নৌকাডুবিতে লিবিয়া উপকূলে ৭৪ শরণার্থীর মৃত্যু
লিবিয়া অন্তত ৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই নৌকাটিতে ১২০ জনের বেশি যাত্রী বহন করা হয়েছিল। জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অরগানাইজেশন উপকূলে শরণার্থী বহনকারী একটি নৌকাডুবির ঘটনায়অব মাইগ্রেশন (আইওএম)এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর আলজাজিরা ও এনডিটিভির।
আইওএম এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, খোমস উপকূলে নৌকা ডুবে কমপক্ষে ৭৪ শরণার্থী প্রাণ হারিয়েছেন। জেলে ও উদ্ধারকর্মীরা নৌকাডুবির ঘটনায় ৪৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছেন। উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। ওই দুর্ঘটনাকে বিধ্বংসী বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
চলতি বছর বিভিন্ন দেশ থেকে ইউরোপে শরণার্থীদের ঢল বেড়ে গেছে। উন্নত জীবনের আশায় অনেকেই বিপজ্জনক পথ পাড়ি দিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রবেশের চেষ্টা করে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে লিবিয়া এবং প্রতিবেশী তিউনিশিয়া থেকে বেশিসংখ্যক শরণার্থী ইউরোপে পাড়ি জমাচ্ছেন।
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে ৭৫ মাইল পশ্চিমে অবস্থিত বন্দরনগরী খোমস। চলতি বছরের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে আটটি শরণার্থী বোঝাই নৌকা দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। ফলে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
আইওএম জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনাকবলিত নৌকাটিতে ১২০ জনের বেশি যাত্রী ছিল। এর মধ্যে নারী ও শিশুও ছিল। ১ অক্টোবরের পর থেকে এ নিয়ে ভূমধ্যসাগরে আটবার নৌকাডুবির ঘটনা ঘটল।
এ ঘটনার দুদিন আগেই কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরে দুটি নৌকা উল্টে যাওয়ার ঘটনায় কমপক্ষে ১৯ জন ডুবে মারা যান। এদের মধ্যে দুই শিশুও ছিল। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, গত সাত বছরে ২০ হাজারের বেশি শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)