শনিবার, নভেম্বর ৩০, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

চিন্ময় দাসের গ্রেফতারকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে : জাতিসংঘে বাংলাদেশ

সনাতন জাগরণ মঞ্চের চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতার ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে বলে জাতিসংঘে জানিয়েছে বাংলাদেশ।

জাতিসংঘ ও জেনেভায় অন্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত তারেক মো. আরিফুল ইসলাম এক বিবৃতিতে এ কথা জানান।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাতে বাংলাদেশে প্রাপ্ত এক বার্তায় বলা হয়, বৃহস্পতিবার জেনেভায় জাতিসংঘের সংখ্যালঘু ফোরামের ১৭তম অধিবেশনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এ বিবৃতি দেন।

বিবৃতিতে আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত হতাশার সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে শ্রী চিন্ময় দাসের গ্রেফতার কিছু বক্তা ভুলভাবে ব্যাখ্যা করেছেন, তাকে আসলে নির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।’ বিষয়টি আদালতের মাধ্যমে মীমাংসা করা হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, বাংলাদেশের জনগণ যখন ধর্মীয় সম্প্রীতির গৌরবময় দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে, তখন আমরা অতিরঞ্জিত, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট প্রতিবেদন এবং সংখ্যালঘু নিপীড়নের বিষয়ে স্বার্থান্বেষী মহলের ইচ্ছাকৃত ভুল তথ্য ও বিভ্রান্তির ছড়াছড়ি লক্ষ্য করছি। দুঃখজনকভাবে, আমরা এই ফোরামেও এটি দেখেছি।’

বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, ‘বৈশ্বিক মিডিয়া এই ধরনের অনেক প্রোপাগান্ডা নাকচ করে দিয়েছে এবং অন্তর্বর্তী সরকার সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখার জন্য বিদেশি সাংবাদিকদের বাংলাদেশ সফরে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।’

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক বাংলাদেশির, ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে, নিজ নিজ ধর্ম পালন করার বা স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশের অধিকার রয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মূল ভিত্তি।’

রাষ্টদূত ইসলাম বলেন, ‘শীর্ষ নেতৃত্ব সংখ্যালঘু ধর্মীয় নেতাদের ধর্মের অধিকার বিষয়ে বারবার আশ্বস্ত করেছে এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ১০০ দিনে বারবার প্রমাণ করেছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে দুজন উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয়েছে।’

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘একজন মুসলিম আইনজীবীর সাম্প্রতিক নৃশংস হত্যাকাণ্ড সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকারের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপ এবং সব ধর্মের নেতাদের সমর্থন পরিস্থিতি শান্ত রাখতে এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সাহায্য করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সরকার সজাগ রয়েছে এবং যে কোনো মূল্যে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে ও সংখ্যালঘুদের অধিকার ক্ষুণ্ন করার যে কোনো প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিতে তাৎক্ষণিকভাবে কাজ করে যাবে।’

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশে ৫ আগস্টের পরের সহিংসতার মূলে ছিল রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত কারণ, সাম্প্রদায়িক নয়। এই সহিংসতা জনগণকে প্রভাবিত করেছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দলীয় রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারণে। তাদের প্রায় সবাই মুসলিম, কেবল মুষ্টিমেয় কিছু অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর।’

সংখ্যালঘুদের ওপর কোনো পরিকল্পিত আক্রমণ হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বরং, জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের পর বিশ্ব দেখেছে কীভাবে বাংলাদেশের গোটা সমাজ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দীর্ঘ ঐতিহ্য মেনে সংখ্যালঘুদের রক্ষায় এগিয়ে এসেছে।’

তিনি বলেন, ‘অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার দেশের সব ধর্মের মানুষের কাছ থেকে অভূতপূর্ব ও নজিরবিহীন ম্যান্ডেট উপভোগ করছে।’

একই রকম সংবাদ সমূহ

ভারতকে বাস্তবতার নিরিখে সম্পর্ক বিনির্মাণের বার্তা বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বাস্তবতার নিরিখে হওয়াবিস্তারিত পড়ুন

ঐক্যবদ্ধ হয়ে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে: খন্দকার মোশাররফ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, পতিত সরকারের প্রধান অন্যায়ভাবেবিস্তারিত পড়ুন

সস্ত্রীক লন্ডন গেলেন মির্জা ফখরুল

স্ত্রীসহ যুক্তরাজ্যে গেলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ICT কোচিং সেন্টারবিস্তারিত পড়ুন

  • সংস্কার নিয়ে চিন্তা নেই, জাতীয় সরকার বাস্তবায়ন করবে: আমীর খসরু
  • দেশেই সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে সক্ষম স্বাস্থ্যখাত : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
  • ভারতীয় মিডিয়ার আচরণ স্বাভাবিক সম্পর্কের জন্য সহায়ক নয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • ভোটার হালনাগাদের পর দ্রুত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন: ধর্ম উপদেষ্টা
  • দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন, সরকারকে ফারুক
  • ভবিষ্যতে কেউ অর্থপাচার করতে পারবে না: অর্থ উপদেষ্টা
  • কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের সামনে সহিংসতা, তীব্র নিন্দা ঢাকার
  • আইনজীবী সাইফুল হত্যায় ৩ দিন পর বাবা-ভাইয়ের ২ মামলা
  • সামাজিক মাধ্যমে বিজিবিকে নিয়ে ‘অপপ্রচার’, সতর্ক করলো বিজিবি
  • ঘূর্ণিঝড় ফিনজালে উত্তাল সাগর, চার সমুদ্রবন্দরে সতর্ক সংকেত
  • বাংলাদেশ নিয়ে অতিরঞ্জিত খবর, কী বলছে ভারত সরকার?