আরাভের অর্থের উৎসের খোঁজে সিআইডি
পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার পলাতক আসামি আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলামের অবৈধ অর্থের উৎস খুঁজছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে তার বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
পুলিশ কর্মকর্তা মামুন এমরান খান হত্যার আসামি দুবাইয়ে পালিয়ে থাকা আরাভের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে রেড নোটিস জারি করেছে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল। সংস্থাটির রেড নোটিসের তালিকায় আরাভ ৬৩তম বাংলাদেশি। ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত রেড নোটিসে তার নাম লেখা হয়েছে রবিউল ইসলাম। বয়স ৩৫ বছর। জাতীয়তা দেখানো হয়েছে বাংলাদেশি। জন্মস্থান বাগেরহাট। খুনের দায়ে তার বিরুদ্ধে এই নোটিস বলে জানানো হয়।
এদিকে আরাভ তার অর্থ-সম্পদ নিয়ে যে তথ্য দিচ্ছেন, তা পুরোপুরি সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন দুবাইয়ের একাধিক ব্যবসায়ী।
তাদের দাবি, আরাভ প্রতারণা করে অনেককে ফাঁসিয়েছেন। এরপর তাদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করেন। বাংলাদেশি নাগরিক হলেও তার কাছে ভারতীয় পাসপোর্ট থাকায় বেশ কিছু আইনি প্রক্রিয়া মোকাবিলা করেই তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার বাছির উদ্দিন বলেন, আমরা সেটা নিয়ে কাজ করছি। তবে আনুষ্ঠানিক বলার মতো কিছু পাওয়া যায়নি।
সূত্র জানায়, পুলিশ কর্মকর্তা মামুন এমরান খান হত্যার আসামি আরাভ খান ওরফে রবিউল জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়েছিলেন ‘রবিউল ইসলাম’ নামেই। সেখানে ঠিকানা হিসেবে বাগেরহাট জেলা উল্লেখ করেছিলেন। তার জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যানুযায়ী, জন্ম ১৯৮৭ সালের ১৯ আগস্ট। পড়ালেখা করেছেন মাধ্যমিক পর্যন্ত, জন্মস্থান বাগেরহাট এবং রক্তের গ্রুপ বি পজিটিভ। রবিউলের বাবা মতিউর রহমান, মাতা লাখি ও স্ত্রীর নাম রুমা। তার বয়স এখন ৩৫ বছর ৭ মাস। সেখানে আরাভ খান স্থায়ী ও বর্তমান উল্লেখ করেছেন বাগেরহাটের মোল্লারহাট উপজেলার কোদলিয়া ইউনিয়নের আড়ুয়াডিহি গ্রাম।
তবে জানা গেছে, ঠিকানাটি তার নানা বাড়ির এলাকা। সেখানেই সে বড় হয়েছে।
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় আরাভ খানের গ্রামের বাড়ির প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, জুয়ার টাকা জোগাড় করতে রবিউল ওরফে আরাভ গ্রামের মানুষের হাস-মুরগি চুরি করতেন। এমনকি তার বাবার মেরে আনা মাছ চুরি করেও বাজারে বিক্রি করে দিতেন। সেই টাকা দিয়ে খেলতেন জুয়া। এক সময় তার কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে তাকে গ্রাম ছাড়তে বাধ্য করেছিলেন গ্রামবাসী।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)