এমপিওভুক্তির শর্ত শিথিল হচ্ছে


২০১৮ সালের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল-কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা সংশোধনের কাজ প্রায় চূড়ান্ত করে এনেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তিতে শর্ত শিথিল করা হচ্ছে। আর শহর এবং গ্রাম পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির শর্তেও আনা হচ্ছে ভিন্নতা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
২০১৮ সালের এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তিতে চারটি শর্ত পূরণ করতে হতো। চারটি শর্তের মধ্যে ছিলো—প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক স্বীকৃতির বয়স, শিক্ষার্থী সংখ্যা, পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এবং পাসের হার।
রাজধানীসহ দেশের শহর ও মফস্বলে একই শর্ত প্রযোজ্য ছিল। কিন্তু সংশোধিত নীতিমালায় শহর ও গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শর্তে এবার ভিন্নতা আনা হচ্ছে। মফস্বল এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তিতে শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চেয়ে শর্ত শিথিল করা হয়েছে।
বিদ্যমান নীতিমালা (২০১৮ সালের নীতিমালা) অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির চারটি শর্তের প্রতিটির মান ২৫ নম্বর। এই ১০০ নম্বরের মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হওয়া সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই এমপিওভুক্ত করা হয়েছে।
নীতিমালার ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, এমপিও পেতে প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতি থাকার জন্য নম্বর ২৫। অ্যকাডেমিক স্বীকৃতির ক্ষেত্রে প্রতি দুই বছরের জন্য ৫ নম্বর এবং ১০ বা এর চেয়ে বেশি বছর হলে পাবে পূর্ণ ২৫ নম্বর।
শিক্ষার্থী সংখ্যার জন্য রয়েছে ২৫ নম্বর। কাম্যসংখ্যক শিক্ষার্থী থাকলে ওই প্রতিষ্ঠান পাবে ১৫ নম্বর এবং এর পরবর্তী ১০ শতাংশ বৃদ্ধির জন্য পাবে ৫ নম্বর করে।
পরীক্ষার্থীর সংখ্যায়ও রয়েছে ২৫ নম্বর। কাম্যসংখ্যক পরীক্ষার্থীর জন্য ১৫ নম্বর, কাম্যসংখ্যার পরবর্তী প্রতি ১০ জনের জন্য পাবে ৫ নম্বর করে।
পাবলিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণের পরিসংখ্যানেও স্বীকৃত পাওয়ার নম্বর ২৫। এর মধ্যে কাম্যহার অর্জনের ক্ষেত্রে ১৫ নম্বর, পরবর্তী প্রতি ১০ শতাংশের জন্য পাবে ৫ নম্বর।
এই নীতি অনুসরণ করে ২০১৯ সালে ২ হাজার ৭৩৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির তালিকা তৈরি হয়। এর মধ্যে দু-একটি প্রতিষ্ঠান বাদ পড়েছে বিভিন্ন সমস্যার কারণে।
মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) নীতিমালা সংশোধনের দীর্ঘ বৈঠকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির শর্ত খানিকটা শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া শহরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চেয়ে গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শর্ত আরও শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নীতিমালা সংশোধনের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন ও শিক্ষক-কর্মচারীদের কল্যাণে যা কিছু প্রয়োজন সরকার তাই করে যাচ্ছে এবং করে যাবে। এ কারণেই নীতিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিগগরই নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে। নীতিমালায় যে অসঙ্গতি রয়েছে তা নিরসনের জন্য কাজ করা হচ্ছে। এতে শিক্ষকদের চলমান সমস্যা সমাধান হবে। ’
মন্ত্রণালয়ের জন তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের বলেন, ‘এমপিও দেওয়ার ক্ষেত্রে শহর ও গ্রামাঞ্চলে কাম্য শিক্ষার্থী, কাম্য ফলাফল, শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগে নুন্যতম যোগ্যতা, শিক্ষকদের পদোন্নতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
