শুক্রবার, আগস্ট ২২, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

কলারোয়ায় এ বছর পানি ফলের ফলন দেরিতে হলেও চাষির মুখে হাসি

কলারোয়া উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে পানিফল। চলতি মৌসুমে উপজেলার ৩৭ হেক্টর জমিতে পানি ফলের চাষ হয়েছে। আর এর বাম্পার ফলন হওয়ায় হাসি ফুটেছে চাষীদের মুখে। স্থানীয়দের কাছে এই ফল ‘পানি সিংড়া’ নামে পরিচিত। পানি ফল বেশ পুষ্টিকর ও সুস্বাদু।

কলারোয়া পৌর সদরের গোপিনাথপুর গ্রামের পানিফল চাষী আব্দুল আজিজ গাজী জানান, ২০০৮ সালে আজিবার নামে এক কৃষক পার্শ্ববর্তী উপজেলা কালিগঞ্জ থেকে বীজ এনে এই ফলের চাষ শুরু করেন। সেই থেকে বছর ১৩ ধরে কলারোয়ার পতিত ও জলাবদ্ধ জমিতে বাণিজ্যিকভাবে পানি ফল চাষ শুরু হয়েছে। কম খরচে অধিক লাভ ও পতিত জমি ব্যবহারের সুযোগ থাকায় কলারোয়া উপজেলায় ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এর চাষাবাদ।

স্থানীয়রা জানান, প্রথমে পানিফলের আবাদ শুরু হয় গোপিনাথপুর গ্রামের আকবর সরদারের জমিতে। এখন তা ছড়িয়ে পড়েছে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন, এমনকি বিভিন্ন গ্রামে। বর্তমানে উপজেলার গোপিনাথপুর, তেলকাড়া, গোয়ালচাতর, কুশোডাঙ্গা, মুরারিকাটি,শুভঙ্করকাটি ও কেড়াগাছি এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে পানিফল। বাংলা ভাদ্র থেকে আশ্বিন মাস পর্যন্ত চাষীরা পানিফলের আবাদ করেন। আর বেচাকেনা চলে বাংলা কার্তিক, অগ্রহায়ণ থেকে পৌষ মাস পর্যন্ত। যশোর সাতক্ষীরা মহাসড়কের কলারোয়া পৌরসদরের গোপিনাথপুর এলাকায় রাস্তার দু’ধারে দেখা মেলে পানি ফলের ক্ষেত। আর মহাসড়কের ধারেই পানিফল বেচতে বসে যান চাষীরা। পাওয়া যায় কলারোয়ার বাজার, বিভিন্ন মোড় ও ফুটপাতেও। বর্তমানে উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য জেলায়ও যাচ্ছে কলারোয়ায় উৎপাদিত পানিফল।

লতার মত গাছটির শেকড় নিচে থাকলেও পানির ওপরে ভেসে থাকে পাতাগুলো। অনেকটা কচুরিপানার মতো। আর ফলগুলোতে দুটি ও তিনটি শিং-এর মত কাঁটা থাকে, তাই স্থানীয়দের কাছে এটি পানিসিংড়া নামে পরিচিত। ফলগুলো দেখতে সবুজ ও লাল হয়। খোসা ছাড়ালে বেরিয়ে আসে সাদা মিষ্টি সুস্বাদু আশ।

পৌর সদরের আব্বাস ও লাভলু, তাহিদুর রহমান, ওসমান গনিসহ কয়েকজন চাষী জানান, জলাবদ্ধ জমিতে পানিফলের চাষাবাদ করা হয়। প্রতি বিঘা জমিতে পানিফল আবাদে ১২-১৫ হাজার টাকা খরচ হয়, আর ফল বিক্রি হয় প্রায় ৩৫-৪০ হাজার টাকার। এর চাষাবাদ বেশ লাভজনক।

তারা জানান, প্রতি কেজি পানিফল ২০-২৫ টাকা দরে পাইকারী বিক্রি হয়। আর খুচরা বিক্রয় হয় ৪০ টাকা দরে। দেশের অন্যান্য জেলায় পানিফলের চাষাবাদ হয় না। তাই মানুষ কম চেনে। কিন্তু স¤প্রতি সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলা থেকে এই ফল যশোর, ঢাকা, মানিকগঞ্জ, চট্টগ্রাম, খুলনা, বগুড়া, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে।এ ব্যাপারে কলারোয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম বলেন,মৌসুমী ফল হলেও পানিফলের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এতে অনেক পতিত জমির ব্যবহার যেমন নিশ্চিত হচ্ছে, তেমনি কর্মসংস্থানও হচ্ছে বাণিজ্যিকভাবে পানিফল চাষে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

সততা-নিষ্ঠা দিয়ে মানুষের মন জয় করতে হবে: জামায়াত নেতা ইজ্জত উল্লাহ

আসাদুজ্জামান ফারুকী: জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও তালা-কলারোয়ার জামায়াত সমর্থিতবিস্তারিত পড়ুন

বৃষ্টির মাঝেও থেমে নেই কলারোয়া বাজারের পানি নিস্কাশন ব্যবস্থার সংস্কার কাজ

জাহাঙ্গীর হোসেন : দিনভর টানা বর্ষণ উপেক্ষা করে কলারোয়া পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা,বিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়ায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে খাতা বিক্রয়সহ দুর্নীতির অভিযোগ

কে এম আনিছুর রহমান, কলারোয়া (সাতক্ষীরা): সাতক্ষীরার কলারোয়ায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসেরবিস্তারিত পড়ুন

  • কলারোয়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে সভা ও র‌্যালি
  • কলারোয়া বাজারে ১৮ নৈশপ্রহরীকে রেইনকোট প্রদান
  • কলারোয়ায় মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে নানা বিষয়ের প্রস্তুতিমূলক সভা
  • কলারোয়ায় মৎস্য সপ্তাহ পালিত
  • কলারোয়ার কেঁড়াগাছি‌ ফুটবল টুর্নামেন্টে স্বাগতিকরা ফাইনালে
  • কলারোয়ার যুগিখালীতে বিএনপির ওয়ার্ড সম্মেলনে ধানের শীষে ভোট প্রার্থনা
  • কলারোয়ায় সাংবাদিক আব্দুর রহমান মোটরসাইকেল দু/র্ঘ/ট/না/য় আ/হ/ত
  • কলারোয়ায় খালেদা জিয়ার জন্মদিনে দোয়ানুষ্ঠান
  • কলারোয়ায় শিবিরের দায়িত্বশীল কর্মশালা
  • কলারোয়ায় গভীর রাতে শেখ মুজিবের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য, অতঃপর..
  • বিএনপি দু’শোর অধিক সিট নিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাবে : সাবেক এমপি হাবিব
  • কলারোয়ায় বালু উত্তোলন করায় ৭০ হাজার টাকা জরিমানা