প্রত্যন্ত অঞ্চলেও আয়নাঘর ছিলো: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
![](https://kalaroanews.com/wp-content/uploads/2025/02/1-113.jpg)
![](https://kalaroanews.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘গুম কমিশনের প্রতিবেদন এবং নিরাপত্তা বাহিনীর তদন্তের ওপর ভিত্তিতে ধারণা করা যায়, সারা দেশে ৭০০-৮০০ আয়নাঘর আছে এবং এটা আরও বের হচ্ছে। তাতে বোঝা যাচ্ছে যে এটি শুধু ঢাকায় সীমাবদ্ধ ছিল না, প্রত্যন্ত অঞ্চলে এরকম আয়নাঘর ছিল। হিউম্যান রাইট ওয়াচের প্রতিবেদনে স্পষ্ট লেখা আছে— গুম ও খুনের সঙ্গে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা জড়িত ছিল, তার নির্দেশেই এগুলো হয়েছে।’
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে আজ সকালে রাজধানীর আগারগাঁও, কচুক্ষেত ও উত্তরা এলাকায় তিনটি স্পটে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গোপন বন্দিশালা ও টর্চার সেল (নির্যাতনকেন্দ্র) পরিদর্শন করেন, যা এরইমধ্যে ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিতি পেয়েছে।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘কিছুদিন আগে রিপোর্ট হয়েছিল যে, আয়নাঘর পরিদর্শন হচ্ছে না। কিন্তু আপনারা দেখেছেন যে, ঢাকার কয়েকটি আয়নাঘর ভিজিট হয়েছে। বাংলাদেশে যত আয়নাঘর আছে, প্রত্যেকটা খুঁজে বের করা হবে।’
আজ তিনটি লোকেশনের ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করা হয়েছে জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, তার মধ্যে দুটো র্যাবের আর একটি ডিজিএফআইয়ের। সেখানে কীভাবে রাখা হতো, নির্যাতন করা হতো, কীভাবে সিন কাটিয়েছেন, কেউ কেউ সেখানে ৭-৮ বছর কাটিয়েছেন, তার বর্ণনা আসলে প্রকাশ করার মতো না। এই পরিদর্শনে এগুলো প্রকাশ পায়। প্রধান উপদেষ্টা প্রতিটা স্পটে গিয়েছেন। সেখানে যারা বন্দি ছিলেন, তারা তাদের সঙ্গে হওয়া ঘটনাগুলো প্রধান উপদেষ্টাকে বর্ণনা করেন। আমরা সেখানে সবাইকে নিতে পারিনি, এজন্য আমরা অত্যন্ত দুঃখিত। আমরা বিটিভির মাধ্যমে সবগুলো ভিডিও করেছি। আমাদের সঙ্গে শুধু দুটি মিডিয়া আউটলেট ছিল।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা যে জায়গাগুলো গেলাম, সেই জায়গাগুলো খুবই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রুম। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে ইট ভেঙে প্যাসেজ তৈরি করা হয়েছে। পুরো বিষয়টা আসলে লজিস্টিক্যাল সাপোর্টের। আমাদের আইডিয়া ছিল, আমরা বিটিভি থেকে দুজন ক্যামেরাম্যান নিয়েছি, পিআইডি থেকে একজন ফটোগ্রাফার নিয়েছি। আমাদের নিজস্ব প্রেস উইংয়ের একজন ফটোগ্রাফার ছিলেন। এছাড়া আমরা বিদেশি গণমাধ্যম থেকে নিয়েছি আলজাজিরা ও নেত্র নিউজকে। আয়নাঘরের বিষয়ে নেত্র নিউজের যথেষ্ট অবদান আছে। তারা এটা নিয়ে প্রতিবেদন করেছিল, তাই তাদের নিয়েছি। একজন সাংবাদিকও ছিলেন। এর বাইরে আমরা নিতে পারিনি। আসলে লজিস্টিক্যালি খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল।’
প্রেস সচিব বলেন, ‘যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারের ওয়ারেন্ট আছে, সে বিষয়ে গুম কমিশন কাজ করছে। আপনারা যত সময় এগুলোর রেজাল্ট পাবেন।’
আয়নাঘরের আলামত নষ্ট করার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আলামত নষ্ট করা হয়েছে কি হয়েছে না সেটা গুম কমিশন দেখছে। যে কেসগুলো হচ্ছে সেগুলো ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটিউররাও সেগুলো দেখছেন। প্রত্যেকটা ‘আয়নাঘর’ এভিডেন্স হিসেবে সিলগালা করা থাকবে। কারণ, আমাদের লিগ্যাল প্রসেসে এগুলো লাগবে। গুম কমিশন বলবেন, আদৌ নষ্ট হয়েছে কি হয়নি। কিছু কিছু জায়গা দেখেছি যে, প্লাস্টার করা হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় রুম ছোট ছিল দেওয়াল ভেঙে বড় দেখানো হয়েছে। এটা ইচ্ছাকৃত নাকি অনিচ্ছাকৃত, সেটা গুম কমিশন এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তারা বিচার করবেন।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের যারা গুম-খুন-হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল, সবার বিচার হবে। এটাই স্পষ্ট।’
![](https://kalaroanews.com/wp-content/uploads/2024/12/469719549_122234398946008134_2936380767280646127_n.jpg)
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
![](https://kalaroanews.com/wp-content/uploads/2023/09/kalaroa-homio-hall-1024x549.jpeg)