শুক্রবার, নভেম্বর ২১, ২০২৫
প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

পেয়েও কেন তত্ত্বাবধায়ককে দূরে ঠেল দিল বিএনপি-জামায়াত!

বিএনপি সরকার দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করলেও পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকার সেই প্রথা বাতিল করে। তবে বিএনপি আর জামায়াতসহ দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দল দীর্ঘদিন যাবত এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা ফিরাতে আন্দোলন সংগ্রামও করেছে। এবার ফিরেও পেলে। তবে কেন কাছে পেয়েও তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা দূরে ঠেল দিল বিএনপি-জামায়াত।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার না হলে নির্বাচন হতে দিতে চাননি বা নির্বাচনে অংশ নিতে চাননি, তারাই এখন ভবিষ্যতে তত্ত্বাবধায়কের পক্ষে, এখনই নয়। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনের আগেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি জানিয়ে আসা রাজনৈতিক দলগুলো তাদের অবস্থান থেকে সরে এলো কেন?

সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে সংবিধানে আবারও পূণর্বহাল হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা। তবে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হচ্ছে না। আদালতের রায় অনুযায়ী ভবিষ্যতে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে, অর্থাৎ চতুর্দশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এই ব্যবস্থায় হতে পারে।

তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে এতো দিন রাজনৈতিক দলগুলোর যে অবস্থান ছিল, এখন তার পরিবর্তনে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এমনকি রাজনৈতিক দলগুলো তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পূণর্বহালের বিষয়ে যে রিভিউ আবেদনে করেছে, সেখানেও ভবিষ্যতের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাওয়া হয়। এই অবস্থানকে ‘রহস্যজনক’ বলেই মনে করছেন অনেকে।

সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় অবৈধ ঘোষণা করে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। এর মধ্য দিয়ে সংবিধানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরলেও আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অন্তর্বর্তী সরকারে অধীনেই হবে। চতুর্দশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা কার্যকর হবে।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারকের পূর্ণাঙ্গ আপিল বিভাগ বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) এ রায় ঘোষণা করে। বেঞ্চের অপর ৬ বিচারক হলেন– বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি মো. রেজাউল হক, বিচারপতি এস এম ইমদাদুল হক, বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব।

এখন প্রশ্ন হলো কি এমন কারণে বিএনপি-জামায়াত বা রাজনৈতিক দলগুলো ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিন নির্বাচন চাচ্ছে না। বর্তমানে যে অন্তর্বর্তী সরকার রয়েছে সেই ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থায় রূপ দেয়া যেতে পারতো। এসব প্রশ্ন এখন দেশের সাধারণ জনগণের।

বিএনপি এবং জামায়াতের আইনজীবীরা অবশ্য বলছেন, আইনের যে ধারাগুলো সংবিধানে সংযোজনের কথা বলা হয়েছে সেগুলো সংসদ ছাড়া সম্ভব নয়। এ কারণেই এগুলো করার আগে একটি সংসদ প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কথাও বলছেন কেউ কেউ।

তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে রিভিউ আবেদনকারী এক পক্ষের আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া বলছেন, এই মুহূর্তে সংসদ না থাকায় নিয়ম অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনেরও সুযোগ নেই।

একই রকম সংবাদ সমূহ

দেশে ৩০ বছরে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে ভয়াবহ ভূমিকম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিলবিস্তারিত পড়ুন

দেশে যেকোনো সময় হতে পারে বড় ভূমিকম্প

ঢাকাসহ সারাদেশে শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত সাত জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়াবিস্তারিত পড়ুন

ভূমিকম্পে শিশুসহ নিহত ৬, আহত দুই শতাধিক

গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পে দেশের তিন জেলায় শিশুসহ ছয়জনেরবিস্তারিত পড়ুন

  • সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া-ড. ইউনূসের কুশল বিনিময়
  • সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে খালেদা ও ইউনূসের একান্ত আলাপ
  • সাতক্ষীরা জেলার সুধীজনদের সাথে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা
  • ভোটের আগে ঢাকার তিনটি ‘বিশেষ’ আসনে বিশেষ বরাদ্দ, কী বলছেন উপদেষ্টা আসিফ
  • অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ সমর্থন করে না বাংলাদেশ : দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা
  • ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে ‘গণভোট আইন’ করা হবে : আইন উপদেষ্টা
  • তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
  • তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গঠন ঠিক করবে পরবর্তী সংসদ : অ্যাটর্নি জেনারেল
  • তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রায়ে যা বললেন আইন উপদেষ্টা
  • হাসিনাকে ফেরাতে নতুন পথে হাঁটছে সরকার
  • নয়াদিল্লিতে ভারত-বাংলাদেশের দুই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার বৈঠক