গোল্ডেন মনিরের অবৈধ সম্পদের পাহাড়


২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত গোল্ডেন মনিরের ৬১০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক। তার বিরুদ্ধে একাধিক অবৈধ সম্পদের অভিযোগের তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে দুদক সূত্রে জানা যায়। এদিকে, এবি ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিংয়ের অপব্যবহার করে দুবাই ও সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচারের অভিযোগে সাবেক চেয়ারম্যান ওহিদুল হকসহ ২৩ জনকে আসামি করার সুপারিশ কমিশনের টেবিলে।
গত অক্টোবরের শুরুতে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অভিযোগ এলে তা যাচাই করে অনুসন্ধানের জন্য আমলে নেয় দুদক। অনুসন্ধানে মনিরের নামে স্থাবর ও অস্থাবর মিলে প্রায় ৫০ কোটি টাকার সম্পদের প্রাথমিক প্রমাণ পায় দুদক। ২০১৬ সালের পর মনির হোসেনের স্ত্রী রওশন আক্তারে নামে অনুসন্ধানে তিন কোটি ৭৫ লাখ ৯২ হাজার ২৯৩ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের সন্ধান পাওয়া যায়। যার কোনো বৈধ উৎস মেলেনি। প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় সম্পদ বিবরণী নোটিশ জারির সুপারিশের প্রতিবেদন এখন কমিশনের টেবিলে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, গোল্ডেন মনির ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগের তদন্ত চলছে। ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত চোরাচালানী মনিরের ৬শ ১০কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক।
এদিকে কমিশনের টেবিলে থাকা এবি ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিংয়ের অপব্যবহার করে ২৩৬ কোটি টাকা দুবাই ও সিঙ্গাপুরে পাচার প্রামাণের ভিত্তিতে ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান ওহিদুল হকসহ ২৩ জনকে আসামি করে ৩টি মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
এদিকে লক্ষীপুর দুই আসনের এমপি শহীদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী ও সংরক্ষীত নারী আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলামের সম্পদ বিবরণী চেয়ে নোটিশ দিয়েছে দুদক।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
