ভারত-বাংলাদেশের পরস্পরকে অনেক কিছু দেয়ার আছে: প্রণয় ভার্মা
ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, চারদিকে পরিবর্তন ঘটলেও দুই দেশ সত্যিই একে অপরকে এমন কিছু দিতে পারে যা পেতে তাদের অন্য কোথাও যাওয়ার দরকার নেই। ভারত-বাংলাদেশের পরস্পরকে অনেক কিছু দেওয়ার আছে। ভারত সম্পর্কটি এভাবেই দেখে।
নয়াদিল্লিতে দুই ধাপের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাইকমিশনে কূটনৈতিক সংবাদদাতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময়কালে প্রণয় ভার্মা এসব কথা বলেন।
গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, প্রগতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের প্রতি ভারতের দৃঢ় সমর্থনের কথা পুনরায় উল্লেখ করে প্রণয় ভার্মা বলেন, প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের ক্রমবর্ধমান উচ্চাকাঙ্ক্ষায় আমাদের একে অপরকে দেওয়ার মতো অনেক কিছু রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা এ সম্পর্কের দিকে তাকাচ্ছি। এখানে দুই দেশের সম্পর্ককে পরস্পরের স্বার্থ, উদ্বেগ ও আকাঙ্ক্ষার প্রতি সংবেদনশীল হয়ে বিবেচনা করতে হবে। উভয় দেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিতে আমাদের দৃঢ় অবস্থান রয়েছে। আমরা সত্যিই বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ইতিবাচক, স্থিতিশীল ও গঠনমূলক সম্পর্ক চাই, যা উভয়ের জন্য লাভজনক।
ভারতের হাইকমিশনার জোর দিয়ে বলেন, সম্পর্কটি অবশ্যই পরস্পরের জন্য লাভজনক হতে হবে। দুই দেশের জনগণই এ সম্পর্কের মূল অংশীজন। আমরা বিশ্বাস করি, সহযোগিতামূলক সম্পর্ক উভয় দেশের সাধারণ মানুষের জন্যই কল্যাণকর হবে। সম্পর্কের অগ্রগতি ধীর হয়েছে- এমন ধারণা ঠিক নয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসকে পাঠানো বার্তা, পরবর্তী সময়ে তাদের ফোনালাপ ও ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিটে অধ্যাপক ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানানো- এগুলোই ইঙ্গিত দেয় যে, দুই দেশেরই সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এ ছাড়া, এই সম্পর্কের অগ্রগতিতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের মধ্যকার বৈঠক এবং সম্প্রতি পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকের কথাও উল্লেখ করেন প্রণয় ভার্মা।
এ সময় ভারতের হাইকমিশনার বলেন, দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে যথেষ্ট গতিশীলতা রয়েছে। ভারত থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বাংলাদেশে আসছে।
এমনকি, কেবল বাংলাদেশে যে পরিমাণ ভিসার অনুমোদন করা হয় তা অন্য সব দূতাবাসের সম্মিলিত সংখ্যার চেয়ে বেশি বলেও উল্লেখ করেন হাইকমিশনার। পাশাপাশি দুই দেশের ভৌগোলিক নৈকট্যকে কাজে লাগিয়ে তা নতুন অর্থনৈতিক সুযোগে রূপান্তরের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
চারপাশের পরিবর্তন সত্ত্বেও বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের মৌলিক বিষয়গুলো এগিয়ে নিতে যা যা করা দরকার দিল্লির পক্ষ থেকে সেসব করা হচ্ছে বলেও এ সময় জানান তিনি।
ভারতীয় হাইকমিশন এ বছর দুই দফায় কূটনৈতিক সাংবাদিক সমিতি, বাংলাদেশসহ (ডিক্যাব) অন্যান্য সাংবাদিকদের জন্য ভারতে সপ্তাহব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করে। মতবিনিময়কালে ডিক্যাব সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ডিক্যাবের সাবেক সভাপতি ও ডেইলি সান সম্পাদক রেজাউল করিম লোটাস, ভিউজ বাংলাদেশের সম্পাদক মেহেদী হাসান রাশেদ এবং নিউ এজের চিফ অব করেসপন্ডেন্টস মোস্তাফিজুর রহমান তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)