কেশবপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদে ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ
সোহেল পারভেজ, কেশবপুর : “দেশের বিভিন্ন স্থানে বৈশম্য মুক্ত বাংলাদেশ, স্বস্তিতে বাঁচতে চাই, বাংলাদেশের অধিকাংশ জেলার বিভিন্ন স্থানে হিন্দু মন্দির ও বাড়ীঘর ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, হিন্দু মা-বোন, ভাইদের নির্যাতন, হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন লেখা সম্বলিত প্লাকার হাতে হাতে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নিতে দেখা গেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের। “তুমি কে, আমি কে, বাঙালী বাঙালী, মন্দিরে হামলা কেন, হিন্দু বাড়ী হামলা করে আগুন কেন, কথায় কথায় বাংলা ছাড়, আমিতো বাঙালী, আমার ভাই মরল কেন, জবাব চাই দিতে হবে, শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে যশোরের কেশবপুর শহর।
সোমবার (১২ আগস্ট) বিকেলে সংখ্যালঘু সংরক্ষণ অধিকার কেশবপুর কমিটির আয়োজনে কেশবপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কেশবপুর গাজীর মোড়ে রাস্তার উপর অবস্থান করে বসে যায়। প্রায় ৪০মিনিট প্রধান সড়ক পরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে জরুরী সেবা সহ অ্যাম্বুলেন্স মিছিলের স্বেচ্ছাসেবীরা পার করে দেয়। দীর্ঘক্ষণ পর আবার মিছিল সহকারে কেশবপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজে পৌঁছে শেষ হয়।
সমাবেশে হাজার-হাজার নারী-পুরুষ অংশ গ্রহণ করে। এসময় সংখ্যালঘু মন্ত্রনালয় গঠন, সংখ্যালঘু সুরক্ষা কমিশন গঠন, সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সকল প্রকার হামলা প্রতিরোধে কঠোর আইন প্রনয়ণ, সংখ্যালঘুদের জন্য ১০ শতাংশ সংসদীয় আসন বরাদ্দসহ ৮ দফা দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, সংখ্যালঘু অধিকার সংরক্ষণ কমিটির কেশবপুর সমন্বয়ক তাপস পাল, গৌরব অধিকারী, যুবরাজ অধিকারী, শিবাজী বসু, চিরঞ্জিত, দিপু দাস, অভিজিৎ সিংহ, সুজিত দাস, সুমন মজুমদার, বিপ্র সাহা, কৃষ্ণ ঘোষ, রিতম দে, সৌরভ দাস, অয়ন দাস, শ্রাবন্তী দাস, বিশাল সেন প্রমূখ।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের মন্দির, প্রতিমা, বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করা হয়। কোথাও কোথাও হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ হত্যা করা হয়। দেশত্যাগের হুমকি দেওয়া হয়। বিগত দিনে হওয়া হিন্দু নির্যাতনের কোনও বিচার না হওয়ায় নির্দ্বিধায় এই কর্মকান্ড চালানো হচ্ছে। তারা আরও বলেন, আমরা এ দেশেরই নাগরিক তাই আমরা দ্রুত আমাদের নিরাপত্তাসহ এইসব সমস্যার সমাধান করার দাবী জানাচ্ছি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)