বেনাপোলে ব্যবসায়ীর ছেলেকে গুম,পরিবারের সংবাদ সন্মেলন


যশোরের বেনাপোলের বিশিষ্ট ফার্নিচার ব্যবসায়ী মৃত নুর ইসলাম বংকারের জ্যেষ্ঠ পুত্র মো. ইসমাইল সর্দার (৪৫) কে গত রাত ২টার দিকে কয়েকজন সাদা পোষাকধারী লোক বেনাপোল পাটবাড়ী মন্দির সংলগ্ন হিন্দুপাড়া(বাঙ্গাল পুকুরের পশ্চিম পার্শ্বে)’র তার বাড়ী থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায়।
সোমবার (৩১ মে) সীমান্ত প্রেসক্লাব বেনাপোলে এক সাংবাদিক সন্মেলনে এসব কথা বলেন গুমের স্বীকার ইসমাইল সর্দারের স্ত্রী মোছাঃ আসমা খাতুন। সংবাদ সন্মেলনে তিনি বলেন, আনুমানিক রাত ২টার দিকে ৬/৭ জনের কয়েকজন সাঁদা পোষাকধারী লোক বাড়ীর দরজায় এসে আঘাত করে এবং বাড়ীর লোকজনদেরকে দরজা খুলতে বলে, এসময়ে বাড়ীর লোকজন তাদের পরিচয় জানতে চাইলে,তারা পুলিশের লোক বলে পরিচয় দেয়।
পুলিশ পরিচয় দেওয়াতে আমরা দরজাটা খুলে দেয়। তারা ঘরের ভিতর ঢুকেই আমার স্বামী ইসমাইল সর্দার কে লুঙ্গী পরা অবস্থায় তাকে মারধর করতে করতে বাড়ীর বাইরে নিয়ে যায়,এসময়ে তাকে ধরার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা কোন উত্তর না দিয়ে আমার কাছে থাকা মোবাইল ফোনটি সহ আমার স্বামী কে বেনাপোল বলফিল্ডের দিকে ধরে নিয়ে সেখানে অবস্থানরত একটি মাইক্রোবাসে তাকে তুলে নিয়ে যায়।
ঘটনার পরপরই বেনাপোল পোর্টথানায় খবর দিলে থানা পুলিশের একটি টহলদল ঘটনা স্থলে পৌছে। কে বা করা ইসমাইল সর্দার কে ধরে নিয়ে গেছে,এ ব্যাপারে বেনাপোল পোর্টথানার পক্ষ থেকে অনুসন্ধান করে তাকে খুঁজে বের করার আস্বস্ত করেন পুলিশ টহল দল।
তবে,থানায় একটি অভিযোগ দায়েরের জন্য পরিবারের সদস্যদের অনুরোধ জানান। সেই মোতাবেক আজ সকালে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
সংবাদ সন্মেলনে আসমা বেগম তার স্বামী কে ফিরে পাবার জন্য পুলিশ প্রশাসন সহ সরকারের প্রতি বিনীতভাবে আকুতি জানান। সংসারের একান্ত উপার্জনকারী মানুষটিকে হারিয়ে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সন্তান কে হারিয়ে ইসমাইলের মা প্রায় পাগলপারা,সান্তনা দেওয়ার মত কোন ভাষা কেউ দিতে পারছে না। মায়ের আহাজারীতে এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে।
ইসমাইলের গুমের ব্যাপারে বেনাপোল পোর্ট থানায় যোগাযোগ করা হলে ডিউটিরত পুলিশ কর্মকর্তা জানান, তাকে খুঁজে বের করার ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন বলে তিনি জানান।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
