নড়াইলে অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হয়ে কোর্টের শরণাপন্ন


নড়াইলের পল্লীতে সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকা বাশী জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা। নড়াইল সদর আড়পাড়া মির্জাপুরে সন্ত্রাসী আজিম শেখ বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকার নিরিহ গ্রামবাশি।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, নড়াইল সদর উপজেলার বিছালি ইউনিয়নের আড়পাড়া মির্জাপুর গ্রামের মৃত ইউনুস শেখের ছেলে আজিম শেখ (৪৫) বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গ্রাম ছাড়া হয়েছে অনেকেই এবং সংখ্যা লঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের চাপের মুখে বাড়ি ছেড়ে পার্শ্ববর্তী ভারতে পাড়ি জমিয়েছেন অনেকেই । শুধু তাই নয়, আজিম শেখ বাহিনীর প্রধান আজিম শেখের নেত্রীত্বে গড়ে উঠেছে মোহাম্মদ চাঁদ মোল্লা (৫০) পিং জলিল মোল্লা,আঃ রাজ্জাক মোল্লা (৫৮) পিং মৃত ছলেমান মোল্লা, নুরুল ইসলাম ডাক্তার (৩৫) পিং শহিদুল মীর,ও সৈয়দ রবিউল ইসলাম রবি (৪৫) পিং মৃত সৈয়দ আলী আজম, সহ অঞ্জাত আরও চার পাঁচ জন কে নিয়ে বিশাল এক বাহিনী। আর এই বাহিনীর প্রধান আজিম শেখের নেত্রীত্বে এলাকায় বিভিন্ন সময় নিরীহ মানুষকে অস্ত্র ঠেকিয়ে জিম্মি করে চাঁদাবাজি, ঘের দখল, বসতবাড়ি, জায়গা জমি হতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গিয়াছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তির সাথে কথা বলে জানা যায় আজিম শেখ বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড আঃ রাজ্জাক মোল্লা ও মোঃ চাঁদ মোল্লা স্থানীয় আড়পাড়া গ্রামের কাওসার মোল্লা পিং মৃত ছলেমান মোল্লা, তার আপন ভাই আঃ রাজ্জাক মোল্লার সাথে দীর্ঘদিন বসত বাড়ির জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় রাজ্জাক মোল্লা আজিম শেখ বাহিনীর সহযোগিতায় রাজ্জাক মোল্লার ভাই ছলেমান মোল্লার বাড়িতে রাত বিরাতে বিভিন্ন সময় ওই আজিম শেখ বাহিনী চাঁদা দাবি করে আসছিল। এমনকী অস্ত্র ঠেকিয়ে কখনো সাত হাজার, কখনো বিশ হাজার, এভাবে কয়এক দফায় প্রায় লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়। একটা সময় ভুক্তভোগী কাওছার মোল্লা চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে মির্জাপুর বাজারের পরে চড়, কিল, ঘুষি মেরে আহত করে। এসময় কোন উপায় উপরন্তু না পেয়ে সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে এসে কোন রকম জীবন বাঁচায়। এই ঘটনায় আহত কাওছার মোল্লা বাদি হয়ে জীবনের নিরাপত্তায় গত ১৮/৮/২০২০ তারিখে নড়াইল অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির হইয়া ১২৪/২০২০, এর ক্রিমিনাল প্রসিডিওর কোডের বাস্ত ভিটায় ১৪৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন আজিম শেখ বাহিনীর বিরুদ্ধে। যাহা তদন্তের মাধ্যমে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ প্রদান করা হয় মির্জাপুর ক্যাম্পের আইসি কে। বিসয়টি নিশ্চিত করে ক্যাম্পের দায়িত্বরত আইসি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিক দের বলেন এব্যাপারে নড়াইল বিজ্ঞ আদালতের দেওয়া আদেশের কপি আমরা পেয়েছি, এবং আমরা যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহন করেছি। এমনকি মামলার বাদীপক্ষ কাওছার মোল্লা কে আমরা আইনি সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে খোঁজ খবর নিচ্ছি। এদিকে মামলার ঘটনা জানাজানি হলে আসামি পক্ষের আজিম শেখ বাহিনীর প্রধান আজিমের নেত্রীত্বে নুরুল ইসলাম ডাক্তার, মোহাম্মদ চাঁদ মোল্লা, রাজ্জাক মোল্লা, সৈয়দ রবিউল ইসলাম সহ অজ্ঞাত আরও পাঁচ ছয়জন কে নিয়ে গত ১৯ শে আগস্ট ২০২০.বুধবার রাত ৮টার দিকে দেশীয় অস্ত্র রামদা, গাছিদা,লোহার রড, পাইপগান নিয়ে আকর্ষিক ভাবে পার্শ্ববর্তী আড়পাড়া কাওছার মোল্লার বাড়িতে ঘরের ভিতর ঢুকে পড়ে। এ অবস্থায় অস্ত্রের মুখে তাদেরকে জিম্মি করে মারধর করে। এবং বাদী কাওছারের কাছে তিন লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে অন্যথায় বসতবাড়ি আজিম শেখ, নুরুল ইসলাম ডাক্তার, চাঁদ মোল্লা, রাজ্জাক মোল্লা, ও সৈয়দ রবিউল ইসলাম কে দলিল করে লিখে দিতে বলে। এসময় বাদীর পরিবার জীবনের ভয়ে হাতজোড় করে কান্নাকাটি করে ক্ষমা চেয়ে প্রান ভিক্ষা চাইতে থাকে কাওছারের পরিবার । তখন ঘরের মধ্যে বাস্কে থাকা থাকা নগদ ৫০, হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম ডাক্তার ও রাজ্জাক মোল্লা । এবং কাওছার মোল্লা ও তার পরিবারকে প্রান নাসের হমকি দিয়ে বলে দুই দিনের মধ্যে তিন লক্ষ টাকা অথবা বাড়ির জমির দলিল করে দিবি এই বলে চলে যায়।নড়াইল সদর উপজেলার আড়পাড়া মির্জাপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায় কাওছার মোল্লা ও আঃ রাজ্জাক মোল্লা পিং মৃত ছলেমান মোল্লা আপন দুই ভাইয়ের মধ্যে নড়াইল মৌজার মির্জাপুর আড়পাড়ার ১৮৯ নং দাগের তফসিল বর্ণিত জমি ভাগাভাগী নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। তারই সূত্র ধরে ভাই রাজ্জাক মোল্লার অত্যাচারে নির্যাতনের শিকার হয়ে গত ১১/৮/২০, মঙ্গলবার নড়াইল কোর্টের শরণাপন্ন হন কাওছার মোল্লা। দ্য ক্রিমিনাল প্রসিডিওর কোডের মাধ্যমে ১৪৪ ধারা জারী করেন।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
