মঙ্গলবার, নভেম্বর ১৮, ২০২৫
প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

মুজিব খুন হওয়ার পর কেন জনগণ মিষ্টি বিতরণ করেছিল, জানালেন বদরুদ্দীন উমর

লেখক, গবেষক ও রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমর বলেছেন, ১৫ আগস্ট সপরিবারে শেখ মুজিবকে যখন হত্যা করা হয় তখন তার সমর্থনে একটা লোককেও রাস্তায় দেখা য়ায়নি। বরং মানুষ উল্লাস করে মিষ্টি বিতরণ করেছে। মুজিবের সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে এমন অবস্থা তৈরি হয়েছিল যে এটা নিয়ে কখনো আলাপ আলোচনা হয়নি।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন।

বদরুদ্দীন উমর বলেন, যারা ৭১ সালের যুদ্ধে ভারতে বসে তথাকথিত নেতৃত্ব দিয়েছিল, শেখ মুজিব ক্ষমতায় এসে আড়াই বছরে বাংলাদেশের জনগণকে কিছুই দেয়নি। সাড়ে তিন বছরে আওয়ামী লীগের শাসন থেকে জনগণ কিছুই পায়নি। ১৯৪৭ সালে জনগণের প্রত্যাশা ছিল এই অঞ্চল পাকিস্তান হলে মানুষের সুযোগ সুবিধা বাড়বে, চাকরি হবে ও ভাত-কাপড়ের ব্যবস্থা হবে। কিন্তু কিছুই হয়নি। তেমনি বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর শেখ মুজিবের আমলেও কিছুই হয়নি। শেখ মুজিব যে জনগণকে কিছুই দিতে পারেনি তার প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল জনগণ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট।

এই গবেষক আরও বলেন, স্বাধীনতার পর ১০ জানুয়ারি যখন শেখ মুজিবুর রহমান দেশে এলেন লাখ লাখ মানুষ তাকে স্বাগত জানিয়েছিল। রাস্তায় ও রেসকোর্স ময়দানে সংবর্ধনাও জানিয়েছিল। অথচ ১৫ আগস্ট নিষ্ঠুরভাবে সপরিবারে হত্যা করল তার সমর্থনে একটা লোকও দেখা গেল না। উপরন্ত দেখা গেল, রাস্তায় উল্লাস করে মিষ্টি বিতরণ করছে। শেখ মুজিবের পক্ষে রাস্তার একটি কুকুরও দাঁড়ায়নি।

‘সাড়ে তিন বছরে শেখ মুজিব জনগণকে কিছুই দিতে পারেনি বরং শোষণ নিপীড়ন চরম আকার ধারণ করেছিল। শেখ মুজিব ১৯৭২ সালেই রক্ষী বাহিনী গঠন ও নিরাপত্তা আইন করে জনগণের ওপর জুলুম করে হাজার হাজার লোককে মেরে ফেলেছে। এরপর আওয়ামী লীগ জনগণ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। এতে শেখ মুজিবের যে জনপ্রিয়তা ছিল সব মুছে গেল’।

আওয়ামী লীগ কখনো জনগণের চেতনাকে ধারণ করেনি মন্তব্য করে তিনি বলেন, জনগণের চেতনা আর আওয়ামী লীগের চেতনা এক জায়গায় ছিল না। ফলে এক শ্রেণির লোকজন প্রচুর ধন সম্পদের মালিক হতে লাগল কিন্তু জনগণ কিছুই পেল না। এর ফলে ৭৫ এর ঘটনা ঘটল।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিষয়ে জানতে চাইলে বদরুদ্দীন উমর বলেন, চেতনা বলতে কী বোঝায়? কার চেতনা, কীসের ৭১ এর চেতনা? সে সময় অনেকেই তো লড়াই করেছে। কৃষক-শ্রমিক মধ্যবিত্তরা লড়াই করেছে। আওয়ামী লীগও লড়াই করেছে। শেখ মুজিব পাকিস্তানের জেলে বসে থেকেছে। লড়াই করেনি। আওয়ামী লীগের অন্য নেতারাও বিশেষ করে তাজউদ্দিন কলকতায় বসে থেকে লড়াই করেছে। সবার চিন্তা এ রকম। ৭১ এর চিন্তা আলাদা করে কিছু নেই। নানা মহলে নানাভাবে চিন্তা হয়েছে। তখন সাধারণ জনগণ যেটা মনে করেছিল ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিদের তাড়িয়ে দিয়ে তারা দুধে-ভাতে থাকবে, দেশ থেকে নানারকম নির্যাতন শোষণ-নিপীড়ন চলে যাবে। সে রকম কিছুই দেশ স্বাধীনের পর বাংলাদেশ আমলে দেখা গেল না।
সূত্র: যুগান্তর

একই রকম সংবাদ সমূহ

প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘গ্রেড’ নিয়ে সুখবর

১৩তম গ্রেডের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১১তম গ্রেডে করতেবিস্তারিত পড়ুন

এনসিপি ও সমাজতান্ত্রিক দল মার্ক্সবাদীকে নিবন্ধন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অবশেষে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও বাংলাদেশেরবিস্তারিত পড়ুন

দেশে মোট ভোটার ১২ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৮৩ জন

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা করেছে নির্বাচন কমিশন।বিস্তারিত পড়ুন

  • ডেঙ্গুতে আরও চারজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯২০
  • কেনা হচ্ছে ১৭ হাজার শর্টগান, বাদ বডি অন ক্যামেরা
  • ‘এরা তো শিবির, নতুন ফোর্স লাগবে’-ডিসি মাসুদের ফোনালাপ ভাইরাল
  • আমার মায়ের কিছুই হবে না, ভারতে নিরাপদে আছেন : জয়
  • ভারতের কাছে হাসিনাকে ফেরত চাইল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
  • রায়কে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বললেন শেখ হাসিনা
  • মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড
  • অভিনেত্রী শাওনকে ‘ভারতীয় গুপ্তচর’ অ্যাখ্যা, দ্রুত গ্রেফতার দাবি
  • পুলিশের গায়ে নতুন পোশাক
  • নির্বাচন ঘিরে মাঠে থাকবে ৯ দিনের বিশেষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • ‘আমাদের কেন একজন গণহত্যাকারীর সত্যায়ন দরকার হলো?’
  • একদিনে ২৩ জেলায় ডিসি রদবদল