রবিবার, মে ৫, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

৩ ডিসেম্বর বেনাপোল মুক্ত দিবস

৩ ডিসেম্বর, বেনাপোল মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এইদিন মিত্রবাহিনীর সহযোগিতায় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধের মুখে বেনাপোল, শার্শা এলাকা ছেড়ে পিছু হটতে থাকে পাক বাহিনী এবং তাদের দোসররা। আশ্রয় নেয় শার্শার আমড়াখালী সদরে। পরের দিন আঞ্চলিক সদর দপ্তর নাভারনে আশ্রয় নেয় তারা।
এর আগে ২ ডিসেম্বর রাতে বেনাপোল বাজার থেকে আড়াই কিলোমিটার উত্তর পশ্চিম পাশে রঘুনাথপুর গ্রাম ছেড়ে পালায় পাকবাহিনী এবং তাদের দোসররা। আশ্রয় নেয় প্রায় তিন কিলোমিটার পূর্বে পোড়াবাড়ী নারানপুর মাঠপাড়ার ব্যাটালিয়ন সদরে। ৩ ডিসেম্বর দুপুরের দিকে দু’পক্ষের সম্মুখযুদ্ধে ও মুহুর্মুহু কামানের গুলিতে তছনছ হয়ে যায় নারানপুরে পাক সেনাদের চৌকি। মিত্রবাহিনীর সহযোগিতায় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধের মুখে আগের দিন পাকসেনারা রঘুনাথপুর ইপিআার ক্যাম্প ছেড়ে রাতের আঁধারে পালিয়ে বাঁচে।
পাকসেনাদের পিছু হটার খবর পেয়ে বেনাপোলের ওপারে ভারতের বনগাঁর জয়ন্তীপুর থেকে সোজা রঘুনাথপুরের পাশের গ্রাম মানিকিয়া গ্রামে ছুটে আসেন মিত্র বাহিনীর ক্যাপ্টেন মি. রায়সহ দুদেশের সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা। তাদের নির্দেশে ৩ ডিসেম্বর দুপুরের দিকে দুজন মুক্তিযোদ্ধা ৪টি গ্রেনেড নিয়ে রেকি করতে যান নারানপুর ব্যাটালিয়নের আশপাশে। ক্ষুধায় কাতর মুক্তিযোদ্ধাদের ঘরে ডেকে নিয়ে ইউসুফ নামের এক লোক পেটভরে খেতে দেন দুধ মুড়কি আর চিড়ে। খাওয়া শেষে ঘর থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে পাকবাহিনী তাদেরকে ঘিরে ফেলে। ফলে তিনি জীবন নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন পাশের কোদলা নদীতে। মুক্তিযোদ্ধাদের লক্ষ্য করে পাকবাহিনী বৃষ্টির মতো ছুড়তে থাকে গুলি।
এ খবর চলে যায় দুই কিলোমিটার দূরে তিন প্লাটুন সৈন্য নিয়ে মানিকিয়া গ্রামে অবস্থানরত মিত্র বাহিনীর কমান্ডার মি. রায়ের নিকট। বেনাপোলের ওপারে জয়ন্তীপুরে তখন ৫নং সেক্টরের সাব সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্বে প্রধানমন্ত্রীর বর্তমান জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী। তার সাহসিকতায় সেদিন শুরু হয় প্রবল প্রতিরোধ যুদ্ধ। প্রচণ্ড গোলাগুলির খবরে ভীত সন্ত্রস্থ পাক বাহিনী পুটখালি, শিকড়ী বটতলা, বেনাপোল কাস্টমস হাউজ এলাকা ছেড়ে রাতের আঁধারে পিছু হেটে আশ্রয় নেয় যশোর-বেনাপোল সড়কের আমড়াখালি কোম্পানির সদর দপ্তরে। এভাবেই শত্রুমুক্ত হয় বন্দরনগরী বেনাপোল। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মুক্তির আনন্দে উচ্ছ্বসিত মুক্তিযোদ্ধা-জনতার ঢল নামে বেনাপোলে। পাড়া মহল্লায়ও চলে খণ্ড খণ্ড আনন্দ মিছিল। মুক্তির আনন্দে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে ফেটে পড়ে গোটা বেনাপোলের মানুষ।
সংঘবদ্ধ মিত্রবাহিনীর সহযোগিতায় দ্বিগুণ সাহস নিয়ে চলতে থাকে একের পর এক অপারেশন। ৪ ডিসেম্বর শার্শা ও নাভারন এবং ৫ ডিসেম্বর ঝিকরগাছা দখলমুক্ত হয়। এদিন পাকসেনারা ঝিকরগাছা ছেড়ে আশ্রয় নেয় খুলনার শিরোমনি ক্যাম্পে। এভাবেই ৩ ডিসেম্বর বেনাপোল এবং ৫ ডিসেম্বর ঝিকরগাছা এলাকা দখলদার পাকবাহিনীর কাছ থেকে স্বাধীন হবার গল্প শোনাচ্ছিলেন স্থানীয় দুর্গাপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা দীন মোহাম্মদ ওরফে দীনো ও বেনাপোল মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাহ আলম।

একই রকম সংবাদ সমূহ

শনিবারও বন্ধ থাকবে যেসব জেলার স্কুল-কলেজ

দেশব্যাপী চলমান তাপপ্রবাহের কারণে স্কুল খুলতে দ্বিধাদ্বন্দ্বে কর্তৃপক্ষ। শনিবার মাধ্যমিক স্কুল খুলছে।বিস্তারিত পড়ুন

যশোরের মণিরামপুরে ধান ক্ষেত থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার

যশোরের মণিরামপুরে ধান ক্ষেত থেকে অজ্ঞাত যুবকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন

কেশবপুরে বাস-মিনিবাস ও ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সভা

যশোরের কেশবপুর বাস, মিনিবাস ও ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সভা ২ মেবিস্তারিত পড়ুন

  • অভয়নগরে আইএফডিসির শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস
  • বেনাপোলে বাস চাপায় সাইকেল আরোহী নিহত
  • যশোরের অভয়নগরে আইএফডিসির শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
  • ‘নির্বাচনে কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না’: সাতক্ষীরায় নির্বাচন কমিশনার ব্রি.জে. আহসান হাবিব খান
  • মরুর উত্তাপ যশোরে, দেশের সর্বোচ্চ ৪৩.৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড
  • দেশের ৫ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সোমবার বন্ধ ঘোষণা
  • প্রচন্ড গরমে যশোরের রাজগঞ্জে বৃদ্ধের মৃত্যু!
  • শার্শার বাগআঁচড়ায় চাঁদাবাজির সময় গণধোলাইয়ের শিকার কথিত সাংবাদিক সোহাগ
  • তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে মে মাসে, সর্বোচ্চ হতে পারে ৪৪ ডিগ্রি
  • যশোরের তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি, রাস্তার পিচ গলছে
  • খরতাপে পুড়ছে মনিরামপুর
  • দীর্ঘ ৫ দিন ছুটি শেষে যশোরের বেনাপোল বন্দরে কর্মব্যস্ততা