মনিরামপুরে উঠতি বয়সী ছাত্র ও যুব সমাজ ধূমপানে আসক্ত! আইনের প্রয়োগ নেই
সিগারেট প্যাকেটের গায়ে ধূমপান বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান ও ধুমপান করলে মানদেহের বিভিন্ন অসুখের কথা উল্লেখ করা হলেও রাজগঞ্জে ধূমপায়ীদের সংখ্যা কমছে না। বরং দিন দিন বেড়েই চলেছে ধূমপায়ীদের সংখ্যা। বিশেষ করে উঠতি বয়সীরা ধূমপানে আসক্ত হচ্ছে। কাজে আসছে না ধূমপান বিরোধী আইন।
সরেজমিনে রাজগঞ্জ বাজারে দেখাগেছে, চায়ের দোকান, হোটেল রেস্তোরাসহ মোড়ে মোড়ে পাবলিক প্লেসে বসে প্রকাশ্যে ধূমপান করছে বিভিন্ন বয়সি মানুষ। এদের কারণে ধূমপান না করা মানুষেরা হোটেল রেস্তোরায় স্বাভাবিক ভাবে বসতে পারে না। এছাড়া কিছু চায়ের দোকানের পিছনে বাড়তি রুম করা রয়েছে। সেখানে স্কুল, কলেজ পড়ুয়া উঠতি বয়সি ছেলেরা ধূমপান করে থাকে। যে কারণে অভিভাবক মহল তাদের ছেলেদের নিয়েও সংকিত রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি বছর ধূমপানের কারণে হাজার হাজার মানুষ ক্যান্সার, ফুসফুসের সমস্যা, হৃদরোগ ও স্ট্রোক জনিত সমস্যা হয়ে মারা যাচ্ছে। এসব জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দিয়েও কোনো ভালো ফলাফল আসে না। যে কারণে ধূমপানের বিরুদ্ধে জরিমানার আইনও করা হয়েছে। কিন্তু কে শোনে কার কথা। ধূমপান চলছে তো চলছেই। ফলে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। ধূমপায়ীর আশপাশের অধূমপায়ীরাও ধূমপানজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাজগঞ্জ বাজারের চৌরাস্তা মোড়ের একজন চায়ের দোকানদার বলেন, সিগারেট বিক্রি এতো পরিমান বেড়েছে, যে মুহুর্তের মধ্যে প্যাকেট প্যাকেট সিগারেট বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। সে আরো বলেন, সিগারেট পানকারিরা হচ্ছে উঠতি বয়সি ছাত্র ও যুব সমাজই বেশি। এরা সবাই লুকিয়ে লুকিয়ে ধূমপান করে। এরকম বহু দোকান রয়েছে, যেখানে লুকিয়ে লুকিয়ে ধূমপান করা যায়। আর এইসব পয়েন্টগুলোতে উঠতি বয়সি ছাত্র ও যুব সমাজরাই বেশি।
রাজগঞ্জ এলাকার মোঃ আতিয়ার রহমান নামের একজন অভিভাবক জানান, ছেলেদের নিয়ে খুব চিন্তায় আছি। বাজার ঘাটে যেয়ে ছেলেরা যদি ধূমপানসহ মাদকের ছোবলে পা দেয়, তাহলে তো রক্ষাই নেই। বহু ছেলে তাদের জীবন শুরুর আগেই সঙ্গো দোসে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এরকম আরো একজন অভিভাবক জানান, উঠতি বয়সিরাই ভবিষ্যৎ যুগের নির্মাতা। তাই এই সমাজকে ধূমপানমুক্ত রাখতে হবে। এই উঠতি তরুণ সমাজ সিগারেটের ধোঁয়ার মধ্যে সুখ খোঁজে। কোনো ব্যক্তির মাদক জীবনের শুরু হয় ধূমপানের মধ্য দিয়ে এবং ধীরে ধীরে বিভিন্নরকম মাদকদ্রবের প্রতি আকৃষ্ট হয় সে। এভাবে ধ্বংস হয় দেশের সম্ভাবনাময় তরুণ সমাজ। তাই আইনের যথাযথ প্রয়োগ চাই।
এলাকার সচেতন মহল বলেন, সরকারের ধূমপান বিরোধী আইন রাজগঞ্জ এলাকায় যথাযথ ভাবে প্রয়োগ করলে কমতে পারে ধূমপায়ীদের সংখ্যা। বাচানো যাবে পরিবেশটাও। তাই বিষয়টির দিকে নজর দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করা হচ্ছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)