সাতক্ষীরার ধানদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরার ধানদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই মিথ্যে অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানান, পাটকেলঘাটা থানার পাঁচপাড়া গ্রামের মৃত. আব্দুস সামাদ সরদারের ছেলে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি ১নং ধানদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছি। কিন্তু ইউনিয়নে আমার প্রতিপক্ষরা সামাজিকভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন ও হয়রানি করতে দীর্ঘদিন ধরে চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র বরাদ্দকৃত প্রতিবন্ধী, বিধবা ও বয়স্ক ভাতার কার্ডের আবেদন শুরু হয়। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এবারে প্রত্যেকই স্ব স্ব মোবাইল নাম্বার যুক্ত করতে হবে। বিধায় কার্ডের আবেদনকারিদের মোবাইল নাম্বার দেয়ার জন্য আমরা ব্যক্তিগত ভাবে যোগাযোগ করার পাশাপাশি এলাকায় মাইকিং করে ও স্থানীয় মসজিদের মাইকে প্রচার করেছি। কিন্তু ইউনিয়নের কিছু মানুষ যথাসময়ে তাদের মোবাইল নাম্বার পৌছে দেয়নি। অথচ আবেদনের সময় চলে যাচ্ছিল। ফলে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা জেলা সমাজসেবা অফিসারের সাথে কথা বললে জানানো হয়, মোবাইল নাম্বার যুক্ত না করলে আবেদন ফরম পূরণ করা যাবে না। আবেদন পূরনের পর নাম্বার পরিবর্তন করা যাবে। সে অনুযায়ী পরিষদের উদ্যোক্তা শহিদুল ইসলাম তার নিজের মোবাইল নাম্বার দিয়ে বেশ কয়েকটি ফরম পূরন করেন। এখানে উক্ত ভাতার টাকা আত্মসাত বা ভাতাভোগীদের ফাঁকি দেওয়ার কোন উদ্দেশ্যে আমাদের নেই।
চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বর্তমান সরকার ভাতাভোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা তারা পাচ্ছে কি না তা যাচাইয়ের জন্য তাদের দেওয়া মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হয়ে তারপর টাকা প্রেরণ করেন। এছাড়া সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী একটি মোবাইল নাম্বারে এক বারের বেশি টাকা ঢুকানোর কোন সুযোগ নেই। সেখানে আমার পরিষদের উদ্যোক্তা তার একটি মাত্র নাম্বার একাধির ব্যক্তির ক্ষেত্রে ব্যবহার করেছেন। যা পরবর্তীতে স্ব স্ব ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করে তাদের মোবাইল নাম্বার ব্যবহার নিশ্চিত করেছেন। এমনকি নগদ কোম্পানির কর্মকর্তা এবং সমাজসেবা অফিসের তত্ত¡বাধায়নে ও ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতায় ৫ বার তাদের মোবাইল নাম্বার সংশোধন করে প্রকৃত ভাতাভোগির মোবাইল নাম্বারেই তাদের টাকা দিয়ে নিশ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু আমার প্রতিপক্ষরা শুধুমাত্র হয়রানি এবং সামাজিকভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন এবং আমার পরিষদবর্গের সুনাম নষ্ট করতে মাছুম নামের একজন তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে মিথ্যে ও বানোয়াট অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
তিনি ধানদিয়া ইউনিয়নের পরিষদবর্গের নামে মিথ্যে, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অপ্রচারের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্দে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)