শনিবার, নভেম্বর ১৫, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

মুজিব খুন হওয়ার পর কেন জনগণ মিষ্টি বিতরণ করেছিল, জানালেন বদরুদ্দীন উমর

লেখক, গবেষক ও রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমর বলেছেন, ১৫ আগস্ট সপরিবারে শেখ মুজিবকে যখন হত্যা করা হয় তখন তার সমর্থনে একটা লোককেও রাস্তায় দেখা য়ায়নি। বরং মানুষ উল্লাস করে মিষ্টি বিতরণ করেছে। মুজিবের সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে এমন অবস্থা তৈরি হয়েছিল যে এটা নিয়ে কখনো আলাপ আলোচনা হয়নি।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন।

বদরুদ্দীন উমর বলেন, যারা ৭১ সালের যুদ্ধে ভারতে বসে তথাকথিত নেতৃত্ব দিয়েছিল, শেখ মুজিব ক্ষমতায় এসে আড়াই বছরে বাংলাদেশের জনগণকে কিছুই দেয়নি। সাড়ে তিন বছরে আওয়ামী লীগের শাসন থেকে জনগণ কিছুই পায়নি। ১৯৪৭ সালে জনগণের প্রত্যাশা ছিল এই অঞ্চল পাকিস্তান হলে মানুষের সুযোগ সুবিধা বাড়বে, চাকরি হবে ও ভাত-কাপড়ের ব্যবস্থা হবে। কিন্তু কিছুই হয়নি। তেমনি বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর শেখ মুজিবের আমলেও কিছুই হয়নি। শেখ মুজিব যে জনগণকে কিছুই দিতে পারেনি তার প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল জনগণ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট।

এই গবেষক আরও বলেন, স্বাধীনতার পর ১০ জানুয়ারি যখন শেখ মুজিবুর রহমান দেশে এলেন লাখ লাখ মানুষ তাকে স্বাগত জানিয়েছিল। রাস্তায় ও রেসকোর্স ময়দানে সংবর্ধনাও জানিয়েছিল। অথচ ১৫ আগস্ট নিষ্ঠুরভাবে সপরিবারে হত্যা করল তার সমর্থনে একটা লোকও দেখা গেল না। উপরন্ত দেখা গেল, রাস্তায় উল্লাস করে মিষ্টি বিতরণ করছে। শেখ মুজিবের পক্ষে রাস্তার একটি কুকুরও দাঁড়ায়নি।

‘সাড়ে তিন বছরে শেখ মুজিব জনগণকে কিছুই দিতে পারেনি বরং শোষণ নিপীড়ন চরম আকার ধারণ করেছিল। শেখ মুজিব ১৯৭২ সালেই রক্ষী বাহিনী গঠন ও নিরাপত্তা আইন করে জনগণের ওপর জুলুম করে হাজার হাজার লোককে মেরে ফেলেছে। এরপর আওয়ামী লীগ জনগণ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। এতে শেখ মুজিবের যে জনপ্রিয়তা ছিল সব মুছে গেল’।

আওয়ামী লীগ কখনো জনগণের চেতনাকে ধারণ করেনি মন্তব্য করে তিনি বলেন, জনগণের চেতনা আর আওয়ামী লীগের চেতনা এক জায়গায় ছিল না। ফলে এক শ্রেণির লোকজন প্রচুর ধন সম্পদের মালিক হতে লাগল কিন্তু জনগণ কিছুই পেল না। এর ফলে ৭৫ এর ঘটনা ঘটল।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিষয়ে জানতে চাইলে বদরুদ্দীন উমর বলেন, চেতনা বলতে কী বোঝায়? কার চেতনা, কীসের ৭১ এর চেতনা? সে সময় অনেকেই তো লড়াই করেছে। কৃষক-শ্রমিক মধ্যবিত্তরা লড়াই করেছে। আওয়ামী লীগও লড়াই করেছে। শেখ মুজিব পাকিস্তানের জেলে বসে থেকেছে। লড়াই করেনি। আওয়ামী লীগের অন্য নেতারাও বিশেষ করে তাজউদ্দিন কলকতায় বসে থেকে লড়াই করেছে। সবার চিন্তা এ রকম। ৭১ এর চিন্তা আলাদা করে কিছু নেই। নানা মহলে নানাভাবে চিন্তা হয়েছে। তখন সাধারণ জনগণ যেটা মনে করেছিল ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিদের তাড়িয়ে দিয়ে তারা দুধে-ভাতে থাকবে, দেশ থেকে নানারকম নির্যাতন শোষণ-নিপীড়ন চলে যাবে। সে রকম কিছুই দেশ স্বাধীনের পর বাংলাদেশ আমলে দেখা গেল না।
সূত্র: যুগান্তর

একই রকম সংবাদ সমূহ

‘আমাদের কেন একজন গণহত্যাকারীর সত্যায়ন দরকার হলো?’

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, অনেকেই এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাবেকবিস্তারিত পড়ুন

একদিনে ২৩ জেলায় ডিসি রদবদল

দেশে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় প্রশাসনের রদবদলের অংশ হিসাবে একদিনে ২৩ জেলায়বিস্তারিত পড়ুন

আ.লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না: প্রধান উপদেষ্টা

কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না বলে জানিয়েছেনবিস্তারিত পড়ুন

  • গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামত ‘হ্যাঁ’ হলে যা হবে
  • যে কারণে নির্বাচন ও গণভোট একসাথে, থাকবে ৪ প্রশ্ন
  • এখন আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি : প্রধান উপদেষ্টা
  • দিল্লিতে বোমা হামলায় ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের
  • ৩-৪ দিনের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সিদ্ধান্ত: আইন উপদেষ্টা
  • দেশ-বিদেশের কোনো শক্তিই ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না: প্রেস সচিব
  • পালিয়ে গিয়েও হাসিনার সন্ত্রাস থামছে না: প্রেস সচিব
  • দেশের সব বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতার নির্দেশ
  • নির্বাচনী প্রচারণায় পোস্টার ও ড্রোন ব্যবহারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা
  • একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
  • দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে: গভর্নর
  • প্রতীক তালিকায় ‘শাপলা কলি’ যুক্ত করল ইসি