খুলছে পর্যটন-বিনোদনকেন্দ্রও, উঠছে সড়কে অর্ধেক যান চলার নিয়ম
এবার আসন সংখ্যার অর্ধেক ব্যবহার করে পর্যটন, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্রও খুলে দিচ্ছে সরকার। একইসঙ্গে সড়কে অর্ধেক যানবাহন চলার নিয়মও উঠে যাচ্ছে।
আগামী ১৯ আগস্ট থেকে বিনোদনকেন্দ্র ও গণপরিবহন পুরোপুরি খুলে দিয়ে বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
গত ৩ আগস্ট অনুষ্ঠিত কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত, দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় চলমান বিধিনিষেধের ধারাবাহিকতায় নতুন করে চারটি শর্ত দিয়ে ১৯ আগস্ট থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেথ করা হয়েছে। এই চারটি শর্তের মাধ্যমে মূলত চলাচল ও কার্যক্রমে আরও শিথিলতা আসল।
১. যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সড়ক, রেল ও নৌপথে সকল প্রকার গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে।
২. পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র আসন সংখ্যার শতকরা ৫০ ভাগ ব্যবহার করে চালু করতে পারবে।
৩. সকলক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
৪. যেকোনো প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব বহন করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে বিধিনিষেধ শেষে আগামী গতকাল বুধবার (১১ আগস্ট) থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মোটামুটি সবকিছু খুলে দেয় সরকার। গত ৮ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আসন সংখ্যার সমান যাত্রী নিয়ে চলছে সব ধরনের গণপরিবহন। তবে সড়কপথে স্বাভাবিকে চেয়ে অর্ধেক গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়।
একইসঙ্গে বুধবার থেকে খুলেছে দোকান-শপিংমল এবং খাবারের দোকান, অর্ধেক আসন খালি রেখে খুলেছে হোটেল-রেস্তোরাঁ। সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানও স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রয়েছে।
তবে বিধিনিষেধের ধারাবাহিকতায় পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র বন্ধই রাখা হয়। জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক (বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান (ওয়ালিমা), জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি ইত্যাদি) রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানও বন্ধ রয়েছে।
করোনাভাইরাসের ভয়াবহ সংক্রমণরোধে গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। তখন ২৩টি শর্ত দেয়া হয়। সেই বিধিনিষেধের মেয়াদ গত ৫ আগস্ট রাত ১২টায় শেষ হয়। পরে কিছুটা শিথিলতা এনে বিধিনিষেধের মেয়াদ গত ১০ আগস্ট (মঙ্গলবার) পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)