শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আতঙ্কে সাতক্ষীরা উপকূলবাসী

একের পর এক প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারনে ক্ষতিগ্রস্ত সাতক্ষীরা উপকূল। ২০০৯ সালের আইলার পর থেকে গেল ১৪ বছরে এক ডজনেরও অধিক বড় ধরণের দুর্যোগের কবলে পড়েছে এ জেলা। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য দুর্যোগগুলো ছিলো ২০০৯ সালের ঘূর্ণিঝড় আইলা, ২০১৩ সালের মহাসেন, ২০১৫ সালের কোমেন, ২০১৬ সালের রোয়ানু, ২০১৭ সালের মোরা, ২০১৯ সালের ফণী, ২০১৯ সালের বুলবুল, ২০২০ সালের আম্পান, ২০২১ সালের ইয়াস, ২০২২ সালের অশনি ও ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং।

এছাড়া প্রতিবছরই ছোট-বড় মিলিয়ে ৩/৪টি প্রাকৃতিক দূর্যোগ হানা দেয় উপকূলবর্তী এ জেলাতে। এতে, জেলার উপকূলবর্তী তিন উপজেলা (শ্যামনগর-কালিগঞ্জ ও আশাশুনি) সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বছরের বিভিন্ন সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সৃষ্ট নদী ভাঙনে গত কয়েক বছরে সহস্রাধিক ঘরবাড়ি, মসজিদ, হাফেজি মাদ্রাসাসহ বহু কৃষি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে, ধীরে ধীরে ছোট হয়ে আসছে ওই সমস্ত উপজেলার উপকূলবর্তী অধিকাংশ গ্রাম। এতে, একদিকে যেমন নি:স্ব হয়েছে উপকূলের মানুষ অপরদিকে সহায় সম্বল হারিয়ে বাসস্থান ছেড়েছেন অনেকে।

এদিকে, গেল কয়েক বছরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধি পাওয়াতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে উপকূলের মানুষ। প্রতিটা দুর্যোগের আঘাতের ক্ষত কাটিয়ে উঠতে না পারলেও এবার নতুন করে ঘূর্ণিঝড় মোখা ভাবাচ্ছে উপকূলবর্তী এ জেলার ২২লক্ষ মানুষকে। ইতিমধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তর ঘূর্ণিঝড় মোখাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুশিয়ারি সংকেট দেখিয়েছে।’

সর্বশেষ আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, মোখা প্রবল ঘূর্ণিঝড় সুপার সাইক্লোনে রূপ নিতে পারে বলে ধারণা করছেন আবহাওয়াবিদরা। গতিপথ পরিবর্তন না হলে ঘূর্ণিঝড়টি টেকনাফ এবং মিয়ানমারের উপকূলে আগামী ১৩ মে সন্ধ্যা থেকে পরের দিন ভোরে নি¤œচাপটি ঘূর্ণিঝড় আকারে আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা তাদের। যদি তেমনটি হয় তাহলে সাতক্ষীরা উপকূলে ঘূর্ণিঝড় মোখার কারনে বড় কোন প্রভাব পড়বেনা। তবে, যদি দিক পরিবর্তন হয়ে ঝড়টি বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসে তাহলে বড়ধরণের ক্ষতির সম্মুখীন হবে সাতক্ষীরাসহ আরও কয়েকটি অঞ্চল।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের এই পূর্বাভাসের পর থেকে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন সাতক্ষীরা উপকূলের কয়েক লাখ মানুষ। যদিও উপকূলে এখনও নির্মিত হয়নি টেকসই বেড়িবাঁধ। ফলে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারী বর্ষণ আর জোয়ারের পানি বেড়ে গেলে উপকূলের জরাজীর্ণ ও দুর্বল বাঁধগুলো কত সময় টিকে থাকবে তা নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

তারা বলেন, ঝড়ে যত ক্ষতি করে বাঁধ ভেঙে করে তার শতগুণ। দুর্বল বাঁধের কারণে জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যায় মাঠে পর মাঠ। বর্তমানে জীবন বাঁচানোর জন্য তাদের প্রতিকূল পরিবেশের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয়। দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা পেলেও বাঁচার জন্য নতুন করে শুরু করতে হয় সংগ্রাম। বসতভিটাসহ গবাদি পশু ও আবাদি জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পথে বসতে হয় বহু পরিবারকে। প্রতিবছর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বন্যার হার, তীব্রতা এবং স্থায়িত্ব সাতক্ষীরা উপকূলে বেড়েই চলছে। এতে এখানকার মানুষের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে বিভিন্ন অবকাঠামোর ক্ষতি হচ্ছে দাবি করে তারা বলেন, সরকারি ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সেই সময় তাদের সাহায্য করলেও দুর্যোগ-পরবর্তী সময় সবকিছু হারিয়ে তারা নি:স্ব হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করে। একারনে, স্থায়ীভাবে যদি বাঁধ মেরামত করা হয় তাহলে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরবে উপকূলের জনপদে বলে দাবি করেন তারা।

সাতক্ষীরার ভাঙন কবলিত শ্যামনগর, আশাশুনি ও কালিগঞ্জ উপজেলাতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লবণাক্ততা এবং প্রচন্ড গরমে উপকূলীয় বেড়িবাঁধ ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। এছাড়া বালুযুক্ত জরাজীর্ণ বাঁধে বৃষ্টির পানি পড়লেই তা গলে যেতে শুরু করে। ফলে জোয়ারের পানির চাপ বাড়লে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

বর্তমানে বেড়িবাঁধের বিভিন্ন স্থানে সংস্কারের কাজ চললেও বেশ কিছু স্থান এখনো মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যা ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারের চাপ মোকাবিলায় সক্ষম না বলে দাবি করেন তারা।

শ্যামনগরের বাসিন্দা আল আমিন বলেন, দ্বীপ ইউনিয়ন হিসেবে পরিচিত আমাদের গাবুরা ইউনিয়নের চকবারা, লেবুবুনিয়া, হরিষখালীসহ কয়েকটি এলাকার বেড়ীবাঁধের ৮টি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ঝড়ের পূর্বে যদি ওই বাঁধ সংস্কার করা না হয় তাহলে ওই ইউনিয়নের একাধিক গ্রাম প্লাবিত হবে।

একই উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের সাহেব আলী নামে অপর এক ব্যক্তি বলেন, বর্তমানে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দুর্গাবাটির তিনটি পয়েন্ট ও দাতিনাখালীর একটি পয়েন্ট মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এসব এলাকার বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হতে পারে। ইতিমধ্যে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের নুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের ইউনিয়নের রুইয়ারবিল, কুড়িকাউনিয়া, সুভদ্রাকাটি, চাকলা, মাদারবাড়িয়া এলাকার বেশ কিছু পয়েন্ট অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। দ্রুতসময়ের ভিতরে যদি ওইসমস্ত এলাকার বাঁধ মেরামত করা না হয় তাহলে বড়ধরণের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

এপ্রসঙ্গে, সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো-১) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দীন বলেন, আমাদের ডিভিশনের ৩৮০ কি.মি. বেড়িবাঁধের মধ্যে ৩কি.মি. অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে আমরা চিহ্নিত করেছি। ইতোমধ্যে ওই ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। আর, বড় কোন ধরণের দূর্যোগ না আসলে বাঁধ ভাঙার কোন আশঙ্কা নেই বলে জানান তিনি।

একই রকম সংবাদ সমূহ

আশাশুনির বড়দল লক্ষীখোলা খাস ও ভিপি সম্পত্তিতে মৎস্য প্রকল্প সাময়িক স্থগিত

জি এম আল ফারুক, আশাশুনি: আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের লক্ষীখোলা গ্রামে সরকারিবিস্তারিত পড়ুন

আশাশুনির আনুলিয়ায় রাস্তায় ইট তুলে বিক্রি করলেন মেম্বার আলাউদ্দিন

জি এম আল ফারুক, আশাশুনি: আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়ায় সরকারি রাস্তায় ইট তুলেবিস্তারিত পড়ুন

আশাশুনিতে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশুদের একিভুত শিক্ষা বিষয়ক এডভোকেসী সভা অনুষ্ঠিত

জি এম আল ফারুক, আশাশুনি: আশাশুনিতে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশুদের একিভুত শিক্ষা বিষয়কবিস্তারিত পড়ুন

  • আশাশুনির চেউটিয়া নদী উন্মুক্ত করে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন
  • আশাশুনি প্রেসক্লাবের আয়োজনে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালিত
  • আশাশুনিতে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালিত
  • আশাশুনিতে পিএফজি’র অগ্রগতি পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা প্রণয়ন সভা
  • আশাশুনির শ্রীউলায় দোকানের সামনে বালু ফেলে জমি জবর দখলের অভিযোগ
  • আশাশুনি প্রেসক্লাবে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী এড: শহিদুল ইসলাম পিন্টুর মতবিনিময়
  • আশাশুনির তুয়ারডাঙ্গায় সনাতনী সম্মেলন অনুষ্ঠিত
  • আশাশুনির বুধহাটা নৈকাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হলেন তরিকুল ইসলাম
  • আশাশুনিতে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী এ্যাড. শহিদুল ইসলাম পিন্টুর ইফতার মাহফিল
  • আশাশুনিতে একসরা সিডিএসপি বিডির বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন
  • সাতক্ষীরায় খাস জমি মুক্ত করা ও ইজারা গ্রহীতাদের নামে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • আশাশুনিতে চেতনানাশক ঔষধ স্প্রে করে আবারো নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট
  • error: Content is protected !!