বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

কলারোয়ায় অনাবাদী জলাবদ্ধ জমিতে সাফল্যের ‘পানি ফল’

পানি ফল, দেখতে সিংড়ার মতো বলে স্থানীয়দের কাছে ফলটি পানি সিংড়া নামেও পরিচিত, খেতেও সুস্বাদু। সেই পানি ফল বা পানি সিংড়া চাষে সাফল্য পেয়েছেন সাতক্ষীরার কলারোয়ার বহু কৃষক। মূলত পতিত জলাবদ্ধ জমিতে এর চাষাবাদে ব্যাপক ফলন পরিলক্ষিত হচ্ছে গত কয়েক বছর ধরে। ফলে সাফল্য পেয়ে এই মৌসুমি পানি ফল চাষে অনেকে যেমন ঝুঁকছেন তেমনি পতিত ও জলাবদ্ধ জমিও কাজে লাগানো যাচ্ছে।

যশোর-সাতক্ষীরা আঞ্চলিক মহাসড়কের দু’ধারে পৌরসদরের গোপিনাথপুর ও যুগিবাড়ির কয়েকশত বিঘা জমি বছরের বেশিরভাগ সময় থাকতো জলাবদ্ধ। ফসল তেমন হতোই না। বাধ্য হয়ে কেউ কেউ ভেড়িবাঁধ দিয়ে মাছ চাষের ঘের তৈরি করেছে। তবে অনেকে সেটাও পারেনি। ফলে বেশির জমি থাকতো অনাবাদী। সেই অনাবাদী ও জলাবদ্ধ জমিতে পানি ফল বা পানি সিংড়া চাষাবাদে সাফল্য পাচ্ছেন প্রান্তিক কৃষকেরা। এখন সেই জলাবদ্ধ পতিত জমিতে শোভা পাচ্ছে পানি ফলের গাছ। প্রতিদিন ভোরে নারী-পুরুষ হাটুপানিতে বা কোমরপানিতে নেমে ফল তুলছেন। দিনভর সেখানে যশোর-সাতক্ষীরা আঞ্চলিক মহাসড়কের ধারে বসে পানি ফল বা পানি সিংড়া বিক্রি করতে দেখা যায়। আর ক্ষুদ্র মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ভ্যান, ইজিবাইক বা অন্য যানবাহানে বস্তায় ভরে এই পানি ফল বিক্রির জন্য নিয়ে যান অন্যত্র। এছাড়াও এই পানি ফল বা পানি সিংড়া চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়।

পলাশ, সঞ্জু, সিয়াম, রাসেলসহ অনেকে জানান, উপজেলার পতিত জমিতে পানি ফলের চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মূলত কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় এ ফল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন এখানকার কৃষকরা।

তারা জানান, প্রতি বছর বোরো ধান কাটার পর সেখানকার পতিত জমিতে পানি জমে থাকে। সেই জলাবদ্ধ জমি ও আশপাশের ডোবাসহ খাল-বিলের জমে থাকা পানির মধ্যে এই ফলের লতা রোপণ করা হয়। তিন থেকে সাড়ে তিন মাসের মধ্যে গাছে ফল আসে। এ ফল চাষে সার-কীটনাশকের প্রয়োজন হয় না।

পানি ফল চাষি ওসমান, তৌহিদ, আবুল, কাদের, কবিরসহ কয়েকজন জানান, সরকারি-বেসরকারি খাত থেকে ঋণ সহায়তা পেলে আরো অনেক প্রান্তিক কৃষক পানি ফল চাষের সুযোগ পেতে পারেন। ফলে জলাবদ্ধ ও পতিত জমি আর অনাবাদী থাকবে না, মানুষের আর্থিক স্বচ্ছলতা ও গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা হতে পারে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শুভ্রাংশু শেখর দাস জানান, পানি ফল সম্ভাবনাময় ফসল। এটি বর্ষজীবী জলজ উদ্ভিদ। উপজেলায় চলতি বছর প্রায় ৩৮ হেক্টর পতিত জমিতে পানিফল চাষ হয়েছে। পানিফলের পুষ্টির মান অনেক বেশি।
তিনি আরো জানান, যেকোনো পতিত পুকুর, ডোবা অথবা জলাশয়ে পানি ফল চাষ করা সম্ভব। এর উৎপাদন খরচও কম।

একই রকম সংবাদ সমূহ

সাতক্ষীরার প্রাণসায়র খাল রক্ষায় চ্যানেল আই প্রকৃতি ও জীবন ক্লাবের বৃক্ষরোপন

‘সবুজে সাজাই বাংলাদেশ’ স্লোগানে চ্যানেল আই- প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব সাতক্ষীরার উদ্যোগেবিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়ায় পানি ফলের বাম্পার ফলন

মোস্তফা হোসেন বাবলু: কলারোয়া উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে পানিফল।বিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়ায় ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণ

জুলফিকার আলী, কলারোয়া: কলারোয়ায় ৩ দিনব্যাপী ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলা সমাপনীবিস্তারিত পড়ুন

  • ভরা মৌসুমেও রাজগঞ্জে সবজির দাম বেশি, চরম সংকটে অল্প আয়ের মানুষ
  • সাতক্ষীরায় ভেষজ উদ্ভিদ সংরক্ষণ ও সুষ্ঠ ব্যবহার নিশ্চিতে পাঠচক্র অনুষ্ঠিত
  • কলারোয়ায় প্রথমবারেই শীতকালীন তরমুজে চমক
  • তিন সপ্তাহ পর ইলিশ ধরা শুরু, উচ্ছ্বসিত জেলেরা
  • বাজারে শীতের সবজি, ডাবল সেঞ্চুরির পথে পেঁয়াজ
  • পশ্চিম মনিরামপুরের ৫ সহস্রাধিক পরিবার সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী
  • ঝিকরগাছায় বিনামূল্যের ‘পুষ্টি বাগানে’ উপকৃত ১৭৮ গ্রামের মানুষ
  • কলারোয়ায় রাস্তার ধারে ৫ হাজার তালগাছ রোপন করে এক ব্যক্তির দৃষ্টান্ত
  • প্রথমবারের মতো আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম বেঁধে দিলো সরকার
  • সাতক্ষীরায় সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা শুরু
  • বারমাসি আম চাষে ভাগ্যবদল শার্শার রাজুর