নাভারণ হাইওয়ে পুলিশের কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ!
মাদারীপুর রিজিয়নের আওতাধীন যশোরের নাভারণ হাইওয়ে থানা পুলিশের কার্যক্রম দিনদিন জনসাধারণের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। তারা জানান, টাকা দিলে মহাসড়কে অবৈধ মাটিবাহী ট্রাক্টর চলে। আর না দিলে দুই একদিন বন্ধ থাকার পর অজানা কারণে তা আবারও চলে।
যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কে অবৈধ ট্রাক্টরে মাটি সরবরাহ করার ফলে বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে জরাজীর্ন ও রাস্তায় মাটি পড়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত অবৈধ ভারী ট্রাক্টরে শার্শার বিভিন্ন ইটভাটায় মাটি সরবরাহ হলেও প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না বলে অভিযান ভুক্তভোগীদের।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, নাভারণ থেকে বাগআঁচড়া পর্যন্ত যশোর- সাতক্ষীরা মহাসড়ক সংলগ্নে অন্তত ৮টি ইটভাটা রয়েছে। ওই সব ইটভাটায় প্রতিদিন মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ অবৈধ ভারী ট্রাক্টর দিয়ে অবাধে মাটি সরবরাহ করা হচ্ছে। যার ফলে বিপুল অর্থে সংস্কার হওয়া নাভারণ থেকে বেলতলা পর্যন্ত সড়ক ভেঙ্গে ও বিভিন্ন স্থানে ডেবে গিয়ে যানবহনের চলাচল ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যা নাভারণ হাইওয়ে থানা পুলিশের দেখভাল করার কথা থাকলেও অজ্ঞাত কারনে তা দেখা হয়না বলে অভিযোগ সচেতন মহলের।
শ্রমিক সংগঠনগুলোর নেতারা বলছেন, মহাসড়কে অবৈধ মাটিবাহী ট্রাক্টর চলাচলের কারণে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বেশি হয়ে থাকে। সে গুলো দেখভাল না করে হাইওয়ে পুলিশ ছোটখাটো বিষয়গুলো নিয়ে পরিবহন সংশ্নিষ্টদের বেশি হয়রানি করে।
বাসচলক ফরাদ হোসেন বলেন, মহাসড়কের প্রায় সবগুলো দুর্ঘটনার প্রধান কারণ এসব অবৈধযান। আমরা প্রশিক্ষণ নিয়ে সড়কে যানবাহন চালাচ্ছি। কিন্তু অবৈধ যানবাহনের চালকের কোনো প্রশিক্ষণ ও লাইসেন্স নেই। তাদের জরিমানাও করা হয় না। অথচ পুলিশকে ম্যানেজ করে ওই যানবাহন গুলো মহাসড়কে চলাচল করছে।
একটি সূত্র বলছে, নাভারণ হাইওয়ে থানার একজন পুলিশ কর্মকর্তার যোগসাজশে মাসিক স্লিপের মাধ্যমে মহাসড়কে অবৈধ মাটি বহনকারী ট্রাক্টর বেপরোয়া গতিতে চলছে। যার ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়কে দুর্ঘটনা, অকালে ঝরছে প্রাণ। সূত্র আরো জানায়, আর কত মানুষের প্রাণ ঝরলে টনক নড়বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
নাভারণ হাইওয়ে থানার ইনচার্জ এসআই শ্রী সিদ্ধার্থ সাহার কাছে মোবাইল ফোনে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাষ্ট্রের অনেকগুলো এজেন্সি আছে, মহাসড়ক একা আমার দায়িত্ব না।
এবিষয়ে হাইওয়ে পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (যশোর সার্কেল) মো. নাসিম খান বলেন, মহাসড়কে অবৈধ মাটি বহনকারী ট্রাক্টর চলতে দেওয়া হবে না। যারা চালাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)