বৃহস্পতিবার, জুলাই ১০, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

পুলিশি নির্যাতন বন্ধ না হলে সপরিবারে আত্মহননের ঘোষণা!

পত্রদূত রিপোর্ট: দাবিকৃত ঘুষের টাকা দিতে না পারায় ছেলের ভায়রা ভাইকে ভারতীয় বানিয়ে জেলে পাঠিয়েছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর ডেমরাইল গ্রামের নিজ বাড়িতে বসে সাংবাদিককের কাছে নিজের ছেলেসহ চারজনকে শুক্রবার রাতে পুলিশ ধরে নিয়ে যাওয়ার চাঞ্চল্যকর ঘটনার বর্ণনা দিতে যেয়ে মনোরঞ্জন মণ্ডল তার স্ত্রী মমতা মণ্ডল কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারা পুলিশি নির্যাতন বন্ধ না হলে আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার কথা জানান।

মমতা মণ্ডল বলেন, দু’মাস আগে মাদক ব্যবসায়ি বিধান কয়ালের ভাগ্নে উজ্জল কয়াল ২০০ বোতল ফেন্সিডিলসহ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়। উপ-পরিদর্শক জিয়ারত আলী ওই রাতে দিলিপ মণ্ডলকে বাড়ি থেকে ধরে তার ছেলে সরোজিতকে ধরতে আসেন। জানতে চাইলে জিয়ারত আলী জানান, উজ্জল কয়াল মাদক বহনকারি আর মালিক হলো দিলিপ ও তার (মমতা) ছেলে সরোজিৎ তাই তাকে ধরতে এসেছেন। একপর্য়ায়ে দিলিপকে ছেড়ে দিতে ও সরোজিতকে না ধরার জন্য ৪০ হাজার টাকা নিয়ে চলে যায় পুলিশ।

তিনি আরও জানান, গত শুক্রবার দু’টি মোটরসাইকেলে উপ-পরিদর্শক জিয়ারত আলীসহ কয়েকজন সাদা পোশাকের পুলিশ তাদের বাড়িতে এসে প্রথমে তক্ষক সাপ বিক্রি, পরে গাজা ও পরে জুয়া খেলার মিথ্যা অভিযোগ এনে তার স্বামী মনোরঞ্জন ও ছেলে সরোজিতের হাতে হাতকড়া পরান। এ সময় তাদের ঘরে ঢুকে এসবেস্টার্স এর চাল ভাঙচুর করা হয়। ভাঙচুর করা হয় আসবাবপত্র বাড়ির কালিমন্দিরের ভিতরে জুতো পরে ঢুকে জিনিসপত্র তছনছ করা হয়। খবর পেয়ে ভাই ইউপি সদস্য প্রশান্ত হালদার মোটরসাইকেলে তাদের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করলে তাকেও মাদক দিয়ে গ্রেপ্তারের হুমকি দেওয়া হয়। স্থানীয় লোকজনও পুলিশের হুমকিতে তাদের বাড়িতে আসতে পারেনি। সরোজিতের কোমরে পুলিশ গাজার পুরিয়া দিয়ে মাদক ব্যবসায়ি বানানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে ভাই প্রশান্ত মেম্বরের সঙ্গে থাকা দেবেন ম-ল ও সুভাষ ম-লকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে এসে তাদের হাতকড়া পরিয়ে তাদের বাড়িতে রাখা হয়। এসব ঘটনা দেখে বেড়াতে আসা বড় ছেলে স্বন মণ্ডলের ভায়রাভাই শ্যামনগরের কাঁচড়াহাটি গ্রামের কমলেশ মণ্ডল ঘর থেকে বেরিয়ে এলে তাকেও নানা প্রশ্নবানে জর্জরিত করে পুলিশ।

একপর্যায়ে এলাকায় কয়েক বছর ধরে বিচরণকারি একটি তক্ষক সাপ ধরে আনতে বলে স্বামী মনোরঞ্জনের হাতকড়া খুলে দেওয়া হয়। এ সময় চারজনকে ছেড়ে দিতে ভাই প্রশান্ত হালদারের কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেন উপ-পরিদর্শক জিয়ারত হোসেন। খবর পেয়ে কালীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে এলে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে জিয়ারত আলী সরোজিত, কমলেশ, দেবেন ও সুভাষকে থানায় নিয়ে যান। সেখানে ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রশান্ত মেম্বরের মোটরসাইকেলসহ তিনজনকে ছেড়ে দেওয়া হলেও ২০ হাজার টাকা দিতে না পারায় কমলেশকে ভারতীয় নাগরিক বানিয়ে পরদিন মামলা দিয়ে জেলে পাঠায় পুলিশ।

মমতা রানী মণ্ডল বলেন, পুলিশ শুধু সরোজিতসহ চারজনকে ধরে নিয়েই শান্ত হয়নি। টাকার বিনিময়ে তিন জনকে ছেড়ে দিলেও শুক্রবার সারারাত ও শনিবার রাত পর্যন্ত দু’বছরের শিশু বাচ্চাকে নিয়ে পুত্রবধু, ছোট ছেলে ভাস্কর ও তারা স্বামী স্ত্রী কাউকে বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি। স্থানীয় গ্রাম পুলিশ তরুণ বাউলিয়াকে তাদের বাড়িতে উপস্থিত রেখে রাত ও দিনভর তা-ব চালিয়েছে। কমলেশের স্মার্ট কার্ডসহ চেয়ারম্যানের প্রত্যয়ন নিয়ে থানায় গেলেও উপ-পরিদর্শক জিয়াত আলী হরিদাস ম-লসহ কয়েকজনকে নানাভাবে হয়রানি করেছে। পুলিশি নির্যাতন বন্ধ না হলে সপরিবারে আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান তিনি।

একই পাড়ার বাসিন্দা বাবুরাম মণ্ডল ও অমিত মণ্ডলসহ কয়েকজন সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে মনোরঞ্জন মণ্ডলের বাড়িতে এসে শুক্রবার রাত থেকে শনিবার রাত পর্যন্ত পুলিশের তা-বের কাহিনী তুলে ধরেন। এলাকায় কয়েকটি হিন্দু পরিবার বসবাস করলেও তারা সেদিন পুলিশের গালিগালাজ আর হুমকিতে মনোরঞ্জন মণ্ডলের বাড়িতে ঢুকতে পারেননি বলে জানান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, এলাকার বাহাদুরপুর গ্রামের আব্দুল আজিজ ও সিরাজুল ইসলাম, ডেমরাইলের কৌশিক চক্রবর্তী ও একই গ্রামের বিধান কয়ালসহ একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন ধরে ভারত থেকে মাদকসহ বিভিন্ন চোরাচালানি পণ্য অবৈধভাবে বাংলাদেশে নিয়ে আসছে। সরোজিত বেড়িবাঁধের উপর দোকান নির্মাণ করার পর থেকে ওই চক্রটি চোরাচালানে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে মাসোহারা দেওয়া ওইসব মাদক ব্যবকসায়িরা পুলিশকে ব্যবহার করে একের পর এক হয়রানি করছে মনোরঞ্জন মণ্ডলের পরিবারকে। তাছাড়া ভয় দেখালে টাকা মেলায় পুলিশের কাছে না চাইতেই বৃষ্টির মতো মনে হওয়ায় বার বার ওই বাড়িতে হামলা করছে। মামলা খাওয়ার ভয়ে তাই কেউ বলিষ্টভাবে প্রতিবাদ করে না। তা ছাড়া সাড়ে তিন বছর ধরে একই থানায় থাকায় উপজেলা চেয়ারম্যান থেকে ধলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান পর্যন্ত কেউ তাকে ঘাটাতে সাহস না পাওয়ায় সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করবে কিভাবে? সূত্র : দৈনিক পত্রদূত

একই রকম সংবাদ সমূহ

কালিগঞ্জে পুকুরে ডু*বে শি*শুর মৃ*ত্যু

মো: আবু বক্কর সিদ্দিক, কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা): কালিগঞ্জের পল্লীতে খেলতে গিয়ে পুকুরে ডুবেবিস্তারিত পড়ুন

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন কালিগঞ্জের শিক্ষক আজিজুর রহমান

মো: আবু বক্কর সিদ্দিক, কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা): সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে ধর্মীয় মূল্যবোধ, শিক্ষা ওবিস্তারিত পড়ুন

কালিগঞ্জ রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান

আবু বক্কর সিদ্দিক : সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা সদরে অবস্থিত রোকেয়া মনসুর মহিলাবিস্তারিত পড়ুন

  • সাতক্ষীরায় দীর্ঘ ১৩ বছর পর নিজ বাড়িতে ফিরেছেন জামায়াত নেতা মোশারাফ
  • কালিগঞ্জে জোরপূর্বক জমি দখল, হুমকি ও হয়রানির প্রতিকারের দাবিতে গৃহবধূর সংবাদ সম্মেলন
  • সাতক্ষীরায় র‌্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার কালিগঞ্জের কাদের
  • সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে ডোবায় পড়ে শিশুর মৃ*ত্যু
  • কালিগঞ্জে শিবিরের সাবেক ও বর্তমানদের নিয়ে ঈদ পুনর্মিলনী
  • কালিগঞ্জে জামায়াত ইসলামীর শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত
  • কালিগঞ্জে গাঁজাসহ যুবক গ্রেফতার
  • কালিগঞ্জে পৌরসভা গঠনে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত
  • অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য আহাদ আলী বিশ্বাসের দাফন সম্পন্ন
  • কালিগঞ্জে ভূমি সেবা মেলার উদ্বোধন
  • ঢাকাস্থ সাতক্ষীরা জেলা শ্রমিক কল্যাণ একতা সংঘ উদ্বোধন
  • কালিগঞ্জে মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নে নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মশালা