আরো বাড়তে পারে
অডিট দুর্বলতায় জালিয়াতি: যশোর শিক্ষা বোর্ডের সাত কোটি টাকা লোপাট!
যশোর শিক্ষা বোর্ডে একের পর এক উদঘাটিত হচ্ছে চেক জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের ঘটনা। এ নিয়ে চার ধাপে ৩৮টি চেকে প্রায় ৭ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে। অভ্যন্তরীণ ও সরকারি অডিটের দুর্বলতায় জালিয়াতির ঘটনা ঘটছে। লোপাটকৃত অর্থের পরিমাণ আরো বাড়তে পারে ধারণা বোর্ড কর্তৃপক্ষের। তাই প্রকৃত চিত্র উদঘাটনে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তাদের।
গত ৭ অক্টোবর যশোর শিক্ষা বোর্ডের অভ্যন্তরীণ হিসাব নিরীক্ষার সময় প্রথম জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়ে। এদিন ৯টি চেক জালিয়াতির মাধ্যমে প্রায় ২ কোটি টাকার তথ্য উদঘাটিত হয়। এরপর দ্বিতীয় ধাপে প্রায় ১৬ লাখ, তৃতীয় ধাপে ২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ও সবশেষ গত রোববার উদঘাটিত হয় আরও প্রায় এক কোটি ৮৩ লাখ টাকার জালিয়াতির তথ্য।
এ ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত বোর্ডের হিসাব সহকারী আব্দুস সালাম। কৌশলে চেক বিলের গ্রাহকের নাম পরিবর্তন করে টাকা হাতিয়ে নিতেন তিনি। এ কাজে তাকে সহযোগিতা করেন বোর্ডের নিয়মিত ঠিকাদার শরিফুল ইসলাম বাবু।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের হিসাব ও নিরীক্ষা বিভাগের উপপরিচালক মো. এমদাদুল হক বলেন, বর্তমানে আমরা সব চেক খতিয়ে দেখছি। আমরা দেখেছি ২০০ টাকার চেকের ওপর সে জালিয়াতি করেছে কয়েক লাখ টাকা। এ জন্য আমরা সবকিছু খতিয়ে দেখছি।
বোর্ডে কর্মরত বিভিন্ন শাখার কর্মচারীরা জানান, নিরপেক্ষ তদন্ত হলে শুধু সাত কোটি নয় আরও বেশি অঙ্কের জালিয়াতির তথ্য পাওয়া যাবে।
এদিকে যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আমীর হোসেন মোল্লার নাম অর্থ আত্মসাতের মামলায় উল্লেখ থাকলেও তার দাবি, জালিয়াতি কর্মকাণ্ডের তথ্য তার তৎপরতায় বেরিয়ে এসেছে।
বোর্ডের তথ্যমতে, ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে চলতি অর্থ বছর পর্যন্ত চেকের মাধ্যমে প্রায় তিনশ’ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)