বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সকালে নওয়াবেঁকি গণমুখী ফাউন্ডেশনের বাস্তবায়নে ১০ টি নারী প্রধান সংগঠনের সহযোগিতায় নারী নেতৃত্বাধীন সিএসওদের অংশগ্রহণমূলক জলবায়ু পরিবর্তন ও অভিযোজন প্রকল্প, ফেজ-২ এর আওতায় এসব কর্মসূচি পালিত হয়।
”নারী ও পুরুষের মজুরি বৈষম্য নিরসন” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন নওয়াবেঁকি গণমুখী ফাউন্ডেশনের প্রকল্প কর্মকর্তা শাহ ইলিয়াস, বিন্দু নারী উন্নয়ন সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক জান্নাতুল মাওয়া সহ বিভিন্ন সিএসও এবং শতাধিক নারী শ্রমিক।
মানববন্ধনে বিন্দুর নির্বাহী পরিচালক জান্নাতুল মাওয়া বলেন, বাংলাদেশের শ্রম আইন ২০০৬, ৪২ নাম্বার আইনের ৩৪৫ ধারায় স্পষ্ট বলা হয়ে হয়েছে নারী-পুরুষ-প্রতিবন্ধী, সমান কাজে কোন মজুরি বৈষম্য করা যাবে না। ওই আইনের ২৭২ নাম্বার ধারায় বলা হয়েছে মালিক পক্ষ মজুরি বা অন্য কোন সুযোগ সুবিধা কমাইতে পারিবে না। ৩৩২ নাম্বার ধারায় বলা হয়েছে নারী যে কোন প্রতিষ্ঠানে যে পদমর্যাদায় কাজে নিযুক্ত থাকুক না কেন তার সাথে অশ্লীল, অভদ্র এবং শ্লীলতাহানী মূলক আচারন করা যাবে না।
বাংলাদেশে এমন একটা আইন থাকার স্বত্বেও তা মানুষ মানছে না এবং বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলের নারীরা নানান সময় নানান ভাবে মজুরী বৈষম্য, শোষণ ও বঞ্চনার স্বীকার হচ্ছে।
তিনি উদাহরণ দিয়ে আরো বলেন, সাতক্ষীরায় ধান মাড়াই,কাটা,ঝাড়া এর কাজে একজন পুরুষ পান ৩০০ টাকা এবং সেই একি কাজে নারী পান ২০০ টাকা। চিংড়ী ঘেরে, মাটি কাজে একই অবস্থা। রাস্তার কাজের ক্ষেত্রে নারী বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছেন। মজুরী বৈষম্যের বিরুদ্ধে সেই ২০০ বছরের বেশি সময় ধরে আমাদের নারীরা যুদ্ধ করলেও এখনো তারা তাদের ন্যর্য্যতা ফিরে পায়নি। অতএব উক্ত আইনের যথাযত প্রয়োগ এর জন্য আপনার মাধ্যমে আমরা সরকারের সর্ব্বোচ মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মানববন্ধন শেষে নারী নেতৃত্বাধীন সিএসওদের অংশগ্রহণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।