প্রাণঘাতী অ্যান্টি ট্যাঙ্ক মিসাইলের সফল পরীক্ষা ভারতে, উৎপাদন শুরু


পোখরান রেঞ্জে অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল নাগ সফলভাবে উৎক্ষেপণ করেছে ভারত। থার্ড জেনারেশন অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইলটির শেষ পরীক্ষা হলো এদিন।
ডিআরডিওর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এবার সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি এই মিসাইলের উৎপাদন শুরু হবে। এই মিসাইল যে কোনও পরিস্থিতিতে শত্রুর প্রতিটি টার্গেটকে ধ্বংস করতে পারে।
ডিআরডিও সূত্রের খবর, এই মিসাইল, ছবির মাধ্যমে সঙ্কেত পেয়ে টার্গেট স্থির করে নিতে পারে।
এমনকি শত্রু ট্যাঙ্কের পিছু নিয়ে তাকে ধ্বংসও করতে পারে। এই মিসাইল এতোটাই হালকা যে একে পাহাড়ি এলাকায় এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যেতে কোনও অসুবিধা হবে না। মাত্র ৪২ কিলো এর ওজন বলে জানা গেছে।
এখনও পর্যন্ত এর জন্য ৩৫০ কোটির বেশি টাকা ব্যয় হয়েছে।
প্রায় ১০ বছর পর্যন্ত এটি টানা ব্যবহার করা যেতে পারে। এই মিসাইলের ৮ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক বহন করার ক্ষমতা রয়েছে বলে জানা গেছে। সেনা সূত্রের খবর, এই অ্যান্টি ট্যাংক গাইডেড মিসাইলটি দুটি ভিন্ন রেঞ্জের টার্গেটকে সফলভাবে হিট করে।
চীন সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যেই ভারতের একের পর এক মিসাইল পরীক্ষা বেইজিংকে চাপে রেখেছে বলেই মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা। রাজস্থানের পোখরানের ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে এর পরীক্ষা হয়। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি এই মিসাইল প্রস্তুত করেছে ডিআরডিও।
গত দেড় মাসে ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা প্রায় ১২টি মিসাইল সফলভাবে পরীক্ষা করেছে। তবে নাগ মিসাইলটি যে কোনও দেশের ট্যাঙ্ক ধ্বংস্ব করতে সক্ষম।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এই মিসাইলটি কেরিয়ার থেকে বের হওয়ার পরে ৪ কিমি থেকে ৭ কিমির মধ্যে যে কোনও লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত করতে সক্ষম।
নাগ মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণের ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েলের কাছ থেকে আর মিসাইল কেনার প্রয়োজন পড়বে না। এটি দিন বা রাত, যে কোনও সময়ে কাজ করতে সক্ষম।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
