কলারোয়ার চাকুরী দেয়ার নামে টাকা আত্মসাতের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কুশোডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসলামুল আলম আসলাম কর্তৃক দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী পদে চাকুরী দেয়ার নামে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা আত্মসাতের প্রতিবাদে ও তার অনিয়ম দূর্নীতির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের কলাটুপি গ্রামের মৃত ছমেদ আলীর ছেলে ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ভুক্তভোগী বাবর আলী।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আসন্ন ৫ম ধাপে অনুষ্ঠিতব্য কলারোয়া উপজেলার ১০নং কুশোডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আসলামুল আলম আসলামের বহু অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগসহ মামলাও রয়েছে।
তিনি বলেন, কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নে কলাটুপি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আমার ছেলের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী পদে চাকুরী দেওয়ার নামে চেয়ারম্যান আসলাম আমার কাছ থেকে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা গ্রহন করেন। এছাড়া তিনি পানিকাউরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আলমগীর হোসেন চাকুরী থেকে পদত্যাগ করার পর ১৩ মাসের টাকা উত্তোলন করে তা আত্মসাৎ করেন। তার বিরুদ্ধে এ ঘটনায় উক্ত প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য রুমি খাতুন বাদী হয়ে আদালতে একটি দেওয়ানী মামলাও দায়ের করেন। চেয়ারম্যান আসলাম নিজেকে আওয়ামীলীগ দাবি করলেও তিনি একজন স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সদস্য। তার একমাত্র ভাই ইমাম হোসেন খান নাশকতা মামলার চার্জশীট ভুক্ত আসামী। ইমাম কুশোডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক। ভাই চেয়ারম্যান হওয়ার সুবাদে তিনি ২০১৩ সালের ১২ই ডিসেম্বর রাতে কুখ্যাত রাজাকার কাদের মোল্যার ফাঁসি দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় শাকদাহ বাজারে আওয়ামীলীগের অফিস ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে উল্লাস প্রকাশ করেন। শুধু তাই নয় তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর ও পদদলিত করেন এবং প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা নেদু গাজী ও ইশারত সরদারকে বেধড়ক মারপিট ও রক্তাক্ত করেন। তিনি আরো বলেন, চেয়ারম্যান আসলাম টিআর কাবিখা, কাবিটা বিধবা বয়স্ক ভাতার টাকা আত্মসাৎ করে বিলাস বহুল মার্কেট নির্মান করেছেন। দূর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে তিনি কলারোয়া উপজেলা খাদ্যগুদামের নিকটে কোটি টাকা দিয়ে একটি আলিশান বাড়ি কিনেছেন এবং গ্রামের বাড়ীতে কোটি টাকা ব্যয় করে আধুনিক বাড়ি নির্মান করেছেন।
এছাড়া ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে ১৪টি প্রকল্পের নামে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় এলাকাবাসী স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের সচিব বরাবর তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও করেছেন। যা স্থানীয় বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি নিজেকে একজন দরিদ্র আওয়ামীলীগ কর্মী দাবী করে দূর্নীতিবাজ চেয়ারম্যানের কবল থেকে তার ছেলের চাকুরী দেয়ার নামে নেয়া টাকা ফেরত ও তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রসাশসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ, কুশোডাঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তাজ হোসেন সহ অত্র এলাকার আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)