শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

কলারোয়ায় এ বছর পানি ফলের ফলন দেরিতে হলেও চাষির মুখে হাসি

কলারোয়া উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে পানিফল। চলতি মৌসুমে উপজেলার ৩৭ হেক্টর জমিতে পানি ফলের চাষ হয়েছে। আর এর বাম্পার ফলন হওয়ায় হাসি ফুটেছে চাষীদের মুখে। স্থানীয়দের কাছে এই ফল ‘পানি সিংড়া’ নামে পরিচিত। পানি ফল বেশ পুষ্টিকর ও সুস্বাদু।

কলারোয়া পৌর সদরের গোপিনাথপুর গ্রামের পানিফল চাষী আব্দুল আজিজ গাজী জানান, ২০০৮ সালে আজিবার নামে এক কৃষক পার্শ্ববর্তী উপজেলা কালিগঞ্জ থেকে বীজ এনে এই ফলের চাষ শুরু করেন। সেই থেকে বছর ১৩ ধরে কলারোয়ার পতিত ও জলাবদ্ধ জমিতে বাণিজ্যিকভাবে পানি ফল চাষ শুরু হয়েছে। কম খরচে অধিক লাভ ও পতিত জমি ব্যবহারের সুযোগ থাকায় কলারোয়া উপজেলায় ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এর চাষাবাদ।

স্থানীয়রা জানান, প্রথমে পানিফলের আবাদ শুরু হয় গোপিনাথপুর গ্রামের আকবর সরদারের জমিতে। এখন তা ছড়িয়ে পড়েছে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন, এমনকি বিভিন্ন গ্রামে। বর্তমানে উপজেলার গোপিনাথপুর, তেলকাড়া, গোয়ালচাতর, কুশোডাঙ্গা, মুরারিকাটি,শুভঙ্করকাটি ও কেড়াগাছি এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে পানিফল। বাংলা ভাদ্র থেকে আশ্বিন মাস পর্যন্ত চাষীরা পানিফলের আবাদ করেন। আর বেচাকেনা চলে বাংলা কার্তিক, অগ্রহায়ণ থেকে পৌষ মাস পর্যন্ত। যশোর সাতক্ষীরা মহাসড়কের কলারোয়া পৌরসদরের গোপিনাথপুর এলাকায় রাস্তার দু’ধারে দেখা মেলে পানি ফলের ক্ষেত। আর মহাসড়কের ধারেই পানিফল বেচতে বসে যান চাষীরা। পাওয়া যায় কলারোয়ার বাজার, বিভিন্ন মোড় ও ফুটপাতেও। বর্তমানে উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য জেলায়ও যাচ্ছে কলারোয়ায় উৎপাদিত পানিফল।

লতার মত গাছটির শেকড় নিচে থাকলেও পানির ওপরে ভেসে থাকে পাতাগুলো। অনেকটা কচুরিপানার মতো। আর ফলগুলোতে দুটি ও তিনটি শিং-এর মত কাঁটা থাকে, তাই স্থানীয়দের কাছে এটি পানিসিংড়া নামে পরিচিত। ফলগুলো দেখতে সবুজ ও লাল হয়। খোসা ছাড়ালে বেরিয়ে আসে সাদা মিষ্টি সুস্বাদু আশ।

পৌর সদরের আব্বাস ও লাভলু, তাহিদুর রহমান, ওসমান গনিসহ কয়েকজন চাষী জানান, জলাবদ্ধ জমিতে পানিফলের চাষাবাদ করা হয়। প্রতি বিঘা জমিতে পানিফল আবাদে ১২-১৫ হাজার টাকা খরচ হয়, আর ফল বিক্রি হয় প্রায় ৩৫-৪০ হাজার টাকার। এর চাষাবাদ বেশ লাভজনক।

তারা জানান, প্রতি কেজি পানিফল ২০-২৫ টাকা দরে পাইকারী বিক্রি হয়। আর খুচরা বিক্রয় হয় ৪০ টাকা দরে। দেশের অন্যান্য জেলায় পানিফলের চাষাবাদ হয় না। তাই মানুষ কম চেনে। কিন্তু স¤প্রতি সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলা থেকে এই ফল যশোর, ঢাকা, মানিকগঞ্জ, চট্টগ্রাম, খুলনা, বগুড়া, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে।এ ব্যাপারে কলারোয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম বলেন,মৌসুমী ফল হলেও পানিফলের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এতে অনেক পতিত জমির ব্যবহার যেমন নিশ্চিত হচ্ছে, তেমনি কর্মসংস্থানও হচ্ছে বাণিজ্যিকভাবে পানিফল চাষে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

কলারোয়ায় আবারো একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ড

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় আবারো একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় অর্ধবিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়ায় এবার ধান ক্ষেতের সাথে শত্রুতা

দেবাশীষ চক্রবর্ত্তী বাবু: কলারোয়ার ধানদিয়ায় ব্যক্তি শত্রুতা ধানের জমিতে। ঘাস পোড়া স্প্রেবিস্তারিত পড়ুন

মানবতা সংঘের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাতা বার্ষিক উপলক্ষে কেরাত আযান গজল অনুষ্ঠিত

ইতিবাচক চিন্তা করি সুন্দর একটি সমাজ গড়ি এই প্রতি পাদ্যকে সামনে রেখেবিস্তারিত পড়ুন

  • কলারোয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেম উদ্দীনের বার্ষিকীতে স্মরণ সভা
  • কলারোয়ায় প্রতারক তফুরার হাত থেকে রক্ষা পেতে গ্রামবাসীর মানববন্ধন
  • কলারোয়ায় ‘কথায় ও কবিতায় স্বাধীনতা’ শীর্ষক সাহিত্য আসর অনুষ্ঠিত
  • কলারোয়ায় নানান আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত
  • কলারোয়ায় সিংগা হাইস্কুলে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন
  • কলারোয়া পাইলট হাইস্কুলের স্কাউটারদের ইফতার মাহফিল
  • কলারোয়া সীমান্ত পথে অবৈধভাবে আসছে ভারতীয় পণ্য
  • কলারোয়ায় কৃষকের পৈত্রিক জমিতে দোকান ঘর নির্মাণে বাধা!
  • কলারোয়ার কাঁদপুর গ্রামে জমি-জমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে হামলায় আহত- ৩
  • কলারোয়ায় জাতীয় গণহত্যা দিবসে শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোচনা সভা
  • কলারোয়ায় আদালতে মামলা চলাকালে জমি দখল নিয়ে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের মধ্যে ৯ জন আহত
  • ঈদের বাজার দখলে ভারতীয় পণ্যে কলারোয়া সীমান্ত পথে আসছে কোটি কোটি টাকার অবৈধ পণ্য
  • error: Content is protected !!