এসপি মনিরুল ইসলাম
  • কলারোয়ার খোরদো বাজার কমিটির নির্বাচন।। সভাপতি বজলু, সম্পাদক আনারুল
  • কলারোয়ায় থানা পুলিশের সাথে সুধীজনদের মতবিনিমেষ সভা
  • কলারোয়ার মডেল মসজিদ: উদ্বোধন হয়েছে আড়াই বছর আগে, ‘অসম্পন্ন’ এখনো; ছাগল-কুকুরের বিচরণ!
  • কলারোয়ায় বিএসএইচ সিংগা হাইস্কুলে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত
  • কলারোয়ার দেয়াড়া হাই -স্কুল নির্বাচনী পরীক্ষা-২৪ এর ফলাফল প্রকাশ
  • কলারোয়ায় বাজারের জননী আইস এন্ড কোল্ডস্টোরেজে ১ লাখ টাকা জরিমানা
  • কলারোয়ায় সিংগা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নির্বাচনী পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ
  • কলারোয়া বেত্রবতী হাইস্কুল স্মরণসভা ও দোয়ানুষ্ঠান
  • কলারোয়ায় ট্রাকের ধাক্কায় ট্রলি ও মহেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত
  • কলারোয়ার বেগম খালেদা জিয়া ডিগ্রি কলেজে ছাত্রদল নেতাদের মতবিনিময়