রবিবার, জানুয়ারি ১৯, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

ঊর্মির হঠাৎ বিতর্কিত হওয়ার নেপথ্যে কী?

অন্তর্বর্তী সরকারের ‍প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট দিয়ে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি। এ নিয়ে মূলধারার গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।

প্রশ্ন উঠেছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের সবাই যখন চুপ, তখন কেন প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মকর্তা হয়ে এ ধরনের মন্তব্য করতে সাহস করলেন তিনি?

জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সরকারি চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ঊর্মি। তিনি ঠিক করেছেন বিদেশে গিয়ে ক্যারিয়ার গড়বেন। সেজন্য ১ সেপ্টেম্বর রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার থেকে পাসপোর্টের জন্য এনওসি নেন তিনি। সম্প্রতি তিনি ‘হায়ার স্টাডি অ্যাবরোড’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে তাকে যুক্ত হতে দেখা যায়।

অভিযোগ উঠেছে, দ্রুত চাকরি থেকে বের হওয়ার পাশাপাশি বাইরে ভিসা পাওয়া কিংবা প্রয়োজনে অ্যাসাইলাম পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করতে ঊর্মিকে একটু কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। প্রথমে জনরোষ তৈরি করতে তিনি আবু সাইদকে ‘সন্ত্রাসী’ বলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। কিন্তু তার ফেসবুক প্রোফাইল লক থাকায় সেটা বেশি মানুষের কাছে পৌঁছায়নি। কিন্তু এবার প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে তার পোস্টটি ভাইরাল হয়ে যায়।

প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি তার আইডিতে লিখেছেন, ‘সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, রিসেট বাটনে পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে। রিসেট বাটনে ক্লিক করে দেশের সব অতীত ইতিহাস মুছে ফেলেছেন তিনি। এতই সহজ। কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে আপনার, মহাশয়।’

এই পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনায় মুখে পড়েন ঊর্মি। এ ঘটনায় রোববার (৬ অক্টোবর) ঊর্মিকে ওএসডি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। এরপর সোমবার (৭ অক্টোবর) তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এরই মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কটূক্তি ও আবু সাঈদকে ‘সন্ত্রাসী’ বলার আরও কয়েকটি স্ট্যাটাস ভাইরাল হয় ঊর্মির। এর প্রতিবাদে সোমবার মানববন্ধন করেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থীরা। তাপসী তাবাসসুম ঊর্মিকে গ্রেপ্তারের দাবিতে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে তাপসী তাবাসসুম ঊর্মির ফেসবুক আইডিতে গিয়ে দেখা গেছে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বেশ কিছু স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। তার ফেসবুক আইডিজুড়ে আওয়ামী লীগের পক্ষেও শক্ত অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্ট্যাটাস দেখা গেছে। অবশ্য সোমবার দুপুরে তার আইডিতে ঢুকে কোনো কিছুই পাওয়া যায়নি। এর আগেই তিনি সব কিছু সরিয়ে ফেলেছেন।

পাসপোর্টের জন্য এনওসি ও বিদেশে ক্যারিয়ার গড়ার বিষয়ে জানতে তাপসী তাবাসসুম ঊর্মিকে ফোন করা হলে তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

তবে চাকরি থেকে ওএসডি হওয়ার পর গণমাধ্যমকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় ঊর্মি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তির বিরুদ্ধে যেকোনো জায়গা থেকে বলা যায়। এ জন্য যদি চাকরি চলে যায়, এতে আমার কোনো সমস্যা নাই।’

কীভাবে দায়িত্বশীল জায়গা থেকে এমন মন্তব্য করেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি যখন দেখবো, আমার দেশের ওপর কোনো থ্রেট চলে আসছে, দেশকে বাঁচানোর জন্য আমার যতটুকু বলা উচিত, সেই বলাটাই আমার দায়িত্বশীলতা। আমি ফ্র্যাংকলি বলি, আমি চাই না আমার দেশে কোনো মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তি আসুক। আমার যাকে মনে হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তি। আমি তাদেরকে সেভাবেই ট্রিট করেছি এবং সেভাবেই পোস্ট দিয়েছি।

ঊর্মি ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের নসিবপুর গ্রামের মো. ইসমাইল হোসেনের মেয়ে। তার বাবা ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা শহীদ স্মৃতি কলেজের সাবেক ভাইস প্রিন্সিপাল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া তিনি ময়মনসিংহ নগরীর ঐতিহ্যবাহী আনন্দ মোহন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজসহ বিভিন্ন সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। বর্তমানে তিনি অবসর জীবনযাপন করছেন।

দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে ঊর্মি সবার বড়। তার ছোট ভাই বর্তমানে জার্মানির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছেন। ঊর্মির মা নাসরিন জাহান বর্তমানে ময়মনসিংহের হাজী কাশেম আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজে গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

সোমবার মেয়ের কর্মকাণ্ড নিয়ে মুখ খুলেছেন নাসরিন জাহান। গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ঊর্মি চাকরির বিধি লঙ্ঘন করেছে। এটা তার ঠিক হয়নি। এটা একটা বড় অপরাধ।

তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ করিনি, যুদ্ধ দেখিনি। যে যুদ্ধ হয়েছে, সেটা ইতিহাস। তবে ইতিহাসকে অস্বীকার করার উপায় নেই। আমরা আমাদের মা-বাবাকে অস্বীকার করতে পারব কি?

উর্মির মা নাসরিন জাহান আরও বলেন, ঊর্মি ছাত্রজীবনে কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিল না। তবে ২০১৮ সালে কোটা আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিল। তখন তার ৪০তম বিসিএস পরীক্ষা ছিল। সে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করেছে। সেখান থেকে মাস্টার্স করেছে। আমার সন্তানরা কোনো রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নেই। আমরা খুব সাধারণ জীবনযাপন করি।

একই রকম সংবাদ সমূহ

চলেন হিংসা ভুলে নতুন বাংলাদেশকে সামনের দিকে নিয়ে যাই: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব, ঢাকা কলেজের সাবেক ছাত্র ও শিক্ষক মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরবিস্তারিত পড়ুন

কালিগঞ্জে কর্মী-সমর্থক শূন্যতায় বিএনপির সম্মেলন পণ্ড

মো: আবু বক্কর সিদ্দিক, কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা): কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতি শুন্যতায় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের কৃষ্ণনগরবিস্তারিত পড়ুন

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সর্বদলীয় বৈঠক

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.বিস্তারিত পড়ুন

  • জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকীর কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
  • ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত কোনোভাবেই স্থির হতে পারছে না: রিজভী
  • ১৭ বছর পর কারামুক্ত বিএনপির লুৎফুজ্জামান বাবর
  • শান্তি প্রতিষ্ঠায় জামায়াতের কোনো বিকল্প নেই: জামায়াতের আমির
  • এমপিদের সুবিধা কমানো, একই সঙ্গে দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী নয়
  • প্রধান উপদেষ্টার ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে যাচ্ছে না বিএনপি
  • রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে কমিশন গঠন
  • শৈশবের বন্ধুদের কবিতা আবৃত্তি করে শোনালেন মির্জা ফখরুল
  • দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের মোট আসন হবে ৫০৫
  • সালমান ও পলক ফের রিমান্ডে
  • জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামি খালাস
  • ১৮ বছর পর সব মামলায় খালাস পেলেন বাবর, কাঁদলেন স্ত্রী