আশাশুনির শ্রীউলায় দোকানের সামনে বালু ফেলে জমি জবর দখলের অভিযোগ
জি এম আল ফারুক, আশাশুনি: আশাশুনির শ্রীউলায় দোকানের সামনে বালু ফেলে জমি জবর দখলের অভিযোগ পাওয়াগেছে। গতকাল ঘটনাটি ঘটেছে সকালে উপজেলার নাকতাড়া কালিবাড়ি বাজারে।
এ ব্যাপারে দোকান মালিকের দায়েরকৃত থানায় লিখিত অভিযোগ ও এলাকায় গিয়ে আশপাশের ব্যবসায়ীদের কথা বলে জানাগেছে বকচর গ্রামের মৃত সামছুর সরদারের পুত্র আঃ সালাম সরদার দীর্ঘ ৪০ বছর যাবৎ নাকতাড়া কালিবাড়ী বাজারে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে একটি দোকারঘর নির্মান করে শান্তিপূর্নভাবে ব্যবসা করে আসছিল।
এরই মধ্যে সরকার বাজারের জমি পেরফেরি ভুক্ত করে। এরপর থেকে পাশ্ববর্কি নাকতাড়া গ্রামের মৃত হাজু সরকারের পুত্র সুবোধ সরকারের নেতৃত্বে একই গ্রামের মৃত গনেশ মন্ডলের পুত্র তপন মন্ডল, দেবদাশ মন্ডললের পুত্র মথুর মন্ডল, অজিত সরকারের পুত্র ভবেশ সরকারসহ ২৫/৩০জন সংঘ বদ্ধ হয়ে নাকতাড়া বাজারের মন্দিরের জমি দাবীকরে উক্ত সম্পত্তি জবর দখলের ষড়যন্ত্র ও পায়তারা করে আসছিল।
তারা পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনার দিন দোকান মালিক দোকানে না থাকার সুযোগে দোকানের সামনে নিত্যান্ত গায়ের জোরে বালি ফেলে লাট করে রাখায় আঃ সালাম তার দোকান খুলতে পারছে না। সে কারনে তার ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
এ ঘটনায় নিয়ে আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জ বিশ্বজিৎ অধিকারী সাথে কথা হলে তিনি এ প্রতিবেদকে জানান অভিযোগ পেয়েছি সরেজমীনে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে সংশিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক দিপংকার বাছাড় দিপুর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন এ বিষয় থানায় মন্দির কমিটি অভিযোগ করলে থানা পুলিশ উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার নির্দেশ প্রদান করেন।
কিছুদিন পরে এএসআই আশিকুর রহমান উভয় পক্ষকে থানায় আসতে বললে তারা থানায় থানায় হাজির হলে কাগজ পত্র পর্যালোচনা পূর্বক স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে নেওয়ার কথা বলেন।
উভয় পক্ষের সম্মতিতে শ্রীউলা ইউনিয়ন পরিষদে গন্যমান্য বর্গের উপস্থিতিতে এক সালিশী বৈঠকে উভয় পক্ষের সম্মতি ও আলাপ আলোচনান্তে সিদ্ধান্ত হয় আঃ সালাম দীর্ঘদিন ওই জমিতে দোকান নির্মান করে ব্যবসা করে আসছিলেন সে জন্য তাকে মন্দিরের নব নিমিত একটি দোকান ব্যবসা করার জন্য ভাড়া দিতে হবে।
এতে মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ রাজি হওয়ায় দোকান মালিক আঃ সালাম বলেন এক সপ্তাহের মধ্যে দোকান সরিয়ে নেওয়ার কথা বলেন। এরপর উভয় পক্ষের মধ্যে ননজুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে চুক্তিপত্র হয়। তবে এ বিষয় দোকান মালিক সালামের নিকট জানতে চাইলে সে অশিকার করে বলেন আমার শান্তিপূর্ন দখলীয় জায়গায় ব্যবসা বানিজ্য করে আসছিলাম।
আমাকে মন্দির কমিটির লোকজন হুমকী ধামকী ও ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর পূর্বক কাগজ পত্রে সহি স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। সে জন্য থানায় জিডি করার জন্য আসলে পুলিশ বলে কোর্টে মামলা করলে ভাল হয়। তারা আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানী করাসহ আমার ব্যবসা বন্ধ করাসহ জোর পূর্বক দখল নেওয়ার জন্য এ ধরেনর ঘটনা ঘটিয়েছে।
এ ব্যাপারে দোকান মালিক আঃ সালাম বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। বিষয়টি দ্রæত সমাধান না হলে উভয় পক্ষের মধ্যে শান্তিভঙ্গের সম্ভবনা রহিয়াছে। এ ঘটনায় সমস্যা সমাধানে দোকান মালিকসহ তার পরিবার ও এলাকাবাসী প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)