চীনের অদ্ভুত প্রথা ‘ভূত বিয়ে’
সামাজিক ও ধর্মীয়ভাবে প্রাচীনতম প্রথা বিয়ে। বহুকাল ধরে চলে আসা এই প্রথার মাধ্যমে একজন নারী ও পুরুষ একত্রে বসবাস করেন। কিন্তু চীনে এই বিয়ে নিয়েই রয়েছে অদ্ভুত এক প্রথা। যেখানে মৃত ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়।
মূলত মৃত ব্যক্তিরও একজন সঙ্গীর প্রয়োজন-এই ধরণা থেকেই প্রথাটি পালিত হয়ে আসছে দেশটিতে।
অসমর্থিত এই কুসংস্কারটিতে এখনো বিশ্বাস করেন চীনের কিছু অঞ্চলের মানুষ।
সাউথ চায়না মনিং পোস্ট।
ভূত বিয়ের প্রথাটি চালু হয়েছিল খ্রিষ্টপূর্ব (২২১-২০৭) সময়কালে অর্থাৎ ৩০০০ বছর আগে। কিছু বয়স্ক চীনা এখনো বিশ্বাস করেন-মানুষ যদি তাদের ইচ্ছা পূরণ না করে মারা যায় তারা শান্তিতে বিশ্রাম পাবে না এবং জীবিতদের তাড়না দিতে ফিরে আসবে। অর্থাৎ মৃতদের মধ্যে কেউ যদি অবিবাহিত থাকে তবে তার আত্মা শান্তি পাবে না। দেশটির উত্তর চীনে, শানসি, শানডং এবং হেবেই প্রদেশে এই প্রথা সবচেয়ে বেশি প্রচলিত। এই অঞ্চলগুলোতে সাধারণত দুই ধরনের ভূতের বিয়ে হয়ে থাকে। প্রথম প্রথায় এমন দম্পতিরা রয়েছে যারা বাগদানের আগে বা বাগদানের পরে মারা গেছে। মূলত তাদের বিয়েন স্বপ্নটি অপূর্ণ থাকায় আত্মীয়স্বজন একটি বিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন এবং তাদের একসঙ্গে কবর দেন।
আরেকটি দৃশ্য হলো, এমন ব্যক্তিদের জড়িত যারা বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হয়নি। একে অপরকে জীবনে জানে না। কিন্তু ম্যাচমেকারের মাধ্যমে মরণোত্তর মিলিত হয়। তবে দ্বিতীয় অনুষ্ঠিত বিয়েতে মোটামুটি রমরমা ব্যবসা চলে। কেননা, যারা মৃত বর বা কনের সন্ধান করে দেন তারা পারিশ্রমিক হিসাবে দেড় লাখ ইউয়ান উপার্জন করেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)