শেখ হাসিনা তার ছেলের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নষ্ট করেছেন : সাংবাদিক শফিক রেহমান
শেখ হাসিনা তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নষ্ট করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রথিতযশা সাংবাদিক শফিক রেহমান।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সিএমএম কোর্ট প্রাঙ্গণে তিনি এ কথা বলেন
শফিক রেহমান বলেন, ড. ইউনূস যখন জাতিসংঘে তরুণদের নিয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন, তাতে একটা আলাদা ভালো লাগা ছিল। ৫২ সালে মেধাবী শিক্ষার্থীরা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছিলেন কিন্তু এবার ব্যাপারটা তা ছিল না। শিক্ষার্থীরা চাকরির জন্য আন্দোলন করেছেন, কারণ চাকরি নেই। এখন যেন এসব মেধাবী শিক্ষার্থীদের চাকরি হয়, সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো দেশের সব খাতে সংস্কার করতে হবে এবং তাতে ছাত্রদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
জনগণকে বাকরুদ্ধ করতেই মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছিল
প্রবীণ এই সাংবাদিক বলেন, যারা আন্দোলন করেছেন, তারা আজ কোথায়। সরকারের এটা নিশ্চিত করতে হবে, শিক্ষার্থীরা যেসবের জন্য আন্দোলন করেছে, সেগুলো যেন বাস্তবায়ন করা হয়। গত কয়েক মাসে যাদের চাকরি (সরকারি) দেওয়া হয়েছে, তারা কতোটুকু যোগ্যতার ভিত্তিতে পেয়েছেন তা খতিয়ে দেখা হোক।
এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক শফিক রেহমান ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এজন্য আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হয়। আদালতে আত্মসমর্পণ করে আপিল দায়েরের শর্তে এ সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়।
আত্মসমর্পণের পর আদালত শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করেছে।
জানা যায়, সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ এবং হত্যাচেষ্টার মামলায় গত বছরের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালত আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচ জনকে পৃথক দুই ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিনজন হলেন– জাসাস নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ, রিজভী আহমেদ সিজার ও মিজানুর রহমান ভুঁইয়া। তাদের দণ্ডবিধির ৩৬৫ ধারায় (অপহরণ) পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত। জরিমানার টাকা অনাদায়ে তাদের আরও একমাসের কারাভোগের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। এছাড়া একই আইনে ১২০-খ ধারায় (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) দুই বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যে কোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার একত্রিত হয়ে যোগসাজশে সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। ওই ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করেন।
২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এ মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)