নেইমারের হ্যাটট্রিকে ঘুরে দাঁড়ানো জয় ব্রাজিলের


নিজেদের মাঠে ব্রাজিলকে ভালোই চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল পেরু। আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে দুই দফা এগিয়েও গিয়েছিল। কিন্তু নেইমারের দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে জয়ের স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি তাদের। দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ব্রাজিল জিতেছে ৪-২ গোলের ব্যবধানে।
উত্তেজনাকর ম্যাচে জয়ের দেখা পেতে চেষ্টার ত্রুটি রাখেনি পেরু। ম্যাচে দু দুটি লাল কার্ড দেখে দলটি। তবে ব্রাজিলের জয়রথ আটকে রাখা যায়নি। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে জিতেছে হলুদ জার্সিধারীরা। এই দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষকে ৯ গোল দিল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
অথচ লিমায় ম্যাচের শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল ব্রাজিল। ডি বক্সে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে মার্কিনিয়োস বল তুলে দেন আন্দ্রে কারিয়োর পায়ে। জোরালো ভলিতে জাল কাঁপান এই মিডফিল্ডার। এর পাঁচ মিনিট পর মার্কিনিয়োস ব্যথা পেয়ে মাঠ ছাড়েন। বদলি হিসেবে নামেন রদ্রিগো কাইয়ো।
১৪ মিনিটের মাথায় গোলরক্ষককে একা পেয়েও পরাস্ত করতে পারেননি রবার্তো ফিরমিনো। তবে এগিয়ে থাকা বলিভিয়া যেন কিছুতেই ব্রাজিলকে সুযোগ দিতে রাজি ছিল না। ২৮ মিনিটে তারা করে বসে বড় এক ভুল। ডি বক্সের মধ্যে নেইমারের জার্সি টেনে ধরে তাকে শট নেয়া থেকে আটকে রাখেন পেরুর মিডফিল্ডার ইয়োতুন।
নেইমার এমন পজিশনে ছিলেন, শটটি নিতে পারলেই হয়তো গোল হয়ে যেতো। ফলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। আর সুযোগ পেয়ে ভুল করেননি পিএসজি তারকা, সফল স্পট কিকে সমতায় ফেরান দলকে।
তিন মিনিট পর আবারও জালে বল পাঠান নেইমার। তবে রিশার্লিসন অফসাইডে থাকায় ভিআরের সাহায্য নিয়ে গোলটি বাতিল করে দেন রেফারি। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৫ মিনিটের মাথায় বক্সের বাইরে থেকে নেইমারের ফ্রি-কিক একটুর জন্য জাল পায়নি।
৫৮ মিনিটে কপালগুনে আরও একবার এগিয়ে যায় পেরু। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে কাইয়ো সেটি দিয়ে দেন রেনাতো তাপিয়ার কাছে। তিনি বক্সের বাইরে থেকে শট নিলে সেটি সামনে একজনের পায়ে লেগে আস্তে করে গড়িয়ে ঢুকে যায় জালে।
পিছিয়ে পড়া ব্রাজিল গোল শোধ করে পাঁচ মিনিটের মাথায়ই। ৬৪ মিনিটে নেইমারের কর্নার থেকে হেডে বল জালে জড়ান ফিরমিনো। ৮৩ মিনিটে নেইমার ডি বক্সে ফাউলের শিকার হন, পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পট কিকে গোল করেন ব্রাজিলকে এগিয়ে নেন পিএসজি ফরোয়ার্ড।
জয়ের স্বপ্ন দেখা বলিভিয়া পিছিয়ে পড়ে মেজাজ ধরে রাখতে পারেনি ম্যাচের শেষ পর্যায়ে এসে। ৮৯তম মিনিটে রিশার্লিসনের মুখে আঘাত করে শুরুতে হলুদ কার্ড এবং পরে ভিআরে অপরাধ দেখে ডিফেন্ডার কার্লোস জামব্রানোকে লাল কার্ড দেন রেফারি। তার তিন মিনিট আগে লাল কার্ড দেখেন পেরুর বেঞ্চের গোলরক্ষক কাসেদাও।
যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে আরও এক গোল করে ব্রাজিলের সহজ জয় নিশ্চিত করেন নেইমার। এবার আর পেনাল্টি নয়। এভারটন রিবেইরোর চিপ পোস্টে লেগে ফিরে আসছিল, সেই বলটি হালকা টোকায় জালে পাঠিয়ে দেন নেইমার। শেষতক ৪-২ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
