বৃহস্পতিবার, মে ২২, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

খালেদা জিয়ার অবস্থা ‘ক্রিটিক্যাল’, দোয়া চাইলেন ফখরুল

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখন ‘ক্রিটিক্যাল’ বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখতে যান বিএনপি মহাসচিব। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন তিনি।

ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসা চলছে। সেখানে মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক-নার্স ছাড়া সবার প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ফখরুল এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে অবহিত হন।

পরে গণমাধ্যমকে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি আজকে (শনিবার) দুপুর দেড়টায় ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছিলাম। এখন তিনি সিসিইউতে আছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং চিকিৎসকরা এখন কাউকে ভেতরে যেতে দিচ্ছেন না। আমি তার চিকিৎসায় নিয়োজিত ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলে যেটা বুঝলাম, ডাক্তারদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি যে, তার অবস্থা বেশ ক্রিটিক্যাল। তারা আজকে (শনিবার) সন্ধ্যায় সম্ভবত আবার বোর্ড মিটিং করবেন এবং সে অনুযায়ী পরবর্তী করণীয় কী হবে, তা নির্ধারণ করবেন।

শুক্রবার গুলশানের বাসা ফিরোজায় খালেদা জিয়া হঠাৎ ‘অসুস্থ’ হয়ে পড়লে রাত সাড়ে ৩টায় অ্যাম্বুলেন্সে করে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী, অধ্যাপক শামসুল আরেফিন, অধ্যাপক একিউএম মহসিনসহ মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা কয়েক দফা বৈঠকে বসে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ অবস্থা পর্যালোচনা করেন। মেডিকেল বোর্ডের এসব সভায় লন্ডন থেকে ডা. জোবায়েদা রহমানসহ যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়ার কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ডা. জাহিদ বলেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ম্যাডামের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্টগুলো পর্যালোচনা করে তাৎক্ষণিক যা করণীয় সেই ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

খালেদা জিয়াকে সর্বশেষ গত ২ মে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই সময় তাকে সিসিইউতে রেখে দুই দিন চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস ছাড়াও হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনির বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন ৭৯ বছর বয়সি খালেদা জিয়া।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায়র কারাদণ্ডের সাজা পেয়ে খালেদা জিয়া কারাগারে যান। পরে একই বছরের অক্টোবরে হাইকোর্টে আপিলে সাজা বেড়ে দ্বিগুণ হয়। সেই মাসেই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ৭ বছরের সাজা হয় তার। সেই থেকে প্রায় দুই বছর জেলে ছিলেন তিনি। পরে মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পেলে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে দুটি শর্তে সরকারের নির্বাহী আদেশে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।

প্রথমটি হলো, তাকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। দ্বিতীয় শর্তটি হলো, তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। তখন করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে তার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ৬ মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর থেকে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছয় মাস অন্তর অন্তর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

ডিসেম্বরে নির্বাচন না দিলে সহযোগিতা অব্যাহত রাখা কঠিন হবে : বিএনপি

চলতি বছরের মধ্যেই নতুন জাতীয় সংসদ গঠনের লক্ষ্যে ডিসেম্বরে নির্বাচন ধরে অবিলম্বেবিস্তারিত পড়ুন

বিভাজনমূলক বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করলেন মাহফুজ আলম

তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বিভাজনমূলক বক্তব্য দেওয়ার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বৃহস্পতিবারবিস্তারিত পড়ুন

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ৫ সিদ্ধান্ত

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগবিস্তারিত পড়ুন

  • ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যে ফাটল ধরতে শুরু করেছে: বিএনপি
  • সরকারি চাকরি আইন সংশোধনে অধ্যাদেশ অনুমোদন
  • আলটিমেটাম দিয়ে আন্দোলন স্থগিত করলেন ইশরাক
  • সব দলের উদ্দেশে নতুন বার্তা জামায়াত আমিরের
  • ‘আমরা এখনো ওয়ান-ইলেভেনের ইতিহাস ভুলে যাইনি’ : হাসনাত আব্দুল্লাহ
  • অভিনেত্রী শাওন-ডিবি হারুনসহ ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
  • রিট খারিজ, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদে ইশরাককে শপথ পড়াতে বাধা নেই
  • ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত: সেনাপ্রধান
  • নিজেই দায়িত্ব থেকে সরে যেতে চান পররাষ্ট্র সচিব : উপদেষ্টা
  • ‘যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক’ প্রশ্নে যা বললেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা
  • সরকার সিদ্ধান্ত নেবে কোন নির্বাচন আগে-পরে হবে: ইসি সানাউল্লাহ
  • ভারতের বিধিনিষেধ আমাদের জন্যে আত্মনির্ভরশীলতার সুযোগ: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ