দেবহাটা ছাত্রদল নেতাকে অব্যাহতির প্রতিবাদ ও কেবিএ কলেজ ছাত্রদলের পুনরায় ভোটের দাবী


সাতক্ষীরার দেবহাটায় কলেজ ছাত্রদলের ভোট পুনরায় গননা করতে বলার অপরাধে ফ্যাসিস্ট আমলের সর্বোচ্চ মামলার আসামী, নির্যাতনের শিকার ত্যাগী ছাত্রদলের আহবায়ক ফরহাদকে অব্যাহতির প্রতিবাদে এবং পুনরায় কলেজের ভোট গ্রহনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ছাত্ররা।
সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে জনার্কীন সংবাদ সম্মেলেন লিখিত সরকারি খানবাহাদুর আহছানউল্লাহ কলেজের ছাত্রদল কলেজ কমিটির সভাপতি প্রার্থী মো: রাকিব হোসেন।
তিনি বলেন- আমরা যথাক্রমে মো: রাকিব হোসেন এবং ইব্রাহিম হোসেন। আমরা দেবহাটা উপজেলার বাসিন্দা এবং সরকারি খানবাহাদুর আহছানউল্লাহ কলেজের শিক্ষার্থী। রাকিব হোসেন সরকারি খানবাহাদুর আহছানউল্লাহ কলেজের ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী এবং ইব্রাহিম হোসেন কলেজের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। একাধিক প্রার্থী থাকায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের খুলনা বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত টীম কলেজের কমিটির গঠনের লক্ষ্যে ভোটের নির্দেশনা দেন। টীম প্রধান ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শাফি ইসলাম এবং টীমের সদস্যযথাক্রমে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: হাসানুর রহমান ও শাহেদ হাসান। আমাদের প্রতিপক্ষ প্রতিদ্বন্দ্বি সভাপতি পদে প্রার্থী ছিলেন ইমরান হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী ছিলেন শরিফুল ইসলাম বাবু। গোপনে খবর পেয়েছি আমাদের বিরুদ্ধের প্রার্থীরা নানাভাবে বিভাগীয় টীমকে ম্যানেজ করে প্রকৃত ত্যার্গী এবং হামলা মামলার শিকার এমন প্রার্থীদের বাদ কমিটি গঠনের ষড়যন্ত্র লিপ্ত। কিন্তু আমাদের প্রতিরোধে সেটি সম্ভব হয়নি।
তিনি আরো বলেন বিভাগীয় টীমের সিদ্ধান্তে গত ৪ মে কলেজ ছাত্রদলের ভোট অনুষ্ঠিত হয়। মোট ভোটার ২৬২ জন হলেও ভোট সংগ্রহ হয়েছিল ১৮৯ টি। সাধারণ সম্পাদকের ৪টি ভোট বাতিল হয়। ভোট শেষে গননা শুরু হওয়ার পর চক্রান্তের আরেক নতুন মোড় দেখতে পায়। ঘোষণা অনুযায়ী সভাপতিপ্রার্থী রাকিব ভোট পান ৮৭ টি এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ইব্রাহিম হোসেন ৮৭টি। এতে আমরা দুজইন পরাজিত হই। ফলাফল ঘোষনার পর সন্দেহ হওয়ায় আমি ইব্রাহিম হোসেন টীমের কাছে আবেদন করি। আবেদন অনুযায়ী আমার ভোটের ফলাফল গননা করলে আমি ভোট পাই ৯৮টি। এতে আমি বিজয়ী হয়। আমার আবেদনের পর সভাপতিপ্রার্থী রাকিব তার পুনরায় ভোট গননার আবেদন জানালেও টীমের সদস্যরা সেটি গ্রহণ না করে তালবাহানা করতে থাকে। পরে দুপুরের খাবারের পরে অধ্যক্ষের রুমে গননা হবে। কিন্তু খাবারের পর তারা সাতক্ষীরায় গিয়ে গননার কথা বলে গাড়ী ছেড়ে দেয়। গাড়ী ছাড়ার কিছুক্ষণ পর তারা খুলনায় গিয়ে ভোট গননার কথা বলে। সে সময় উপজেলার আহবায়ক ইমরান ফরহাদ টীমের সদস্যদের অনুনয় বিনয় করে আবেদন জানিয়ে বলেন, এখান থেকেই ভোট গননা করে ফলাফল দিয়ে যান। কিন্তু আহবায়ক ইমরান ফরহাদের আবেদনটাকে তারা তাদের জন্য অপমান হিসেবে গ্রহণ করে এবং খুলনায় পৌছেই কোন প্রকার কারণ দর্শানোর নোটিশ বা সতর্ক ছাড়াই উপজেলার একজন ত্যাগী নেতা ইমরান ফরহাদকে অব্যাহতি পত্র পাঠায়। যা সম্পূর্ণ অগঠনতান্ত্রিক এবং সংগঠনের পরিপন্থি। অথচ ইমরান ফরহাদ উপজেলা বিএনপি,যুবদল, ছাত্রদলসহ সকল অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে তিনিই সর্বোচ্চ মামলার আসামী। সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের হাতে নির্যাতিত। এধরনের একজন নেতাকে কোন প্রকার নোটিশ ছাড়াই একেবারে অব্যাহতি প্রদান করায় আমরা বিষ্মিত হয়েছি, হতবাগ হয়েছি। বার বার কারাবরণকারী ফরহাদদের মত ত্যাগী শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিকদের এভাবে অব্যাহতি দল ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ত্যাগী নেতাকর্মীরা দলের প্রতি আস্থা হারাবে। ইতোপূর্বে কালিগঞ্জ সরকারি কলেজেও একই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে বিভাগীয় টীম। তাদের আয়োজনে ছাত্রলীগের সহযোগি তৌহিদকে ভোটের মধ্যে নির্বাচিত করানোর চেষ্টা করলেও সাধারণ কর্মীদের আন্দোলনের মুখে ভোট স্তগিত হয়। এতে সংগঠনের ভাবমুর্তি দারুনভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে।
আমরা অবিলম্বে উপজেলার ত্যাগী নেতা ইমরান ফরহাদ কে স্বপদে বহাল এবং পুনরায় কলেজ ছাত্রদলের ভোটের আয়োজন করে সুষ্ঠুভাবে ভোট সম্পন্নের দাবিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সকল নেতৃবৃন্দের প্রতি বিনীত আহ্বান জানাচ্ছি।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
