এবার আইন কমিশন থেকে ‘সেই’ এবিএম খায়রুল হকের পদত্যাগ
এবার আইন কমিশনের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ‘সেই’ সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাতে তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা পদত্যাগের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
২০১৩ সালের ২৪ জুলাই প্রথমবারের মতো তিন বছরের জন্য আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান খায়রুল হক। এরপর ২০১৬ সালে মেয়াদ শেষে মেয়াদ আরও তিন বছর বাড়ানো হয়। এরপর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর তাকে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান পদে পুনর্নিয়োগ দিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে আদেশ জারি করা হয়।
এবিএম খায়রুল হক ১৯৪৪ সালের ১৮ মে মাদারীপুরের রাজৈর থানার আড়াইপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক পাস করেন। লন্ডন থেকে ১৯৭৫ সালে বার-এট-ল ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর তিনি ১৯৭৬ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৮২ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।
১৯৯৮ সালের ২৭ এপ্রিল তিনি হাইকোর্টের অস্থায়ী বিচারপতি এবং ২০০০ সালের ২৬ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৯ সালের ১৪ জুলাই আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান এবিএম খায়রুল হক।
তিনি প্রধান বিচারপতি থাকাকালে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিলের মাধ্যমে সাংবিধানিক শূন্যতার সূচনা হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আমলে করা পঞ্চম সংশোধনী বাতিল, সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের করা সপ্তম সংশোধনী বাতিল, বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতার ঘোষক স্বীকৃতি, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অপসারণের সরকারি আদেশকে বৈধতা দেয়া, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সেনানিবাসের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি নিয়ে দায়ের করা লিভ টু আপিল না শুনেই উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেয়া এবং দৈনিক আমার দেশের সম্পাদককে সাজা দেয়ার আদেশ আসে।
সূত্র:কালবেলা
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)