টাইব্রেকারে নেদারল্যান্ডসকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা
শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে টাইব্রেকারে নেদারল্যান্ডসকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। ২ পেনাল্টি আটকিয়ে দিয়ে ম্যাচের নায়ক আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।
শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে দিবাগত রাতে শুরু হওয়া মাচের ৮ম মিনিটে গোল হজম করতে পারত নেদারল্যান্ডস। সতীর্থের কাছ থেকে বল পেয়ে ডাচ গোলরক্ষক পাস দিয়েছিলেন হুরিয়েন টিম্বারকে। কিন্তু বক্সের ভেতর থাকা হুলিয়ান আলভারেজ একটুর জন্য বলের নাগাল পাননি। সে যাত্রায় বেঁচে যায় লুইস ফন গালের নেদারল্যান্ডস।
এরপর ২১ মিনিটে নেদারল্যান্ডসের দুই ডিফেন্ডারকে বিট করে জালে শট নেন লিওনেল মেসি। কিন্তু তার শট চলে যায় অনেক উপর দিয়ে। নেদারল্যান্ডস বড় সুযোগ নষ্ট করে এর তিন মিনিট পর। এ সময় লম্বা পাসে বল পান ডিপাই। আলতো ছোয়ায় তিনি পাস দেন বারঘুইসকে। বারঘুইসের নেয়া শট বারের একটু বাইরে দিয়ে গেলে কপাল চাপড়াতে হয় ডাচদের।
এবার ৩৬ মিনিটে গোলটি করে আর্জেন্টিনা। ডি বক্সের কাছাকাছি এসে মেসি আড়াআড়ি পাস দেন মলিনাকে। এক ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে বল জালে জড়ান আর্জেন্টাইন ফুটবলার। সঙ্গে সঙ্গে উদযাপানে মাতে পুরো লুসাইল স্টেডিয়ামের আর্জেন্টাইন সমর্থকসহ পুরো বিশ্বের সমর্থকরা।
এদিকে ৬২ মিনিটে বিপদজনক জায়গায় ফ্রি-কিক পায় আর্জেন্টিনা। ফলে ভয় আরও বাড়ছিল ডাচ শিবিরে, কেননা বক্সের কয়েক হাত দূরের ফ্রি-কিক থেকে যে মেসি অহরহ গোল করে থাকেন। এদিনও একটুর জন্য গোল পাওয়া হয়নি তার। বুলেট গতির শট চলে যায় অনেকটা পোস্ট ঘেঁষে। মেসি একটা আফসোসের হাসি দেন নিজেদের অর্ধে যেতে যেতে।
কিন্তু ৭১ মিনিটে ডি বক্সের লাইন ঘেঁষে মার্কাস আকুনাকে ফাউল করেন ডেনজেল ডামফ্রিস। সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান ম্যাচ রেফারি। সেই পেনাল্টি থেকে দলকে ২-০ গোলের লিড এনে দেন মেসি। এর মাধ্যমে বিশ্বকাপে ১০ গোল হলো মেসির। তার সমান গোল আছে আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি তারকা বাতিস্তুতার।
৮৩ মিনিটে এক গোল শোধ করে ম্যাচে ফিরে নেদারল্যান্ডস। তাদের সেই মোমেন্টাম এনে দেন বদলি হিসেবে নামা ওউট উইঘর্স্ট। একটু পর আরও গোল পেতে পারত নেদারল্যান্ডস। কিন্তু তাদের দুর্দান্ত একটি শট যায় পোস্টের খানিকটা বাইরে দিয়ে। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচের যোগ করা সময়ে আর্জেন্টিনার ডি বক্সের কাছাকাছি ফ্রি-কিক পায় নেদারল্যান্ডস। সেই শট নেন টি কোপমেইনার্স। তার শট থেকে বক্সের ভেতর বল পান উইঘর্স্ট। সেখান থেকে নেয়া শটে মার্টিনেজকে পরাস্ত করেন তিনি। ম্যাচে তখন ২-২ গোলে সমতা।
এরপর অতিরিক্ত সময়ের ১০৫ মিনিটে মেসির ফ্রি কিক থেকে ডি বক্সের ভেতর বাড়ানো বলে পা লাগাতে ব্যর্থ হন ওটামেন্ডি। ম্যাচের একদম অন্তিম মুহূর্তে এনজো ফার্নান্দেজের দূরপাল্লার শট বার পোস্টে লেগে প্রতিহত হলে হতাশায় মুষড়ে পড়ে আর্জেন্টিনা। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।
টাইব্রেকারে ডাচদের প্রথম ২ টি শটই রুখে আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। মেসির প্রথম ৩ টা স্পট কিক থেকে গোল করলেও ৪র্থ শটে মিস করেন এনজো ফার্নান্দেজ। একদম শেষ শটে লাউতারো মার্টিনেজ গোল করে আর্জেন্টিনাকে ৪-৩ ব্যবধানের জয় এনে দেন পেনাল্টি থেকে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)