মঙ্গলবার, জানুয়ারি ২১, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি, দুর্নীতির প্রতিবাদে কর্মসূচিতে যাচ্ছে বিএনপি

দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এবং দ্রব্যমূল্য ও মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি, নজিরবিহীন দুর্নীতির প্রতিবাদে কর্মসূচিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সোমবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘বৈঠকে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত ঢাকাসহ সারা দেশের মহানগর ও জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশগুলো সফল করায় সন্তোষ প্রকাশ করা হয় এবং তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণের জন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।’

এতে বলা হয়, ‘বৈঠকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি, নজিরবিহীন দুর্নীতি দেশের ও বাইরের ব্যাংকগুলো থেকে ঢালাও ঋণ গ্রহণের ফলে ঋণ ফাঁদ সৃষ্টি হচ্ছে এবং জনগণের ওপরে বাড়তি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিষয়গুলোকে নিয়ে বিস্তারিত তথ্য সমৃদ্ধ প্রতিবেদন তৈরি করে জনগণের সামনে নিয়ে আসার জন্য লিফলেট বিতরণ, সমাবেশ, মিছিল ইত্যাদির মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই বিষয়ে কর্মসূচির গ্রহণেরও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বৈঠকে।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বৈঠকে সম্প্রতি ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক লালমনিরহাট ও ঠাকারগাঁও সীমান্তে দুই বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যার তীব্র নিন্দা জানানো হয় এবং সীমান্ত হত্যা বন্ধের জন্য সরকারি কোনো উদ্যোগ না থাকায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। নেতারা মনে করেন, এই অবৈধ সরকার সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে ভারতের ওপরে প্রয়োজনীয় চাপ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হওয়ায় এই ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটছে। অবিলম্বে এই সীমান্ত হত্যা বন্ধ করার জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বৈঠকে আহ্বান জানান নেতারা।’

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

ছাত্রদল নেতা রাসেলকে অবিলম্বে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি রিজভীর

অবিলম্বে ছাত্রদল নেতা আতিকুর রহমান রাসেলকে তার বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

মঙ্গলবার নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘গত ১ জুলাই সোমবার তাকে গোয়েন্দা পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে। ৮ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো তাকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি বা আদালতে হস্তান্তর করা হয়নি। ফলে পরিবার, তার বাবা, তার মা, তার আত্মীয়স্বজন ও দলের নেতাকর্মীর প্রত্যেকে গভীর উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন। বাবা-মায়ের যে আকুতি তা ভাষায় বর্ণনা করার মতো নয়। ’

‘তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে তুলে নিয়ে গেছে তা অনেকে দেখেছেন উল্লেখ করে রাসেল গোয়েন্দা হেফাজতে রয়েছেন’ বলে দাবি করেন রিজভী।

এ ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক ও মর্মস্পর্শী উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, ‘এই ধরনের তরুণদেরকে নিরুদ্দেশ করে দেওয়া হচ্ছে। কারণ, তারা মানুষের পক্ষে কথা বলে, গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলে, গণতন্ত্রের পক্ষে স্লোগান দেয়। তাদের স্লোগান স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে নিষ্ঠুর দমন-নিপীড়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে আতিকুর রহমান রাসেলদের মতো তরুণদের নিরুদ্দেশ করে দেওয়া হচ্ছে, নিখোঁজ করে দিচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশ এক শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা অতিক্রম করছে। মানুষের অধিকারগুলো দখলদার সরকার একের পর এক হরণ করেছে। মানুষ অধিকার বঞ্চিত, গণতন্ত্রে মানুষের যে অধিকারগুলো স্বীকৃত সে অধিকারগুলোকে মানুষ যাতে প্রয়োগ করতে না পারে তার জন্য রাষ্ট্রশক্তিকে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে শেখ হাসিনা ইচ্ছা পূরণ করতে পারেন। এই বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে কেউ যেন কথা না বলতে পারে। তার বিরুদ্ধে কেউ যেন মিছিল না করতে পারে। এদেশে কেউ যেন সমাবেশ না করতে পারে। বাংলাদেশের সংবিধান কাটাছেঁড়া করার পরেও গণতন্ত্রের যে অধিকারগুলো আছে সেই অধিকারগুলো সরকারি যন্ত্র দিয়ে নানাভাবে দমন করছে। এই দমন পৈশাচিক, এই দমন নিষ্ঠুর, এই দমন রক্তাক্ত।’

রিজভী বলেন, ‘যতদিন যাচ্ছে তত একের পর এক সরকারের কুকীর্তি বেরিয়ে আসছে। শেখ হাসিনা যাদেরকে দিয়ে বিরোধী দমন করেছেন তারা এদেশের জনগণের সম্পদ-অর্থ লুট করে বিদেশে টাকা পাচার করেছে এবং দেশের মধ্যেও অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছে। নবাবদেরও এত সম্পদ ছিল না।’

তিনি বলেন, ‘লুটপাট আর দুর্নীতির কারণে দেশের আর্থিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, রাজকোষ শূন্য হয়ে গেছে। দেশটা তিন মাস যে চলবে সেই প্রয়োজনীয় অর্থ এখন ব্যাংকে নেই। যারা ঋণখেলাপি হয়েছেন এক লাখ ৯২ হাজার কোটি টাকার, তাদেরকে নিয়ম করে সুদ মওকুফ করে দেওয়া হয়েছে। যারা লুটপাট করেছে, টাকা পাচার করেছে তারা সবাই ক্ষমতাসীনদের ঘনিষ্ঠ লোক।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির প্রমুখ।

একই রকম সংবাদ সমূহ

মেধাবী, সৎ, ভালো ও আদর্শবানদের দলের সামনে নিয়ে আসতে হবে: তারেক রহমান

সদস্য পদ নবায়নে মেধাবী ও ভালো মানুষের গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপিরবিস্তারিত পড়ুন

ছয় সংস্কার কমিশনের মেয়াদ ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়লো

বিভিন্ন ক্ষেত্রে গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের মেয়াদ আরও বেড়েছে। সংস্কার কমিশনগুলোর মেয়াদবিস্তারিত পড়ুন

গর্ভবতী-সন্তানসহ নারীরাও গুমের শিকার হয়েছিলেন : গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন

তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করতে গিয়ে ভয়ংকর সব তথ্য পেয়েছে গুম সংক্রান্ত তদন্তবিস্তারিত পড়ুন

  • বিএনপির সদস্য নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন তারেক রহমান
  • অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দেয়ার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত যুক্তরাষ্ট্রের
  • জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নির্বাচন কমিশন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ: সিইসি
  • পাল্টে যাচ্ছে পুলিশ, র‌্যাব, আনসারের পোশাক
  • হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের বিশেষ নির্দেশনা ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরের
  • বঞ্চিত উপসচিবরা পদোন্নতি পাচ্ছেন
  • ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন আলী ইমাম মজুমদার
  • ফ্যাসিস্ট আমলে সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের ওপর জুলুম চালানো হয়েছিল: জামায়াত আমির
  • কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে টিস্যু পেপারে ‘চিঠি’ লিখলেন দীপু মনি
  • ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফা জালাল গ্রেফতার
  • জনগণ সঙ্গে না থাকলে কী হয় ৫ আগস্ট দেখিয়ে দিয়েছে: তারেক রহমান
  • শিগগিরই ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করবেন প্রধান উপদেষ্টা